ঢাকা ০১:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

২০২২ সালে দুর্নীতিবাজদের ২৬৩২ কোটি টাকা জরিমানা

গত এক বছরে দুর্নীতির বিভিন্ন মামলার আসামিদের দুই হাজার ৬৩২ কোটি ৪১ লাখ টাকা জরিমানা ও প্রায় ১৪ কোটি টাকা সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আদালতের নির্দেশনায় এসব অর্থ এসেছে। একই সময়ে ৮১৫ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) এ বিষয়ে দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির টাকা ভোগ করতে দেওয়া হবে না। দুর্নীতি করলে পার পাওয়া যাবে না। করোনা মহামারির কারণে দুদকের কর্মকাণ্ড কিছুটা মন্থর মনে হলেও শিগগিরই গ্রেপ্তার অভিযান জোরদার করা হবে।

দুদক থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, ২০২২ সালে দুর্নীতির বিভিন্ন দায়ের করা মামলায় দুর্নীতিবাজ আসামিদের ২ হাজার ৬৩২ কোটি ৪১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৩ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সময়ে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদালতের নির্দেশনায় ১৩ কোটি ৯৬ লাখ ১৯ হাজার ১৬৭ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও ২০২২ সালে দুর্নীতিবাজদের মোট ৫৮৫ কোটি ৯২ লাখ ৫৮ হাজার ১৫৬ টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ১৪৪.২৪৪৫৬ একর জমি, ২৭টি বাড়ি, ১৯টি ফ্ল্যাট, ১১টি গাড়ি ও চারটি নৌযান। অন্যদিকে অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ হওয়া অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১৪৪৮টি ব্যাংক হিসাব ও ১১টি এফডিআরে ১৪৪ কোটি ৫৮ লাখ ৩৯ হাজার ৭০৬ টাকা, ২৭ হাজার ৯৫৪ মার্কিন ডলার ও ৭৯ কোটি ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬০ টাকার শেয়ার। মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২২৪ কোটি ৭৯ লাখ ৭৫ হাজার ১৬৬ টাকা।

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, ক্রোক ও অবরুদ্ধ হওয়া সম্পদের মধ্যে আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারর জমি ও ভবন, রাজউকের সম্পত্তি ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের সম্পত্তি রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে কমিশনের স্বতন্ত্র ইউনিট হিসেবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট যাত্রা শুরু করে। এর আগে ওই ইউনিটের অধীনে ২০২০ সালে আদালতের আদেশে ১৮০ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৭৪৬ টাকার সম্পত্তি ক্রোক করা হয় এবং ১৫২ কোটি ৯২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯৬ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়।

আর ২০২১ সালে ৩২৬ কোটি ৭১ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৮ টাকার সম্পত্তি ক্রোক করা হয় এবং ১ হাজার ১৬১ কোটি ৫৮ লাখ ১৪ হাজার ৪৮০ টাকার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা (পাউন্ড, কানাডিয়ান ডলার, অস্ট্রেলিয়ান ডলার) অবরুদ্ধ করা হয়। সবমিলিয়ে ওই দুই বছরে ৫০৬ কোটি ৮৩ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৪ টাকার সম্পদ ক্রোক এবং ১ হাজার ৩১৪ কোটি ৫১ লাখ ৯৭৬ টাকার সম্পদ অবরুদ্ধ করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

২০২২ সালে দুর্নীতিবাজদের ২৬৩২ কোটি টাকা জরিমানা

আপডেট সময় ০৬:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

গত এক বছরে দুর্নীতির বিভিন্ন মামলার আসামিদের দুই হাজার ৬৩২ কোটি ৪১ লাখ টাকা জরিমানা ও প্রায় ১৪ কোটি টাকা সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আদালতের নির্দেশনায় এসব অর্থ এসেছে। একই সময়ে ৮১৫ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) এ বিষয়ে দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির টাকা ভোগ করতে দেওয়া হবে না। দুর্নীতি করলে পার পাওয়া যাবে না। করোনা মহামারির কারণে দুদকের কর্মকাণ্ড কিছুটা মন্থর মনে হলেও শিগগিরই গ্রেপ্তার অভিযান জোরদার করা হবে।

দুদক থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, ২০২২ সালে দুর্নীতির বিভিন্ন দায়ের করা মামলায় দুর্নীতিবাজ আসামিদের ২ হাজার ৬৩২ কোটি ৪১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৩ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সময়ে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদালতের নির্দেশনায় ১৩ কোটি ৯৬ লাখ ১৯ হাজার ১৬৭ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও ২০২২ সালে দুর্নীতিবাজদের মোট ৫৮৫ কোটি ৯২ লাখ ৫৮ হাজার ১৫৬ টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ১৪৪.২৪৪৫৬ একর জমি, ২৭টি বাড়ি, ১৯টি ফ্ল্যাট, ১১টি গাড়ি ও চারটি নৌযান। অন্যদিকে অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ হওয়া অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১৪৪৮টি ব্যাংক হিসাব ও ১১টি এফডিআরে ১৪৪ কোটি ৫৮ লাখ ৩৯ হাজার ৭০৬ টাকা, ২৭ হাজার ৯৫৪ মার্কিন ডলার ও ৭৯ কোটি ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬০ টাকার শেয়ার। মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২২৪ কোটি ৭৯ লাখ ৭৫ হাজার ১৬৬ টাকা।

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, ক্রোক ও অবরুদ্ধ হওয়া সম্পদের মধ্যে আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারর জমি ও ভবন, রাজউকের সম্পত্তি ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের সম্পত্তি রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে কমিশনের স্বতন্ত্র ইউনিট হিসেবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট যাত্রা শুরু করে। এর আগে ওই ইউনিটের অধীনে ২০২০ সালে আদালতের আদেশে ১৮০ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৭৪৬ টাকার সম্পত্তি ক্রোক করা হয় এবং ১৫২ কোটি ৯২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯৬ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়।

আর ২০২১ সালে ৩২৬ কোটি ৭১ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৮ টাকার সম্পত্তি ক্রোক করা হয় এবং ১ হাজার ১৬১ কোটি ৫৮ লাখ ১৪ হাজার ৪৮০ টাকার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা (পাউন্ড, কানাডিয়ান ডলার, অস্ট্রেলিয়ান ডলার) অবরুদ্ধ করা হয়। সবমিলিয়ে ওই দুই বছরে ৫০৬ কোটি ৮৩ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৪ টাকার সম্পদ ক্রোক এবং ১ হাজার ৩১৪ কোটি ৫১ লাখ ৯৭৬ টাকার সম্পদ অবরুদ্ধ করা হয়।