ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিস্তির টাকা দিতে না পারায় রিকশা চালকের আত্মহত্যা

রাজধানীর সবুজবাগ থানার দাস পাড়া এলাকায় কিস্তির টাকা দিতে না পারায় রাহেল ইসলাম (২৫) নামে এক রিকশা চালক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বুধবার দিবাগত রাত ২টার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায় পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আউয়াল  বলেন, টিনশেড বাড়িটিতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন রাহেল ইসলাম। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গলায় ফাঁস দেন তিনি। পরে দেখতে পেয়ে তার স্ত্রীসহ স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, পরে খবর পেয়ে আমরা মুগদা হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠাই। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার রোকনতাজ গ্রামে। তিনি ওই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।

নিহতের স্ত্রী নুরজাহান জানান, আমরা সবুজবাগে একমাত্র মেয়ে নুসরাতকে নিয়ে দাসপাড়ার ওই বাসায় ভাড়া থাকতাম। আমার স্বামী একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় ঋণের চাপে রাতে তিনি ফাঁস দেন। মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে দেখি গলায় রশি দিয়ে ঝুলে আছে। মাঝরাতে আমার চিৎকার শুনে বাড়িওয়ালাসহ লোকজন জড়ো হয়ে তাকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিস্তির টাকা দিতে না পারায় রিকশা চালকের আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০২:৩২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

রাজধানীর সবুজবাগ থানার দাস পাড়া এলাকায় কিস্তির টাকা দিতে না পারায় রাহেল ইসলাম (২৫) নামে এক রিকশা চালক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বুধবার দিবাগত রাত ২টার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায় পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আউয়াল  বলেন, টিনশেড বাড়িটিতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন রাহেল ইসলাম। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গলায় ফাঁস দেন তিনি। পরে দেখতে পেয়ে তার স্ত্রীসহ স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, পরে খবর পেয়ে আমরা মুগদা হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠাই। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার রোকনতাজ গ্রামে। তিনি ওই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।

নিহতের স্ত্রী নুরজাহান জানান, আমরা সবুজবাগে একমাত্র মেয়ে নুসরাতকে নিয়ে দাসপাড়ার ওই বাসায় ভাড়া থাকতাম। আমার স্বামী একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় ঋণের চাপে রাতে তিনি ফাঁস দেন। মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে দেখি গলায় রশি দিয়ে ঝুলে আছে। মাঝরাতে আমার চিৎকার শুনে বাড়িওয়ালাসহ লোকজন জড়ো হয়ে তাকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।