ঢাকা ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশকে ২২৬৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জার্মানি দুদকের মামলায় অব্যাহতি পেলেন জামায়াত সেক্রেটারি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক বীজ রাখার দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমান গুজবে কান দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি না করার আহবান জাবিতে ছাত্রদলের দুগ্রুপে উত্তেজনা, বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার পরকীয়ার জেরে স্বামী খুন, স্ত্রী প্রেমিকসহ ৩ জনের ফাঁসি নিটওয়্যার উদ্ভাবন ও সহযোগিতায় সিজিং ‘বাংলাদেশ নাইট’ ১১১ নারীকে ধর্ষণ–যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত ধনকুবের ফায়েদ ইসকন ও আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

সংসদ নির্বাচন : মনোনয়নপত্রে যুক্ত হলো ‘হিজড়া

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী ও পুরুষের পাশাপাশি ‘হিজড়া’ লিঙ্গ পরিচয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যাবে। অর্থাৎ   ‘হিজড়া’ পরিচয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীরা। 

সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ পরিচিতির জায়গায় মহিলা ও পুরুষ লিঙ্গের পাশপাশি প্রথমবারের মতো ‘হিজড়া’ শব্দটিও যুক্ত করছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা-২০০৮ সংশোধন করে বিধানটি সম্প্রতি যুক্ত করেছে সংস্থাটি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে-গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৯৪ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিধিমালার ১১ বিধি অধিকতর সংশোধন করল নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অংশের দ্বিতীয় খণ্ডে ১১ নম্বর বিধিটি টিক চিহ্ন দিয়ে পূরণ করতে হয়। এই বিধিতে প্রার্থীর লিঙ্গ পরিচিত উল্লেখ করার বিধান রয়েছে। যেখানে আগে পুরুষ ও মহিলা ছিল, এখন যুক্ত হলো ‘হিজড়া’।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে গত ৩০ নভেম্বর সাক্ষাৎ করে ‘হিজড়া’ সম্প্রদায়ের উন্নয়ন সংগঠন ‘সুস্থ জীবন’। সংগঠনের চেয়ারম্যান পার্বতী আহমেদ সে সময় তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে দাবি তোলেন- ‘জাতীয় সংসদে নারী আছে, পুরুষ আছে, আমরা কই? কাজেই আমাদের একজন দরকার।’

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই বৈঠকের পর কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসে। পরবর্তীতে আইনে কিভাবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সে বিষয়টিও খুঁজে বের করেন। যার ফলশ্রুতিতেই আনা হলো সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় সংশোধন।

এই সংশোধনের ফলে হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা তাদের নিজস্ব পরিচয়েই সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবেন। এক্ষেত্রে স্বতন্ত্র থেকেও যেমন তারা প্রার্থী হতে পারবেন, তেমনি দল থেকেও এই পরিচয়ে প্রার্থী হতে পারবেন। এদিকে সংসদ নির্বাচনের বিধিমালায় এই সংশোধন আনা হলেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালায় এখনও বিষয়টি যুক্ত করা হয়নি।

হিজড়া জনগোষ্ঠী দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে কেএম নূরুল হুদার নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো আইন সংশোধন করে ‘হিজড়া’ শব্দটি ভোটার নিবন্ধন ফরমে যোগ করেন। বর্তমানে ইসির সার্ভারে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে হিজড়া ভোটার রয়েছে ৮৩৭ জন। ২০১৯ সালের আগে হিজড়াদের ভোটার হতে হলে মহিলা কিংবা পুরুষ, এই দু’টির যে কোনো একটি লিঙ্গ বেছে নিতে হতো। এতে পরিচয় সনাক্তের জন্য সিভিল সার্জনে প্রত্যয়ন প্রয়োজন হতো, যা তাদের নানা বিড়ম্বনায় ফেলতো।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে

সংসদ নির্বাচন : মনোনয়নপত্রে যুক্ত হলো ‘হিজড়া

আপডেট সময় ০১:০৭:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী ও পুরুষের পাশাপাশি ‘হিজড়া’ লিঙ্গ পরিচয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যাবে। অর্থাৎ   ‘হিজড়া’ পরিচয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীরা। 

সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ পরিচিতির জায়গায় মহিলা ও পুরুষ লিঙ্গের পাশপাশি প্রথমবারের মতো ‘হিজড়া’ শব্দটিও যুক্ত করছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা-২০০৮ সংশোধন করে বিধানটি সম্প্রতি যুক্ত করেছে সংস্থাটি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে-গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৯৪ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিধিমালার ১১ বিধি অধিকতর সংশোধন করল নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অংশের দ্বিতীয় খণ্ডে ১১ নম্বর বিধিটি টিক চিহ্ন দিয়ে পূরণ করতে হয়। এই বিধিতে প্রার্থীর লিঙ্গ পরিচিত উল্লেখ করার বিধান রয়েছে। যেখানে আগে পুরুষ ও মহিলা ছিল, এখন যুক্ত হলো ‘হিজড়া’।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে গত ৩০ নভেম্বর সাক্ষাৎ করে ‘হিজড়া’ সম্প্রদায়ের উন্নয়ন সংগঠন ‘সুস্থ জীবন’। সংগঠনের চেয়ারম্যান পার্বতী আহমেদ সে সময় তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে দাবি তোলেন- ‘জাতীয় সংসদে নারী আছে, পুরুষ আছে, আমরা কই? কাজেই আমাদের একজন দরকার।’

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই বৈঠকের পর কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসে। পরবর্তীতে আইনে কিভাবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সে বিষয়টিও খুঁজে বের করেন। যার ফলশ্রুতিতেই আনা হলো সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় সংশোধন।

এই সংশোধনের ফলে হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা তাদের নিজস্ব পরিচয়েই সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবেন। এক্ষেত্রে স্বতন্ত্র থেকেও যেমন তারা প্রার্থী হতে পারবেন, তেমনি দল থেকেও এই পরিচয়ে প্রার্থী হতে পারবেন। এদিকে সংসদ নির্বাচনের বিধিমালায় এই সংশোধন আনা হলেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালায় এখনও বিষয়টি যুক্ত করা হয়নি।

হিজড়া জনগোষ্ঠী দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে কেএম নূরুল হুদার নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো আইন সংশোধন করে ‘হিজড়া’ শব্দটি ভোটার নিবন্ধন ফরমে যোগ করেন। বর্তমানে ইসির সার্ভারে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে হিজড়া ভোটার রয়েছে ৮৩৭ জন। ২০১৯ সালের আগে হিজড়াদের ভোটার হতে হলে মহিলা কিংবা পুরুষ, এই দু’টির যে কোনো একটি লিঙ্গ বেছে নিতে হতো। এতে পরিচয় সনাক্তের জন্য সিভিল সার্জনে প্রত্যয়ন প্রয়োজন হতো, যা তাদের নানা বিড়ম্বনায় ফেলতো।