ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পেঁয়াজ আলু তেলের মূল্য বৃদ্ধির নেপথ্যে আমদানিকারক ও আড়তদার সিন্ডিকেট গাইবান্ধা থেকে ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৩ কুমিল্লা মিডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১৬-তম আসরের প্রথম ম্যাচে গোমতী ওয়ারিয়র্স বিজয়ী সেনা অভিযানে মুরাদনগরে চিহ্নিত মাদক সম্রাট আটক। ভোলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার এক ব্যাংকে ১৪৫ জনের চাকরি হলো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়াই রাস্তার কাজের অনুমতি ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবিরের রাজশাহী পলিটেকনিক এক্স স্টুডেন্টস ফোরাম (আরপিইএসএফ) এর নির্বাচন ২০২৪-২৬ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতি ভাটারা থানা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে ফ্যাসিস্ট বিরোধী যত রাজনৈতিক সংগঠন আছে তাদের মধ্যে একটি ঐক্য গড়ে তুলতে হবে: নজরুল ইসলাম খান

স্মার্ট বাংলাদেশে ধূমপান থাকতে পারে না : ডেপুটি স্পিকার

সংসদ চলাকালীন কোনো সদস্য ধূমপানের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দিতে চাইলে নির্ধারিত সময় বাড়িয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে। আর স্মার্ট বাংলাদেশে ধূমপান থাকতে পারে না।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও সমসাময়িক ভাবনা” বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শামসুল হক টুকু বলেন, ধূমপানের বিরুদ্ধে সংসদে কথা বললে সময় বেশি দেওয়া হবে। যেকোনো সংসদ সদস্য যদি ধূমপান সম্পর্কে সচেতনতামূলক কথা বলতে চান, তাহলে আমি প্রত্যেককে দুই মিনিট সময় বাড়িয়ে দেব। কেউ যদি আরও তথ্য উপাত্ত নিয়ে বাড়িয়ে বলতে চায় তাকে আরও এক-দুই মিনিট সময় বাড়িয়ে দেব। তবে সচেতনতামূলক বক্তব্য হতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে ধূমপায়ী অধূমপায়ীদের যুদ্ধ চলছে। যখন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগোচ্ছি, তখন তামাক প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের কৌশল পাল্টাচ্ছে। তারা এখন সমাজে ই-সিগারেট ছড়িয়ে দিচ্ছে। দেশে ধূমপায়ীদের দৌরাত্ম্যে ভবিষ্যৎ খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এজন্যই ধূমপানের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আইন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

টুকু বলেন, দেশে ধূমপায়ীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি শ্রমজীবীদের মধ্যে। এর থেকে যতই উপরে যাবেন, সেটা কমতে থাকবে। এজন্য শ্রমজীবীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে একটা টার্গেট দিয়েছেন, ৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ করতে হবে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, দেশে ই-সিগারেট খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অনাগত ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধানমন্ডিসহ ঢাকার অসংখ্য এলাকায় স্মোকিং ক্লাব আছে, এগুলোতে সন্ধ্যায় এতো পরিমাণ ধোঁয়ার ছড়াছড়ি হয়, একজন সাধারণ মানুষ যদি ওই জায়গা যায় সে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারবে না। দ্রুততম সময়ে এগুলো বন্ধ করা সময়ের দাবি।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, আমাদের জন্য এই বছরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামনে আমাদের জাতীয় নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলো যখন নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করবে, তারা যেন তামাকের বিষয়টি রাখে। একইসঙ্গে নেতারা যেন এলাকাগুলো তামাকমুক্ত সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দেবেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয় আইনের খসড়া করেছে। এরইমধ্যে তা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছি। ১৫৫ জন সংসদ সদস্য এতে ঐক্যমত পোষণ করেছেন। সংসদ সদস্যরা সোচ্চার হয়েছেন। যতদ্রুত সম্ভব আইনটি বাস্তবায়ন করা দরকার।

