ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

মৃত সন্তান জীবিত আছে এমনই ধারণা এক অসহায় মায়ের

রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায়,জাহাজকোম্পানী মোড় ও বিকেলে রাজা রামমোহন মার্কেটের সামনে পাতলা কম্বল গায়ে জড়ানো এ নারীকে দেখে অনেকেই জানতে চায় কোলের সন্তান সম্পর্কে। আশেপাশে কিছু মানুষের ভিড়। এরই মধ্যে ছুটে এসেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শক্ত করে কোলে আঁকড়ে ধরে আছে কি?এমন ঠান্ডায় বাইরে অবস্থানের কারণ জানতে চাইতেই মহিলা কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

আমরা কথা বলে জানতে পারলাম, তার কোলে যে মৃত্যু সন্তান শুয়ে আছে সে তারই নাড়িছেঁড়া সন্তান, তবে শিশুটি বেঁচে নেই। তা জানা সত্ত্বেও সন্তানের বেঁচে উঠার আশায় কোলে নিয়ে দিনভর এদিক সেদিক ছুটেছেন অবুঝ মনের এই মা। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা নাড়া দিয়েছে স্থানীয় লোকজন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ সাধারণ লোকদের চোখে পানি চলে আসে। পুলিশের বরাত দিয়ে জানা যায়, ওই নারী কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। বিয়ে না হলেও এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। আর সেই সম্পর্কের ফসল এই সন্তান। গত ১৭ দিন আগে রংপুর মেডিকেল কলেজ এলাকায় নবজাতকের জন্ম দেন তিনি।

এরপর সন্তানকে নিয়ে তার নিজ বাড়িতে গেলে সৎ বাবা তাকে মারধর করে শিশুটিকে বিক্রি করে দিতে বলেন। এ নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি রংপুর শহরে চলে আসেন।সন্তান নিয়ে ঘুরে ঘুরে যেখানে রাত হয় সেখানেই খোলা জায়গায় কোনোরকমে রাত যাপন করেন। এতে অযত্ন ঠান্ডা জনিত কারণে একপর্যায়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে শুক্রবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তিনি। সেখানে দায়িত্ব রত চিকিৎসক জানান, শিশুটি মারা গেছে।কিন্তু এই অভাগি মা মানতে নারাজ তার সন্তান এখনো জীবিত আছে। এই ধারণা নিয়ে তার মৃত্যু সন্তান কোলে নিয়ে পরম যত্নে আগলে রাখছে। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেল কে এই অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার? তাকে খোঁজে বের করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চয়ই সঠিক আইনি পদক্ষেপ নিবেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

মৃত সন্তান জীবিত আছে এমনই ধারণা এক অসহায় মায়ের

আপডেট সময় ০২:৫৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায়,জাহাজকোম্পানী মোড় ও বিকেলে রাজা রামমোহন মার্কেটের সামনে পাতলা কম্বল গায়ে জড়ানো এ নারীকে দেখে অনেকেই জানতে চায় কোলের সন্তান সম্পর্কে। আশেপাশে কিছু মানুষের ভিড়। এরই মধ্যে ছুটে এসেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শক্ত করে কোলে আঁকড়ে ধরে আছে কি?এমন ঠান্ডায় বাইরে অবস্থানের কারণ জানতে চাইতেই মহিলা কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

আমরা কথা বলে জানতে পারলাম, তার কোলে যে মৃত্যু সন্তান শুয়ে আছে সে তারই নাড়িছেঁড়া সন্তান, তবে শিশুটি বেঁচে নেই। তা জানা সত্ত্বেও সন্তানের বেঁচে উঠার আশায় কোলে নিয়ে দিনভর এদিক সেদিক ছুটেছেন অবুঝ মনের এই মা। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা নাড়া দিয়েছে স্থানীয় লোকজন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ সাধারণ লোকদের চোখে পানি চলে আসে। পুলিশের বরাত দিয়ে জানা যায়, ওই নারী কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। বিয়ে না হলেও এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। আর সেই সম্পর্কের ফসল এই সন্তান। গত ১৭ দিন আগে রংপুর মেডিকেল কলেজ এলাকায় নবজাতকের জন্ম দেন তিনি।

এরপর সন্তানকে নিয়ে তার নিজ বাড়িতে গেলে সৎ বাবা তাকে মারধর করে শিশুটিকে বিক্রি করে দিতে বলেন। এ নির্যাতন সইতে না পেরে তিনি রংপুর শহরে চলে আসেন।সন্তান নিয়ে ঘুরে ঘুরে যেখানে রাত হয় সেখানেই খোলা জায়গায় কোনোরকমে রাত যাপন করেন। এতে অযত্ন ঠান্ডা জনিত কারণে একপর্যায়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে শুক্রবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তিনি। সেখানে দায়িত্ব রত চিকিৎসক জানান, শিশুটি মারা গেছে।কিন্তু এই অভাগি মা মানতে নারাজ তার সন্তান এখনো জীবিত আছে। এই ধারণা নিয়ে তার মৃত্যু সন্তান কোলে নিয়ে পরম যত্নে আগলে রাখছে। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেল কে এই অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার? তাকে খোঁজে বের করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চয়ই সঠিক আইনি পদক্ষেপ নিবেন।