দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো দুর্যোগে টেলিকমিউনিকেশন সেবাটা দরকার। এ সেবার মাধ্যমে সরকারের বার্তাটা প্রচার করা হলে দুর্যোগের সময় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা কমে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কমিউনিকেশন সিস্টেম তৈরি করতে হবে। দুর্যোগের আগাম বার্তাটা দেওয়ার ক্ষেত্রে টেলিকমিউনিকেশনটা প্রয়োজন।শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘দুর্যোগকালীন সময়ে টেলিযোগাযোগ খাত : পূর্ব ও পরবর্তী কৌশল ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুর রহমান বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের অবহেলায় জলোচ্ছ্বাসে প্রায় দুই লাখ লোক মারা যায়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ক্ষমতায় আসার পর ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২’ এরপর ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১৫’ করা হয়েছে। এ নীতিমালায় দুর্যোগ মোকাবিলার বিষয়ে সব কিছু বলা হয়েছে। সর্বশেষ দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী বা এসওডি (সংশোধিত) -২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। যেকোনো দুর্যোগে কার কি দায়িত্ব পালন করতে হবে এসওডিতে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণকে উত্তম সেবা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব এবং এ সেবা দিতে গিয়ে আমরা টেলিকমিউনিকেশনের সহায়তা পেয়েছি বলেই এতো সুন্দরভাবে সিলেট ও সুনামগঞ্জের এতো বড় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির কমিশনার প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ, বিটিসিএল এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন, সেনাবাহিনীর সিগনাল পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইকবাল আহমেদ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।