সারা বছরই ফুলের জমজমাট ব্যবসা থাকে, তবে এখন শীতের আবহাওয়া থাকায় দুর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের আগমনে মুখরিত ফুলের রাজধানী গদখালী।
যশোর সদর থেকে পায় ২৫ কিলোমিটার দুরে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী দেশের সর্ববৃহৎ বিক্রয় কেন্দ্র। পানিসারা ইউনিয়নের পানিসারায় গড়ে উঠেছে দেশের সর্ববৃহৎ ফুল উৎপাদন কেন্দ্র। ১৯৮২ সালে পানিসারার শের আলী সরদারের হাত ধরে রজনী গন্ধা দিয়ে প্রথম চাষ শুরু হয়। পতিদিন খুব ভোরে গদখালীতে জমে ওঠে দেশের সর্ববৃহৎ ফুলের বাজার। ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফুল সরবরাহ হয়।
দেশের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ফুল সরবরাহ হয় এখান থেকে। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন অগণিত নারী পুরুষ। এ সময় টাতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ফুলের রাজধানী। ভ্রমণ পিপাসুদের বিনোদন দিতে সম্প্রতি আরও একটি মিনি পার্ক উদ্বোধন করা হয়েছে। ফুল চাষি ইসমাইল হোসেন জানান, এখন ফুলের ভরা মৌসুম।
প্রতি বছরের এই সময় টাতে যেমন ফুল উৎপাদন বেশি হয়, তেমনি ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ফুলের রাজধানী। সামনে কয়েকটি উৎসব আছে এ কারনে চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছে। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম ফুল সেক্টরকে আরো গতিশীল করতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। আর কিছু দিন পরেই বসন্ত বরণ, ভালবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ জন্য চাষিরা অনেক ব্যস্ত।
প্রায় চার যুগেরও বেশি সময় ধরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে গদখালীর ফুলের সুবাস। গোলাপ, গাঁধা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, চন্দ্র মল্লিকা, গ্লাডিওলাস, টিউলিপ সহ বাহারী ফুলের ফুলের নজরকাড়া সৌন্দর্য মানুষের মনকে নাড়া দিচ্ছে।