আইন বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি উল্লেখ করে আতিউর রহমান আরও বলেন, দেশে তামাকজনিত কারণে প্রতিদিন ৪৫০ জন মানুষ মারা যাচ্ছেন, আইন বাস্তবায়নে একদিন দেরি হলেও আমরা অসংখ্য প্রাণ হারাচ্ছি। এজন্য যতদ্রুত সম্ভব আইনটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পেঁয়াজ আলু তেলের মূল্য বৃদ্ধির নেপথ্যে আমদানিকারক ও আড়তদার সিন্ডিকেট

স্মার্ট বাংলাদেশে ধূমপান থাকতে পারে না : ডেপুটি স্পিকার

আপডেট সময় ০২:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

সংসদ চলাকালীন কোনো সদস্য ধূমপানের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দিতে চাইলে নির্ধারিত সময় বাড়িয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে। আর স্মার্ট বাংলাদেশে ধূমপান থাকতে পারে না।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও সমসাময়িক ভাবনা” বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শামসুল হক টুকু বলেন, ধূমপানের বিরুদ্ধে সংসদে কথা বললে সময় বেশি দেওয়া হবে। যেকোনো সংসদ সদস্য যদি ধূমপান সম্পর্কে সচেতনতামূলক কথা বলতে চান, তাহলে আমি প্রত্যেককে দুই মিনিট সময় বাড়িয়ে দেব। কেউ যদি আরও তথ্য উপাত্ত নিয়ে বাড়িয়ে বলতে চায় তাকে আরও এক-দুই মিনিট সময় বাড়িয়ে দেব। তবে সচেতনতামূলক বক্তব্য হতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে ধূমপায়ী অধূমপায়ীদের যুদ্ধ চলছে। যখন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগোচ্ছি, তখন তামাক প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের কৌশল পাল্টাচ্ছে। তারা এখন সমাজে ই-সিগারেট ছড়িয়ে দিচ্ছে। দেশে ধূমপায়ীদের দৌরাত্ম্যে ভবিষ্যৎ খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এজন্যই ধূমপানের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আইন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

টুকু বলেন, দেশে ধূমপায়ীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি শ্রমজীবীদের মধ্যে। এর থেকে যতই উপরে যাবেন, সেটা কমতে থাকবে। এজন্য শ্রমজীবীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে একটা টার্গেট দিয়েছেন, ৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ করতে হবে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, দেশে ই-সিগারেট খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অনাগত ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধানমন্ডিসহ ঢাকার অসংখ্য এলাকায় স্মোকিং ক্লাব আছে, এগুলোতে সন্ধ্যায় এতো পরিমাণ ধোঁয়ার ছড়াছড়ি হয়, একজন সাধারণ মানুষ যদি ওই জায়গা যায় সে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারবে না। দ্রুততম সময়ে এগুলো বন্ধ করা সময়ের দাবি।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, আমাদের জন্য এই বছরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামনে আমাদের জাতীয় নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলো যখন নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করবে, তারা যেন তামাকের বিষয়টি রাখে। একইসঙ্গে নেতারা যেন এলাকাগুলো তামাকমুক্ত সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দেবেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয় আইনের খসড়া করেছে। এরইমধ্যে তা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছি। ১৫৫ জন সংসদ সদস্য এতে ঐক্যমত পোষণ করেছেন। সংসদ সদস্যরা সোচ্চার হয়েছেন। যতদ্রুত সম্ভব আইনটি বাস্তবায়ন করা দরকার।

আইন বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি উল্লেখ করে আতিউর রহমান আরও বলেন, দেশে তামাকজনিত কারণে প্রতিদিন ৪৫০ জন মানুষ মারা যাচ্ছেন, আইন বাস্তবায়নে একদিন দেরি হলেও আমরা অসংখ্য প্রাণ হারাচ্ছি। এজন্য যতদ্রুত সম্ভব আইনটি বাস্তবায়ন করতে হবে।