গতকাল ৯ অক্টোবর ( রবিবার) বাদ যোহর জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মিলনায়তনে খতমে নবুওয়াত আন্দোলন পরিষদ বাংলাদেশ এর এক গুরুত্বপূর্ণ সভা আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক এর সভাপতিত্বে ও মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া কে আহবায়ক, মাওলানা হামেদ জহিরি কে যুগ্ম আহবায়ক এবং মাওলানা লোকমান মাযহারী কে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট খতমে নবুওয়াত আন্দোলন পরিষদ বাংলাদেশের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
উক্ত সভায় আলোচকরা বলেন, খতমে নবুয়তের দুশমন কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের ঈমান বিধ্বংসী অপতৎপরতা এবং আকিদায়ে খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন মুজাহিদে মিল্লাত, কায়েদে খতমে নবুওয়াত আল্লামা শামছুদ্দীন কাসেমী রহঃ। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে কাদিয়ানিরা পুনরায় তাদের ধর্মমতের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা শুরু করে। সরলমনা মুসলমানদের কে প্রতারণার আশ্রয়ে কাদিয়ানিরা ঈমানহারা করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। সে সময়ে মুসলমানদের ঈমান ও আকীদা সংরক্ষণে মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা শামছুদ্দীন কাসেমী রহ. সাধারণ মুসলমানদের সচেতন এবং সতর্ক করার লক্ষ্যে বহুমুখী কর্মসুচী হাতে নেন। এক পর্যায়ে খতমে নবুওয়ত আন্দোলন পরিষদ বাংলাদেশ গঠনের মধ্য দিয়ে সারা দেশে খতমে নবুওয়তের আকীদা সংরক্ষণে ব্যাপক তৎপরতা চালান।
আকীদায়ে খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণে মুজাহিদে মিল্লাতের নেতৃত্বে একঝাঁক বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম গ্রাম থেকে গ্রাম, শহর থেকে শহরে সফর করেন। অনেক বই পুস্তক রচনা করেন। লিফলেট বিতরণ করেন। খতমে নবুওয়ত আন্দোলন পরিষদ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মুবাল্লিগ নিয়োগ দেয়া হয। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল; যেখানেই কাদিয়ানিদের অপতৎপরতা চালাত, সেখানে তারা জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি জন্য নিরলস কাজ করতেন। দেশের পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় আকীদায়ে খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণে তারা একনিষ্ঠতার সঙ্গে কাজ করে।
বর্তমানে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অনুসারীরা পুনরায় সারাদেশে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরাম নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (আরজাবাদ), মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (মানিকনগর), মাওলানা মকবুল হোসাইন, মাওলানা মহিউদ্দিন মাসুম, মাওলানা আলী আকবর সাভার, মাওলানা আবুল বাশার, মাওলানা নুর মুহাম্মদ কাসেমী, মাওলানা আকতারুজ্জামান, মাওলানা ওমর আলী, মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মাওলানা জাকির হোসাইন কাসেমী,মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা রবিউল ইসলাম, মাওলানা বশিরুল হাসান খাদিমানী, মাওলানা আফজাল হুসাইন রাহমানী, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন ঢাকুবী, মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মাওলানা শারফুদ্দীন ইয়াহইয়া কাসেমী, মাওলানা মাহবুবুল আলম, মাওলানা ইলিয়াস হাসান কাসেমী, মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা খন্দকার ফখরুদ্দীন, মাওলানা গোলাম মাওলা, মাওলানা সাইফুদ্দিন ইউসুফ ফাহিম,মাওলানা জাবের কাসেমী, মাওলানা নুরুল আলম ইসহাকী, মাওলানা আব্দুল্লাহ ফিরোজ, মাওলানা আবুল হাসান চৌধুরী, মাওলানা সুলতান আহমদ জাফরী প্রমুখ।