ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলুম-অন্যায়কে বিএনপি প্রশ্রয় দেবে না নাগেশ্বরীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ পছন্দের বিয়ের বিপক্ষে অধিকাংশ পাকিস্তানি সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাহজালাল বিমানবন্দরে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ গ্রেফতার জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনার অভিযানে ০৩(তিন) কেজি গাঁজা সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনার মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি ,১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি । বেরোবিতে জুলাইয়ে বিপ্লবের বিরোধিতা কারী ক্যাম্পাসে দাপটে চলেন ক্ষমতার উৎস কোথায় মির্জা ফখরুলের স্ট্যাটাস ঘিরে নানা ধরনের আলোচনা

বিএনপির সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের দেশে ফেরা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তিনি দেশে আসবেন, অসুবিধা কী? এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।

ভারত ও কাতার সফর শেষে দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

চলতি মাসের শুরুর দিকে জি-২০ মন্ত্রীদের সম্মেলন এবং রাইসিনা ডায়লগে যোগ দিয়েছিলেন ড. মোমেন। সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মোমেন। বৈঠকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে দেশে ফেরানো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ভারতে কারো সঙ্গে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের বিষয়ে আলোচনা হয়নি। এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। বিদেশে বাংলাদেশের কেউ জেল খাটলে, সাজা ভোগ করে দেশে ফিরে আসেন। সালাহউদ্দিন আহমেদও আসবেন।

অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফিরতে বাধা নেই বলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রায় দিয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগ।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। ওই বছরের ১১ মে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলংয়ের পুলিশ। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে সালাহউদ্দিনকে খালাস দেন ভারতের একটি আদালত। তবে আদালতের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে থেমে যায় সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরা। প্রায় সাত বছর বিচার চলার পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

সালাহউদ্দিন আহমদ ১৯৯১ সালে বিএনপির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন। তাকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। মেঘালয়ে যখন আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলুম-অন্যায়কে বিএনপি প্রশ্রয় দেবে না

বিএনপির সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের দেশে ফেরা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তিনি দেশে আসবেন, অসুবিধা কী? এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।

ভারত ও কাতার সফর শেষে দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

চলতি মাসের শুরুর দিকে জি-২০ মন্ত্রীদের সম্মেলন এবং রাইসিনা ডায়লগে যোগ দিয়েছিলেন ড. মোমেন। সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মোমেন। বৈঠকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে দেশে ফেরানো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ভারতে কারো সঙ্গে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের বিষয়ে আলোচনা হয়নি। এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। বিদেশে বাংলাদেশের কেউ জেল খাটলে, সাজা ভোগ করে দেশে ফিরে আসেন। সালাহউদ্দিন আহমেদও আসবেন।

অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফিরতে বাধা নেই বলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রায় দিয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগ।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। ওই বছরের ১১ মে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলংয়ের পুলিশ। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে সালাহউদ্দিনকে খালাস দেন ভারতের একটি আদালত। তবে আদালতের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে থেমে যায় সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরা। প্রায় সাত বছর বিচার চলার পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

সালাহউদ্দিন আহমদ ১৯৯১ সালে বিএনপির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন। তাকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। মেঘালয়ে যখন আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।