কিশোরগঞ্জের নিকলীতে একটি মসজিদের টাকা আত্মসাতের মামলায় মসজিদের সাবেক সভাপতিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ওই সভাপতির নাম মো.আসমত আলী।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-৪ এর বিচারক মোহাম্মদ আশিকুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মো. আসমত আলী নিকলী সদর ইউনিয়নের কামারহাটি গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে। তিনি ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত স্থানীয় পুকুরপাড় জামে মসজিদের সভাপতি ছিলেন।
সভাপতি থাকাকালীন মসজিদের ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই মর্মে গত বছরের ১৮ মে আসাদুজ্জামান নামের মসজিদ কমিটির এক সদস্য মো. আসমত আলীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১০ বছর পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন তিনি।
এই ১০বছর ছয় একরের বিশাল আয়তনের পুকুর পত্তন থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকাসহ কৃষিজমি পত্তন, দোকান ভাড়ার জামানত, দোকান ভাড়া, সিএনজি ও বাসস্ট্যান্ড ইজারা, গাছ ও ঘাস বিক্রি, পুরাতন মাদরাসাঘর ভাড়া, পরিত্যক্ত ঘর বিক্রি, গোরস্থান উন্নয়নের জন্য প্রাপ্ত অনুদান এবং বছরব্যাপী প্রাপ্ত অনুদান বাবদ আরও প্রায় ৫৯ লাখ টাকা মসজিদের আয় হয়। ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতন এবং মসজিদ ও মসজিদের দোকানপাট সংস্কার বাবদ ব্যয় করেন ৩৩ লাখ টাকা। তার কাছে থাকা ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা থেকে যায়।
পরে আদালত ওই মামলার তদন্ত করার নির্দেশ দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কিশোরগঞ্জকে। পিবিআই তদন্ত করে গত বছরের ৭ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পিবিআই এর তদন্ত প্রতিবেদনে মো.আসমত আলী ১৫ লাখ ২৬ হাজার ৫৯২ টাকা ১৫ পয়সা আত্মসাৎ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। আদালত ওই মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে মসজিদের সাবেক সভাপতি আসমত আলীকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
এর প্রেক্ষিতে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আসমত আলী। কিন্তু আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবু সাইদ ইমাম মসজিদের সাবেক সভাপতি মো.আসমত আলী কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত।