ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহী পলিটেকনিক এক্স স্টুডেন্টস ফোরাম (আরপিইএসএফ) এর নির্বাচন ২০২৪-২৬ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতি ভাটারা থানা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে ফ্যাসিস্ট বিরোধী যত রাজনৈতিক সংগঠন আছে তাদের মধ্যে একটি ঐক্য গড়ে তুলতে হবে: নজরুল ইসলাম খান কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু ভোলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার নেতাকর্মীদের ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করার শপথ করালেন, আমিনুল হক দৌলতের কান্দিতে অন্যরকম এক বিদায় সংবর্ধনা পেল শিক্ষক সেলিনা আক্তার চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশকে ২২৬৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জার্মানি দুদকের মামলায় অব্যাহতি পেলেন জামায়াত সেক্রেটারি

ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে : প্রধানমন্ত্রী

ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অতীতের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট’ এর সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে বুধবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণে নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮, জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৮ এবং অন্যান্য পরিকল্পনা দলিলের আলোকে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ দশকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, ক্রমহ্রাসমান কৃষি জমি ও প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে সৃষ্ট নানাবিধ বৈরী পরিবেশ মোকাবিলা করেও দেশের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে প্রায় চারগুণ। এরই অংশ হিসেবে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। অতীতের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যে ৮টি হাইব্রিডসহ মোট ১১১টি উচ্চফলনশীল ধানের জাত ও তিন শতাধিক ধান উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে বন্যা, খরা, জলমগ্ন, লবণাক্ত, ঠান্ডা ইত্যাদি প্রতিকূলতা সহিষ্ণু, রোগ প্রতিরোধী, প্রিমিয়াম কোয়ালিটি, জিংক, আয়রন ও পুষ্টি-সমৃদ্ধ ধানের জাত উল্লেখযোগ্য।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট রাইস ভিশন-২০৫০ এবং দ্বিগুণ ধান উৎপাদন-২০৩০ শীর্ষক দুটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে। এই কৌশলপত্র আমাদের সরকারের দূরদর্শী নীতি যেমন- অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ২০৩০, পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ এবং ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের জন্য ‘রোড ম্যাপ’ হিসেবে কাজ করবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রযুক্তিগত দিক থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন। ফলে শুরু হয় ধানের ওপর আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর পর দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন। তারই ডাকে সাড়া দিয়ে ব্রি’র বিজ্ঞানীরা স্বল্প সময়ের মধ্যেই উদ্ভাবন করেন নতুন জাতের ধান বিআর-৩ বা বিপ্লব, যা দেশের খাদ্য উৎপাদনে সত্যিই বিপ্লব নিয়ে আসে। জাতির পিতার নির্দেশিত পথ ধরেই গত পাঁচ দশকে এদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি আগামী দিনে ধান গবেষণার ক্ষেত্রে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও বেশি সচেষ্ট হবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করার মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তথা জাতির পিতার আজীবন স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

বাণীতে তিনি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর গৌরব ও সাফল্যের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানী, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান এবং ইনস্টিটিউটের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী পলিটেকনিক এক্স স্টুডেন্টস ফোরাম (আরপিইএসএফ) এর নির্বাচন ২০২৪-২৬ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০১:৫০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অতীতের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট’ এর সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে বুধবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণে নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮, জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৮ এবং অন্যান্য পরিকল্পনা দলিলের আলোকে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ দশকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, ক্রমহ্রাসমান কৃষি জমি ও প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে সৃষ্ট নানাবিধ বৈরী পরিবেশ মোকাবিলা করেও দেশের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে প্রায় চারগুণ। এরই অংশ হিসেবে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। অতীতের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যে ৮টি হাইব্রিডসহ মোট ১১১টি উচ্চফলনশীল ধানের জাত ও তিন শতাধিক ধান উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে বন্যা, খরা, জলমগ্ন, লবণাক্ত, ঠান্ডা ইত্যাদি প্রতিকূলতা সহিষ্ণু, রোগ প্রতিরোধী, প্রিমিয়াম কোয়ালিটি, জিংক, আয়রন ও পুষ্টি-সমৃদ্ধ ধানের জাত উল্লেখযোগ্য।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট রাইস ভিশন-২০৫০ এবং দ্বিগুণ ধান উৎপাদন-২০৩০ শীর্ষক দুটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে। এই কৌশলপত্র আমাদের সরকারের দূরদর্শী নীতি যেমন- অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ২০৩০, পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ এবং ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের জন্য ‘রোড ম্যাপ’ হিসেবে কাজ করবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রযুক্তিগত দিক থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন। ফলে শুরু হয় ধানের ওপর আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর পর দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন। তারই ডাকে সাড়া দিয়ে ব্রি’র বিজ্ঞানীরা স্বল্প সময়ের মধ্যেই উদ্ভাবন করেন নতুন জাতের ধান বিআর-৩ বা বিপ্লব, যা দেশের খাদ্য উৎপাদনে সত্যিই বিপ্লব নিয়ে আসে। জাতির পিতার নির্দেশিত পথ ধরেই গত পাঁচ দশকে এদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি আগামী দিনে ধান গবেষণার ক্ষেত্রে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও বেশি সচেষ্ট হবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করার মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তথা জাতির পিতার আজীবন স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

বাণীতে তিনি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর গৌরব ও সাফল্যের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানী, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান এবং ইনস্টিটিউটের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।