ঢাকা ১২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশকে ২২৬৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জার্মানি দুদকের মামলায় অব্যাহতি পেলেন জামায়াত সেক্রেটারি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক বীজ রাখার দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমান গুজবে কান দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি না করার আহবান জাবিতে ছাত্রদলের দুগ্রুপে উত্তেজনা, বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার পরকীয়ার জেরে স্বামী খুন, স্ত্রী প্রেমিকসহ ৩ জনের ফাঁসি নিটওয়্যার উদ্ভাবন ও সহযোগিতায় সিজিং ‘বাংলাদেশ নাইট’ ১১১ নারীকে ধর্ষণ–যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত ধনকুবের ফায়েদ ইসকন ও আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরবো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সময়ানুগ ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ‘সময়ানুগ ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান ব্যবস্থার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বিশ্ব দরবারে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ।’ সোমবার ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন তিনি।

তৃতীয়বারের মতো ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিসংখ্যান ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন’, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর, বাংলাদেশের সুসংগঠিত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণে গুণগত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ৪টি পৃথক পরিসংখ্যান সংস্থাকে একীভূত করে, ১৯৭৪ সালে বিবিএস প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে বিবিএসসহ জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বয় ও প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ১৯৭৫ সালে পরিসংখ্যান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে একটি সুসংহত আইনগত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে আওয়ামী লীগ সরকার ‘পরিসংখ্যান আইন-২০১৩’ এবং পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বিত উন্নয়নের জন্য ‘জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্র ২০১৩-২০২৩’ প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সক্ষমতার অন্যতম প্রকাশ হলো ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা এবং এক মাসের মধ্যে প্রিলিমিনারি রিপোর্ট প্রকাশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মনে করেন উন্নত পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বয়ে একটি সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তার সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান দিবস উদযাপন এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে। তিনি ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে

বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরবো

আপডেট সময় ১২:৩২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সময়ানুগ ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ‘সময়ানুগ ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান ব্যবস্থার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বিশ্ব দরবারে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ।’ সোমবার ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন তিনি।

তৃতীয়বারের মতো ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিসংখ্যান ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন’, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর, বাংলাদেশের সুসংগঠিত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণে গুণগত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ৪টি পৃথক পরিসংখ্যান সংস্থাকে একীভূত করে, ১৯৭৪ সালে বিবিএস প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে বিবিএসসহ জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বয় ও প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ১৯৭৫ সালে পরিসংখ্যান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে একটি সুসংহত আইনগত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে আওয়ামী লীগ সরকার ‘পরিসংখ্যান আইন-২০১৩’ এবং পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বিত উন্নয়নের জন্য ‘জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্র ২০১৩-২০২৩’ প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সক্ষমতার অন্যতম প্রকাশ হলো ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা এবং এক মাসের মধ্যে প্রিলিমিনারি রিপোর্ট প্রকাশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মনে করেন উন্নত পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বয়ে একটি সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তার সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান দিবস উদযাপন এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে। তিনি ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।