ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিবেশমন্ত্রীর আসনে ০৮ দিন ধরে পুড়ছে বন, কর্তৃপক্ষের চোখে টিনের চশমা!

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত পাথারিয়া হিলস্ রিজার্ভ ফরেস্ট। বনের বড়লেখা রেঞ্জের সমনভাগ সংরক্ষিত বনের আয়তন ১৮৫০ হেক্টর। এই এলাকার ধলছড়ি ও মাকাল জোরায় প্রায় ৪০ হেক্টর জায়গার বন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আট দিন থেকে এখনও বনে আগুন রয়েছে। নেভানোর কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি স্থানীয় বন বিভাগ। বনবিভাগ বলছে এটি বড় কোন বিষয় নয়। এটা বাদ দেন! অথচ আগুন নেভানোর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ উদাসীন। এদিকে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো কয়েক হাজার গাছ আগুনে পুঁড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরিবেশগত ভাবে মিশ্র চিরসবুজ সমনভাগ বনাঞ্চলের এ অংশটি ইন্দো-বার্মা জীববৈচিত্র হটস্পটের একটি অংশ এবং এটি ভারত-বাংলাদেশের আন্ত:সীমান্ত ব্যাপী ছয়টি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যকার একটি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী উক্ত সমনভাগ বনাঞ্চলে প্রায় ৬০৩ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং উভচর সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপ্রায়ী প্রানীর সমন্বয়ে মোট ২০৯ প্রজাতির মেরুদণ্ডী বন্যপ্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ২০ প্রজাতির উভচর, ৪৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ১১৩ প্রজাতির পাখি ও ৩১ প্রজাতির স্তন্যপায়ীসহ অসংখ্য বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ও প্রজননক্ষেত্র। সমনভাগ বনাঞ্চলটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিলে চিরসবুজ একটি বনাঞ্চল এবং উদ্ভিদ ও প্রাণী বৈচিত্র রক্ষায় বাংলাদেশের মধ্যে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অবস্থান অন্যতম। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপির নির্বাচনী এলাকায় প্রকাশ্যে বনের ভিতর এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও তা দেখার কেউ নেই। বন রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে পরিবেশ মন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারি থাকলেও এক শ্রেণীর অসাধু বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে তা বাস্তবায়ন না করে বন পুড়িয়ে পরিবেশ কে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শনিবার ১১ মার্চ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিশ্র চিরসবুজ সমনভাগ বিটের ধলছড়ি ও মাকাল জোরা এলাকায় এলাকায় প্রায় ৪০ হেক্টর বন ভূমি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এক পাশে এখন দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। আগুনে পুড়ে অজগর সাপ, চশমাপরা হনুমান, মায়া হরিণ, কচ্চপ, বনরুই, সজারু সহ বিভিন্ন সরীসৃপ প্রজাতির বিরল কীটপতঙ্গ এবং বেশ কিছু প্রজাতির বৃক্ষের ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বনের একপাশে অবাদে চলছে বাঁশ কাটার মহোৎসব। প্রায় ৪০ শ্রমিক দিয়ে সরকারি সম্পত্তি গুলোকে বিনষ্ট করা হচ্ছে। এসব বাঁশ পরবর্তীতে আগুন দিয়ে পুড়ানো হবে। সেখানে নিয়মিত যাওয়া আসা করা কামাল আহমদ নামে একজনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে বনে আগুন দেখতে পাই। আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় বনের অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি বন বিভাগকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। যার ফলে এখানকার বিভিন্ন বিরল প্রজাতির প্রাণী সহ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই বিটের প্রায় অর্ধেক যায়গা এখন খাসিয়াদের দখলে। তারা প্রায় ৯০০ হেক্টর বনভূমি দখল করে গড়ে তুলেছে পানের জুম। দিন দিন বাঁশ ও ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে ধ্বংস করেছে বন্যপ্রাণীর আবাস্থাল। এখন বন্যপ্রাণী গুলো এই এলাকা থেকে স্থানান্তর হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় একজন বাসিন্দা ইদ্রিস আলী বলেন, আমি জ্বালানি কাঠ ও নিজের কাজের জন্য বাঁশ নিতে মাঝে মধ্যে বনে আসা যাওয়া করি। এই বনটি এমন ছিল না। এটি প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো। বনটি পরিপাটি ছিল। তবে এখন আর আগের মতো নেই।