ঢাকা ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ

আইটি নির্ভর ভবিষ্যৎ গড়তে প্রযুক্তিগত শিক্ষা জরুরি : পলক

 

আইটি নির্ভর ভবিষ্যৎ গড়তে তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রযুক্তিগত শিক্ষা জরুরি বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি শিশুদের আনন্দময় শিক্ষায় জোর দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে অভিভাবকসহ শিক্ষকদের সচেতনতাও জরুরি বলে মনে করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে তেজগাঁও এসিআই সেন্টারে আয়োজিত ডিজিটাল শিক্ষায় এসিআই লিমিটেডের ‘মেধাবীর সুপারনোভা’ ও ‘কিডস ব্রেইন বিল্ডার’ অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, ডিজিটাল যুগের চাহিদা মেটাতে ও শিক্ষার্থীদের কৌতূহল ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের জানা ও শেখার মাধ্যম হতে হবে সহজ ও আনন্দময়। আমার বিশ্বাস, শিক্ষা ও প্রযুক্তির এমন অসাধারণ সমন্বয়ের মাধ্যমেই আগামীর বাংলাদেশ ও তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে যাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের দিকে।

তিনি বলেন, স্মার্ট ডিভাইসগুলো কিশোর-কিশোরীরা ব্যবহার করছে। এ অবস্থায় শিক্ষাকেও প্রযুক্তিময় করে তোলা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ইন্টারনেটে দেওয়া সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। অনলাইনে বসে সময় নষ্ট করা যাবে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছেন। তার কাছ থেকে আমরা ২০৪১ সালে নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প পেয়েছি। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের দেশপ্রেম, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে কিশোরীরা যাতে ডিজিটাল সিকিউরিটি, সোশ্যাল সিকিউরিটি সম্পর্কে জানে, সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

পলক বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইটি-নির্ভর পড়াশোনায় গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে আমরা ১৬ হাজার মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার তৈরি করেছি। এসএসসি-এইচএসসি পাশ করাদের ৬/১২ মাসের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করছি।

তিনি বলেন, আউটসোর্সিং করে, সফটওয়্যার এক্সপোর্ট করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার এবং কল সেন্টারকর্মীরা বছরে ১.৪ বিলিয়ন ডলার আয় করছে। ২০২৫ সালে এ আয়কে আমরা ১.৫ বিলিয়নে নিয়ে যেতে চাই। সব মিলিয়ে আইটি সেক্টরে ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করতে চাই। ২০২৫ সাল নাগাদ ১০ লাখ কোডার তৈরি করতে চাই।

অনুষ্ঠানে এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা বলেন, শিশুদের শেখার ক্ষমতা বিকাশে ভূমিকা রাখতে চাই। আমরা শেখা ও জানাকে আরও সহজ করে তুলতে এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকশিত করতে সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির সাথে ইন্টারনেটের শক্তিকে একত্রিত করতে চাই। শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত শিশুদের কাছে বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো অ্যানিমেশন ও উদাহরণের মাধ্যমে শেখার সুযোগ পৌঁছে দেওয়াই আমাদের স্বপ্ন।

প্রজেক্ট লিডার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এসিআই লিমিটেডের অ্যাপ দুটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজে নিজেই পড়াশোনা করতে পারবে। আমাদের প্রত্যাশা, শিশুরা তাদের মেধা আর স্বকীয়তা দিয়ে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে বাংলাদেশের নাম।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাউদকান্দি উপজেলা নবাগত ইউএন ও এসিল্যান্ড ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো: জিয়াউর রহমান কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময়

আইটি নির্ভর ভবিষ্যৎ গড়তে প্রযুক্তিগত শিক্ষা জরুরি : পলক

আপডেট সময় ১২:১৭:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

 

আইটি নির্ভর ভবিষ্যৎ গড়তে তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রযুক্তিগত শিক্ষা জরুরি বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি শিশুদের আনন্দময় শিক্ষায় জোর দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে অভিভাবকসহ শিক্ষকদের সচেতনতাও জরুরি বলে মনে করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে তেজগাঁও এসিআই সেন্টারে আয়োজিত ডিজিটাল শিক্ষায় এসিআই লিমিটেডের ‘মেধাবীর সুপারনোভা’ ও ‘কিডস ব্রেইন বিল্ডার’ অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, ডিজিটাল যুগের চাহিদা মেটাতে ও শিক্ষার্থীদের কৌতূহল ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের জানা ও শেখার মাধ্যম হতে হবে সহজ ও আনন্দময়। আমার বিশ্বাস, শিক্ষা ও প্রযুক্তির এমন অসাধারণ সমন্বয়ের মাধ্যমেই আগামীর বাংলাদেশ ও তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে যাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের দিকে।

তিনি বলেন, স্মার্ট ডিভাইসগুলো কিশোর-কিশোরীরা ব্যবহার করছে। এ অবস্থায় শিক্ষাকেও প্রযুক্তিময় করে তোলা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ইন্টারনেটে দেওয়া সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। অনলাইনে বসে সময় নষ্ট করা যাবে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছেন। তার কাছ থেকে আমরা ২০৪১ সালে নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প পেয়েছি। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের দেশপ্রেম, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে কিশোরীরা যাতে ডিজিটাল সিকিউরিটি, সোশ্যাল সিকিউরিটি সম্পর্কে জানে, সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

পলক বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইটি-নির্ভর পড়াশোনায় গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে আমরা ১৬ হাজার মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার তৈরি করেছি। এসএসসি-এইচএসসি পাশ করাদের ৬/১২ মাসের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করছি।

তিনি বলেন, আউটসোর্সিং করে, সফটওয়্যার এক্সপোর্ট করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার এবং কল সেন্টারকর্মীরা বছরে ১.৪ বিলিয়ন ডলার আয় করছে। ২০২৫ সালে এ আয়কে আমরা ১.৫ বিলিয়নে নিয়ে যেতে চাই। সব মিলিয়ে আইটি সেক্টরে ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করতে চাই। ২০২৫ সাল নাগাদ ১০ লাখ কোডার তৈরি করতে চাই।

অনুষ্ঠানে এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা বলেন, শিশুদের শেখার ক্ষমতা বিকাশে ভূমিকা রাখতে চাই। আমরা শেখা ও জানাকে আরও সহজ করে তুলতে এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকশিত করতে সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির সাথে ইন্টারনেটের শক্তিকে একত্রিত করতে চাই। শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত শিশুদের কাছে বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো অ্যানিমেশন ও উদাহরণের মাধ্যমে শেখার সুযোগ পৌঁছে দেওয়াই আমাদের স্বপ্ন।

প্রজেক্ট লিডার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এসিআই লিমিটেডের অ্যাপ দুটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজে নিজেই পড়াশোনা করতে পারবে। আমাদের প্রত্যাশা, শিশুরা তাদের মেধা আর স্বকীয়তা দিয়ে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে বাংলাদেশের নাম।