ঢাকা ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপি এক ব্যক্তির শাসন দেখতে চায় নাশহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি গণতন্ত্র কিংবা অন্য কোন মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়- আমীর, ইসলামী সমাজ। ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া বাজারে গুলি: যুবদল কর্মী বিপু গুলিবিদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। ফের বাড়ল সোনার দাম মুসলমানদেরকে শিরক মুক্ত ঈমান ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন করতে হবে ভোলায় গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সংগ্রহের লিফলেট বিতরণ মধ্যরাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল নভেম্বরেও হচ্ছে না হামজার অভিষেক! ইউএনও’র বাসভবনে সিন্দুক ভরা পোড়া টাকার ভিডিও ভাইরাল, সমালোচনা

ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪২ শতাংশ

ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৪১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত (৯ মাসে) ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সারাবিশ্ব থেকে ৮৬ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। ২০২১ সালের ওই সময়ের তুলনায় যা ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।

পরিসংখ্যান মতে, গত বছরের জানুয়ারি-অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা এক হাজার ৯৪০ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে ইইউ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৩ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন বা এক হাজার ৩৬৯ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। ফলে দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ পোশাক আমদানি বাড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানিতে প্রথম স্থানে রয়েছে চীন। আর এরপরেই দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ।

পরিসংখ্যান মতে, বর্তমানে চীন ২৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ রপ্তানি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বছরওয়ারি ২২ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ২৫ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

একই সময়ে, তুরস্ক থেকে আমদানিও বছরওয়ারি ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানিও ১০ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারত থেকে আমদানি ৪ দশমকি ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। আর বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারীদের মধ্যে কম্বোডিয়া থেকে ৩৯ দশমিক ৬৯, ভিয়েতনাম থেকে ৩৩ দশমিক ০৫, পাকিস্তান থেকে ২৮ দশমিক ৫৫, মরক্কো থেকে ৯ দশমিক ৫৯, শ্রীলঙ্কা থেকে ১৮ ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩১ দশমিক ৭৬ শতাংশ আমদানি বেড়েছে।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এ ডাটা গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। সেই হিসেবে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ ভালো করছে। তবে, এই সময়ের পর ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে।

তিনি বলেন, যুদ্ধ ও অনান্য দেশের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে পোশাক রপ্তানি কমছে। তবে অনান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো করছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি এক ব্যক্তির শাসন দেখতে চায় নাশহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪২ শতাংশ

আপডেট সময় ০৪:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩

ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৪১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত (৯ মাসে) ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সারাবিশ্ব থেকে ৮৬ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। ২০২১ সালের ওই সময়ের তুলনায় যা ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।

পরিসংখ্যান মতে, গত বছরের জানুয়ারি-অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা এক হাজার ৯৪০ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে ইইউ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৩ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন বা এক হাজার ৩৬৯ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। ফলে দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ পোশাক আমদানি বাড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানিতে প্রথম স্থানে রয়েছে চীন। আর এরপরেই দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ।

পরিসংখ্যান মতে, বর্তমানে চীন ২৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ রপ্তানি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বছরওয়ারি ২২ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ২৫ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

একই সময়ে, তুরস্ক থেকে আমদানিও বছরওয়ারি ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানিও ১০ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারত থেকে আমদানি ৪ দশমকি ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। আর বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারীদের মধ্যে কম্বোডিয়া থেকে ৩৯ দশমিক ৬৯, ভিয়েতনাম থেকে ৩৩ দশমিক ০৫, পাকিস্তান থেকে ২৮ দশমিক ৫৫, মরক্কো থেকে ৯ দশমিক ৫৯, শ্রীলঙ্কা থেকে ১৮ ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩১ দশমিক ৭৬ শতাংশ আমদানি বেড়েছে।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এ ডাটা গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। সেই হিসেবে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ ভালো করছে। তবে, এই সময়ের পর ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে।

তিনি বলেন, যুদ্ধ ও অনান্য দেশের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে পোশাক রপ্তানি কমছে। তবে অনান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো করছে।