সব বন খেকোরা খেয়ে ফেলছেন। বনে হাতিও থাকে না। কারণ থাকার কোন পরিবেশ নেই। আগে অনেক ধরনের বন্যপ্রাণী ও মায়াহরিণ দেখা যেত। এখন কিছু নেই তারা অনিরাপদ। পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের একজন সদস্য পরিবেশকর্মী সুনিত বলেন, একটি বন কেউ তৈরি করতে পারবে না কিন্তু ধ্বংস করা যায় খুব সহজে। প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো গাছপালা লতাপাতা হচ্ছে বন্যপ্রাণীর আবাস্থল। এগুলো যখন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে তখন প্রাণীগুলো কোথায় যাবে? বন বিভাগের উচিত এরকম গভীর বনকে প্রাকৃতিক ভাবে রাখা। এখানে বনায়ন করলে বন থাকবে না। বন্যপ্রাণী এখন হুমকির মুখে। অচিরেই হারিয়ে যাবে এখানকার সকল বন্যপ্রাণী। এ বিষয়ে সমনভাগ বিট কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, উপকার ভোগিদের মাধ্যমে ২০ হেক্টর জায়গায় একটি আগর বাগান করা হবে। সেজন্য বন কেটে পরিষ্কার করা হচ্ছে । আগুন লাগার ব্যাপারটি এখানে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। হয়তো কেউ বিড়ি খেয়েছে এখানে। আর এটা থেকেই আগুন লেগে বনের চার-পাঁচ হেক্টর ভূমি আগুনে পুড়িয়ে গেছে। বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিলের বন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তৌফিকুল ইসলাম বলেন, আমি খবর পেয়েছি। যেকোন অসাবধনতায় হয়তো এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ঝোপঝাড়, গাছের ডালপালা কাটা হয়েছে। সেজন্য এখানে আগুন লেগে এই এলাকা পুড়ে গেছে। আমরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেছি। আমার স্টাফ আগামীকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি বনে আগুন লাগার বিষয়টি জেনেছি। যেহেতু সংরক্ষিত বন এলাকায় আগুন লেগেছে এতে সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী সহ বিভিন্ন কীটপতঙ্গ, পাখির বাসার ব্যাপক ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি সংরক্ষিত বনে আগুন লাগার বিষয়টি জানতাম না। আপনার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছি। এই বিষয়ে সিলেট ডিভিশনের ডিএফও কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করব।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পরিবেশমন্ত্রীর আসনে ০৮ দিন ধরে পুড়ছে বন, কর্তৃপক্ষের চোখে টিনের চশমা!

আপডেট সময় ০১:২৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত পাথারিয়া হিলস্ রিজার্ভ ফরেস্ট। বনের বড়লেখা রেঞ্জের সমনভাগ সংরক্ষিত বনের আয়তন ১৮৫০ হেক্টর। এই এলাকার ধলছড়ি ও মাকাল জোরায় প্রায় ৪০ হেক্টর জায়গার বন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আট দিন থেকে এখনও বনে আগুন রয়েছে। নেভানোর কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি স্থানীয় বন বিভাগ। বনবিভাগ বলছে এটি বড় কোন বিষয় নয়। এটা বাদ দেন! অথচ আগুন নেভানোর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ উদাসীন। এদিকে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো কয়েক হাজার গাছ আগুনে পুঁড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরিবেশগত ভাবে মিশ্র চিরসবুজ সমনভাগ বনাঞ্চলের এ অংশটি ইন্দো-বার্মা জীববৈচিত্র হটস্পটের একটি অংশ এবং এটি ভারত-বাংলাদেশের আন্ত:সীমান্ত ব্যাপী ছয়টি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যকার একটি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী উক্ত সমনভাগ বনাঞ্চলে প্রায় ৬০৩ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং উভচর সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপ্রায়ী প্রানীর সমন্বয়ে মোট ২০৯ প্রজাতির মেরুদণ্ডী বন্যপ্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে ২০ প্রজাতির উভচর, ৪৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ১১৩ প্রজাতির পাখি ও ৩১ প্রজাতির স্তন্যপায়ীসহ অসংখ্য বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ও প্রজননক্ষেত্র। সমনভাগ বনাঞ্চলটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিলে চিরসবুজ একটি বনাঞ্চল এবং উদ্ভিদ ও প্রাণী বৈচিত্র রক্ষায় বাংলাদেশের মধ্যে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অবস্থান অন্যতম। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপির নির্বাচনী এলাকায় প্রকাশ্যে বনের ভিতর এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও তা দেখার কেউ নেই। বন রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে পরিবেশ মন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারি থাকলেও এক শ্রেণীর অসাধু বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে তা বাস্তবায়ন না করে বন পুড়িয়ে পরিবেশ কে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শনিবার ১১ মার্চ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিশ্র চিরসবুজ সমনভাগ বিটের ধলছড়ি ও মাকাল জোরা এলাকায় এলাকায় প্রায় ৪০ হেক্টর বন ভূমি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এক পাশে এখন দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। আগুনে পুড়ে অজগর সাপ, চশমাপরা হনুমান, মায়া হরিণ, কচ্চপ, বনরুই, সজারু সহ বিভিন্ন সরীসৃপ প্রজাতির বিরল কীটপতঙ্গ এবং বেশ কিছু প্রজাতির বৃক্ষের ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বনের একপাশে অবাদে চলছে বাঁশ কাটার মহোৎসব। প্রায় ৪০ শ্রমিক দিয়ে সরকারি সম্পত্তি গুলোকে বিনষ্ট করা হচ্ছে। এসব বাঁশ পরবর্তীতে আগুন দিয়ে পুড়ানো হবে। সেখানে নিয়মিত যাওয়া আসা করা কামাল আহমদ নামে একজনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে বনে আগুন দেখতে পাই। আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় বনের অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি বন বিভাগকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। যার ফলে এখানকার বিভিন্ন বিরল প্রজাতির প্রাণী সহ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই বিটের প্রায় অর্ধেক যায়গা এখন খাসিয়াদের দখলে। তারা প্রায় ৯০০ হেক্টর বনভূমি দখল করে গড়ে তুলেছে পানের জুম। দিন দিন বাঁশ ও ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে ধ্বংস করেছে বন্যপ্রাণীর আবাস্থাল। এখন বন্যপ্রাণী গুলো এই এলাকা থেকে স্থানান্তর হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় একজন বাসিন্দা ইদ্রিস আলী বলেন, আমি জ্বালানি কাঠ ও নিজের কাজের জন্য বাঁশ নিতে মাঝে মধ্যে বনে আসা যাওয়া করি। এই বনটি এমন ছিল না। এটি প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো। বনটি পরিপাটি ছিল। তবে এখন আর আগের মতো নেই।সব বন খেকোরা খেয়ে ফেলছেন। বনে হাতিও থাকে না। কারণ থাকার কোন পরিবেশ নেই। আগে অনেক ধরনের বন্যপ্রাণী ও মায়াহরিণ দেখা যেত। এখন কিছু নেই তারা অনিরাপদ। পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের একজন সদস্য পরিবেশকর্মী সুনিত বলেন, একটি বন কেউ তৈরি করতে পারবে না কিন্তু ধ্বংস করা যায় খুব সহজে। প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো গাছপালা লতাপাতা হচ্ছে বন্যপ্রাণীর আবাস্থল। এগুলো যখন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে তখন প্রাণীগুলো কোথায় যাবে? বন বিভাগের উচিত এরকম গভীর বনকে প্রাকৃতিক ভাবে রাখা। এখানে বনায়ন করলে বন থাকবে না। বন্যপ্রাণী এখন হুমকির মুখে। অচিরেই হারিয়ে যাবে এখানকার সকল বন্যপ্রাণী। এ বিষয়ে সমনভাগ বিট কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, উপকার ভোগিদের মাধ্যমে ২০ হেক্টর জায়গায় একটি আগর বাগান করা হবে। সেজন্য বন কেটে পরিষ্কার করা হচ্ছে । আগুন লাগার ব্যাপারটি এখানে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। হয়তো কেউ বিড়ি খেয়েছে এখানে। আর এটা থেকেই আগুন লেগে বনের চার-পাঁচ হেক্টর ভূমি আগুনে পুড়িয়ে গেছে। বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিলের বন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তৌফিকুল ইসলাম বলেন, আমি খবর পেয়েছি। যেকোন অসাবধনতায় হয়তো এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ঝোপঝাড়, গাছের ডালপালা কাটা হয়েছে। সেজন্য এখানে আগুন লেগে এই এলাকা পুড়ে গেছে। আমরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেছি। আমার স্টাফ আগামীকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি বনে আগুন লাগার বিষয়টি জেনেছি। যেহেতু সংরক্ষিত বন এলাকায় আগুন লেগেছে এতে সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী সহ বিভিন্ন কীটপতঙ্গ, পাখির বাসার ব্যাপক ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি সংরক্ষিত বনে আগুন লাগার বিষয়টি জানতাম না। আপনার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছি। এই বিষয়ে সিলেট ডিভিশনের ডিএফও কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করব।