মানবিক ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান নৃশংসতা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ বিষয়ে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা- ওআইসির বৈঠকে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জেদ্দায় ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরায়েল কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ বিষয়ে ওআইসির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বাংলাদেশের পক্ষে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এবং ওআইসিতে বাংলাদেশের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ নাজমুল হক।
রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, সৌদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বাংলাদেশ ছাড়াও তুরস্ক, পাকিস্তান, নাইজার, মউরিতানিয়া, মিশর, ইরাক, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, মালয়েশিয়া, লেবানন, ইন্দোনেশিয়া ও মরক্কোর প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
কনসাল জেনারেল সভায় বলেন, সম্প্রতি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি সময়ের সাথে সাথে আরও খারাপ হচ্ছে। গত বছর অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম জুড়ে কমপক্ষে ৩০ শিশুসহ ১৭০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুধুমাত্র চলতি বছরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
নাজমুল হক সম্প্রতি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের আরও বসতি নির্মাণ ও সম্প্রসারণ বিষয়ে ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের গভীর হতাশা ও উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, এ ধরণের ইসরায়েলের আগ্রাসন ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
নাজমুল হক ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদ এবং ফিলিস্তিনিদের মাতৃভূমিকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কনসাল জেনারেল ইসরায়েলি বসতি পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের সম্প্রতি জারি করা বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দখলদার শক্তি-ইসরায়েলকে যে কোনো ধরনের বর্বরতা, নৃশংসতা ও বলপ্রয়োগ থেকে বিরত রাখতে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে আমরা নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি । তিনি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা কমাতে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার আয়োজন করায় জর্ডানের প্রশংসা করেন।
কনসাল জেনারেল পূর্ব জেরুজালেমের রাজধানী হিসেবে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ওপর ভিত্তি করে একটি স্বাধীন স্বদেশ এবং একটি সার্বভৌম এবং কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। সভা শেষে একটি যৌথ বিবৃতি গৃহীত হয়।