বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, হংকংয়ের কনসাল জেনারেল ইসরাত আরা দেশটির বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের সরকারের প্রধান নির্বাহী জন লির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) লির অফিসে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
ইসরাত আরা জানান, জন লি তার অফিসে কনসাল জেনারেলকে উষ্ণ অভিবাদন জানান। এ সময় কনসাল জেনারেল প্রধান নির্বাহীকে হংকংয়ের ৬ষ্ঠ প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান। সাক্ষাতে তারা বৈঠকে বাংলাদেশ ও হংকংয়ের দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
কনসাল জেনারেল লির কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের রূপরেখা তুলে ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভিশন -২০৪১ নিয়ে আলোকপাত করেন।
বঙ্গবন্ধুর ১৯৫২ সালের হংকং সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনী ‘আমার দেখা নয়া চীন’ গ্রন্থে হংকংয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা সুনিপুণভাবে বর্ণনা করেছেন। প্রধান নির্বাহী বইটি সম্পর্কে তার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
জন লি বাংলাদেশ ও হংকংয়ের মধ্যকার মানুষে মানুষে যোগাযোগ, সংস্কৃতি বিনিময়, পারস্পরিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও, ‘ইনোভেশন ও টেকনোলজি’, ‘হাই কোয়ালিটি ডেভেলপমেন্ট’ ও ‘হাই স্কিল্ড লেবার’ বিষয়ে বাংলাদেশ ও হংকং একযোগে কাজ করতে পারে বলে লি মত প্রকাশ করেন।
লি বাংলাদেশর সঙ্গে ব্যবসা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং হংকংয়ের বিনিয়োগকারীদের অবস্থান তুলে ধরে তাদের সহযোগিতার বিষয়ে অনুরোধ করেন।
কনসাল জেনারেল বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। হংকং বাংলাদেশের শীর্ষ ১০টি বিনিয়োগকারী দেশের মধ্যে অবস্থান করছে এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় হংকং থেকে বাংলাদেশে ৫০% এর অধিক বিনিয়োগ হয়েছে, যা হংকংয়ের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের প্রতি আস্থার প্রতীক।
এ সময় আগামী ১১-১৩ মার্চ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩’-এ হংকং সরকারের একজন যথোপযুক্ত প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য প্রধান নির্বাহীকে অনুরোধ জানান ইসরাত আরা। তিনি বাংলাদেশ ও হংকং-এর মধ্যকার দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি, বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ও সংরক্ষণবিষয়ক চুক্তির অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান নির্বাহীকে অবহিত করেন।