ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

পূর্ব ইউক্রেনের হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১৪

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে একটি হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন। পূর্ব ইউক্রেনের এই অঞ্চলটি রাশিয়ার দখলে রয়েছে এবং হাসপাতালে হামলার পেছনে ইউক্রেনকে দায়ী করেছে মস্কো।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে একটি হাসপাতালে ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ করার জন্য ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে রাশিয়া। এই হামলায় ১৪ জন নিহতের পাশাপাশি ২৪ জন রোগী ও চিকিৎসা কর্মী আহত হয়েছেন। এদিকে এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলেও দাবি করেছে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার এই অভিযোগের বিষয়ে শনিবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পূর্ব ইউক্রেনের রাশিয়ান-নিয়ন্ত্রিত নোভোয়াইডারের একটি হাসপাতালে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা হিমারস রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে ইউক্রেন এই আক্রমণটি পরিচালনা করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পরিচিত কার্যকর বেসামরিক চিকিৎসা স্থপনায় ইচ্ছাকৃত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিঃসন্দেহে কিয়েভ সরকারের একটি গুরুতর যুদ্ধাপরাধ। এই অপরাধের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সাথে জড়িত সকলকে খুঁজে বের করে জবাবদিহি করা হবে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, বেসামরিক ও সামরিক চিকিৎসকরা ওই হাসপাতালে স্থানীয় লোকজন এবং সৈন্যদের চিকিৎসার জন্য অনেক মাস ধরে কাজ করছেন। আল জাজিরা বলছে, টানা ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। গত বছর রুশ আক্রমণ শুরুর পর থেকে ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে বারবারই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে।

দীর্ঘ এই সংঘাতে ইউক্রেনে হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন এবং পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর আর্টিলারি ও বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে রাশিয়া বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করে হামলা চালানোর কথা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে। এদিকে পূর্ব ইউক্রেনের কনস্টান্টিনিভকা শহরে রাশিয়ার হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন বলে শনিবার স্থানীয় গভর্নর জানিয়েছেন। এছাড়া ওই হামলায় এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

দোনেতস্কের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ‘রাশিয়ানরা একটি আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এতে চারটি বহুতল ভবন, একটি হোটেল, গ্যারেজ এবং বেসামরিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ পাভলো কিরিলেঙ্কোর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ছবিগুলোতে রুশ হামলার পর অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংগুলোর জানালা উড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এছাড়া পুড়ে যাওয়া একটি গাড়ির ধ্বংসাবশেষের ছবিও দেখা যাচ্ছে সেখানে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, রাশিয়া একাধিক রকেট লঞ্চার দিয়ে কনস্টান্টিনিভকা শহরে হামলা চালিয়েছে। মূলত প্রায় এক বছর ধরে চালানো এই আগ্রাসনে রাশিয়া দোনেতস্ক অঞ্চলের পুরোটা দখলে নিতে লড়াই করছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

পূর্ব ইউক্রেনের হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১৪

আপডেট সময় ১২:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে একটি হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন। পূর্ব ইউক্রেনের এই অঞ্চলটি রাশিয়ার দখলে রয়েছে এবং হাসপাতালে হামলার পেছনে ইউক্রেনকে দায়ী করেছে মস্কো।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে একটি হাসপাতালে ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ করার জন্য ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে রাশিয়া। এই হামলায় ১৪ জন নিহতের পাশাপাশি ২৪ জন রোগী ও চিকিৎসা কর্মী আহত হয়েছেন। এদিকে এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলেও দাবি করেছে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার এই অভিযোগের বিষয়ে শনিবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পূর্ব ইউক্রেনের রাশিয়ান-নিয়ন্ত্রিত নোভোয়াইডারের একটি হাসপাতালে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা হিমারস রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে ইউক্রেন এই আক্রমণটি পরিচালনা করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পরিচিত কার্যকর বেসামরিক চিকিৎসা স্থপনায় ইচ্ছাকৃত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিঃসন্দেহে কিয়েভ সরকারের একটি গুরুতর যুদ্ধাপরাধ। এই অপরাধের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সাথে জড়িত সকলকে খুঁজে বের করে জবাবদিহি করা হবে।’

এতে আরও বলা হয়েছে, বেসামরিক ও সামরিক চিকিৎসকরা ওই হাসপাতালে স্থানীয় লোকজন এবং সৈন্যদের চিকিৎসার জন্য অনেক মাস ধরে কাজ করছেন। আল জাজিরা বলছে, টানা ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। গত বছর রুশ আক্রমণ শুরুর পর থেকে ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে বারবারই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে।

দীর্ঘ এই সংঘাতে ইউক্রেনে হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন এবং পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর আর্টিলারি ও বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে রাশিয়া বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করে হামলা চালানোর কথা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে। এদিকে পূর্ব ইউক্রেনের কনস্টান্টিনিভকা শহরে রাশিয়ার হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন বলে শনিবার স্থানীয় গভর্নর জানিয়েছেন। এছাড়া ওই হামলায় এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

দোনেতস্কের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ‘রাশিয়ানরা একটি আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এতে চারটি বহুতল ভবন, একটি হোটেল, গ্যারেজ এবং বেসামরিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ পাভলো কিরিলেঙ্কোর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ছবিগুলোতে রুশ হামলার পর অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংগুলোর জানালা উড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এছাড়া পুড়ে যাওয়া একটি গাড়ির ধ্বংসাবশেষের ছবিও দেখা যাচ্ছে সেখানে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, রাশিয়া একাধিক রকেট লঞ্চার দিয়ে কনস্টান্টিনিভকা শহরে হামলা চালিয়েছে। মূলত প্রায় এক বছর ধরে চালানো এই আগ্রাসনে রাশিয়া দোনেতস্ক অঞ্চলের পুরোটা দখলে নিতে লড়াই করছে।