প্রবাসী কর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জোর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অভিবাসন বিষয়ক বিশেষ দূত ফিলিপ গঞ্জালেস মোরালেস। পাশাপাশি তিনি প্রবাসী কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার ওপরও জোর দেন।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশে ১১ দিনের সফর শেষে ঢাকার জাতিসংঘ কার্যালয়ের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ দূত অভিবাসন এবং মানবপাচার রোধে মনিটরিং ও সমন্বয় জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মোরালেস বলেন, বর্তমানে বিদেশ যেতে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়ের কারণে প্রবাসীরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দালালদের কারণে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। বিদেশ যাওয়া, ফিরে আসা পর্যন্ত সব পর্যায়ে প্রবাসী কর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জোর দিতে হবে।
বিশেষ দূত বলেন, গন্তব্য দেশগুলোকে অবশ্যই বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের তদন্ত ও শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের উচিত কনস্যুলার সেবা জোরদার করা।
তিনি বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক অর্থনৈতিক অবদান এবং প্রয়োজনীয় আইন ও নীতির অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ ব্যবস্থায় এখনও অনেক ত্রুটি বিদ্যমান। যা তাদের অধিকারের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
অভিবাসীদের সুরক্ষায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন মোরালেস। বাংলাদেশ সফরকালে জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া লার্নিং সেন্টারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা এবং জীবনমুখী দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে আরও সুযোগ দিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান মোরালেস।