ঢাকা ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

কুমিল্লায় টাকা চুরির সন্দেহ করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা

কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার দূর্গাপুর নোয়াপাড়ায় মন্জুরুল নামে একজন যুবককে কুপিয়ে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে লাশ ডোবায় ফেলে দেয় অপর শ্রমিক। ঘটনাটি ১৩ জনিুয়ারির হলেও সোমবার (১৬ জানুয়ারি) মধ্য রাতে নোয়াপাড়া এলাকার একটি ডোবা থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে বুড়িচং থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের রুমমেট মো. নাহিদকে (১৮) গ্রেফতার করেছে। রংপুরের বদরগঞ্জ থানার আলা মিয়ার ছেলে নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম(২৬) এবং গ্রেফতারকৃত নাহিদ(১৮) রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্র জানা যায়-নিহত মঞ্জুরুল স্থানীয় আক্তারের ফার্মে এবং নাহিদ দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। তারা দুইজন উপজেলার দুর্গাপুরের নোয়াপাড়া এলাকায় একটি রুমে ভাড়া থাকতেন। গত কয়েকদিন আগে মঞ্জুরুলের ১ হাজার ৫০০ টাকা হারিয়ে যায়। এ টাকা নাহিদ নিয়েছেন বলে সন্দেহ হয় মঞ্জুরুলের। পরে বিষয়টি নিয়ে নাহিদের মা-বাবাসহ বিভিন্ন জনের কাছে বিচার দেওয়া হয়।

এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মঞ্জুরুলের মাথায় দা দিয়ে একাধিক কোপ দিয়ে হত্যা করে।পরবর্তীতে লাশ বস্তাবন্দি করে ফার্মের পাশের একটি ডোবায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়। বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, ঘটনার শুরু ১৩ জানুয়ারি,গতকাল বিকালে আমাদের কাছে জিডি নিয়ে আসেন নিহত মঞ্জুরুলের বড় ভাই।পরবর্তীতে আমরা তার রুমমেটক নাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি।তার কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে আমরা তাকে ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বিস্তারিত বলে। সে জানায়, চোর বলাতেই তাকে হত্যা করেছে। পরে লাশ ডোবায় ডুবিয়ে দিয়েছে। তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা মঞ্জুরুলের লাশ উদ্ধার করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। উক্ত ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে ও হত্যাকারী নাহিদ পুলিশ হেফাজতে আছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

কুমিল্লায় টাকা চুরির সন্দেহ করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় ০৪:৪৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার দূর্গাপুর নোয়াপাড়ায় মন্জুরুল নামে একজন যুবককে কুপিয়ে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে লাশ ডোবায় ফেলে দেয় অপর শ্রমিক। ঘটনাটি ১৩ জনিুয়ারির হলেও সোমবার (১৬ জানুয়ারি) মধ্য রাতে নোয়াপাড়া এলাকার একটি ডোবা থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে বুড়িচং থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের রুমমেট মো. নাহিদকে (১৮) গ্রেফতার করেছে। রংপুরের বদরগঞ্জ থানার আলা মিয়ার ছেলে নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম(২৬) এবং গ্রেফতারকৃত নাহিদ(১৮) রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্র জানা যায়-নিহত মঞ্জুরুল স্থানীয় আক্তারের ফার্মে এবং নাহিদ দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। তারা দুইজন উপজেলার দুর্গাপুরের নোয়াপাড়া এলাকায় একটি রুমে ভাড়া থাকতেন। গত কয়েকদিন আগে মঞ্জুরুলের ১ হাজার ৫০০ টাকা হারিয়ে যায়। এ টাকা নাহিদ নিয়েছেন বলে সন্দেহ হয় মঞ্জুরুলের। পরে বিষয়টি নিয়ে নাহিদের মা-বাবাসহ বিভিন্ন জনের কাছে বিচার দেওয়া হয়।

এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মঞ্জুরুলের মাথায় দা দিয়ে একাধিক কোপ দিয়ে হত্যা করে।পরবর্তীতে লাশ বস্তাবন্দি করে ফার্মের পাশের একটি ডোবায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়। বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, ঘটনার শুরু ১৩ জানুয়ারি,গতকাল বিকালে আমাদের কাছে জিডি নিয়ে আসেন নিহত মঞ্জুরুলের বড় ভাই।পরবর্তীতে আমরা তার রুমমেটক নাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি।তার কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে আমরা তাকে ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বিস্তারিত বলে। সে জানায়, চোর বলাতেই তাকে হত্যা করেছে। পরে লাশ ডোবায় ডুবিয়ে দিয়েছে। তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা মঞ্জুরুলের লাশ উদ্ধার করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। উক্ত ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে ও হত্যাকারী নাহিদ পুলিশ হেফাজতে আছে।