দুইদিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলেট। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। পরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনের বিশেষ এ উপদেষ্টার সফরে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে।
জানা গেছে, বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শোলেট। এছাড়া একই দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। পরে সন্ধ্যায় শোলেটের ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
কূটনৈতিক একটি সূত্র বলছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্ব দেবেন শোলেট। তিনি রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা, প্রত্যাবাসনে কীভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা যায় ও বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনা করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনের বিশেষ উপদেষ্টা শোলেট। সেজন্য শোলেটের সফরটা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও সেটি সম্প্রতি ঢাকা সফর করে যাওয়া ডোনাল্ড লুর মতো গুরুত্বপূর্ণ নয়।
শোলেটের সফরে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, মূলত রোহিঙ্গা ইস্যুকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এর বাইরে দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা অবশ্যই আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো আলোচনায় তুলব।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, শোলেটের সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু বেশি গুরুত্ব পাবে। তাছাড়া তারা তাদের অন্যান্য বিষয়ও তুলতে পারে।
গত বছরের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন অভিযানের পাঁচ বছর পূর্তিতে বিবৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন। বিবৃতিতে মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ঘোষণা দেন তিনি।
তার এ ঘোষণার তিন মাস পর ঢাকা সফর করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েস। তার সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুনর্বাসন শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ৬২ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করে দেশটি।