আয়কর রিটার্ন দাখিল করার শেষ দিন আজ। যদিও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঘোষণা অনুযায়ী রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর। তবে শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় আজ আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ পাচ্ছেন করদাতারা।
এ বিষয়ে এনবিআর সদস্য (কর তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবা) মো. জাহিদ হাছান বলেন, আইন অনুযায়ী করদাতারা আজ রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ পাবে। যেহেতু আয়কর রিটার্ন দাখিল করার শেষ দুদিন ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটির দিন, তাই প্রথম কর্মদিনে করদাতারা রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। আয়কর আইন অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ সময় হলেও ব্যবসায়ী সংগঠনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সময় এক মাস বৃদ্ধি করেছিল এনবিআর।
দেশে বর্তমানে ৮২ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) করদাতা রয়েছে। ২০১৬ সালে আয়কর অধ্যাদেশে পরিবর্তন এনে ৩০ নভেম্বর জাতীয় কর দিবসের পর রিটার্ন জমা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাই সময় বাড়ানোর পথটি বন্ধ হয়ে যায়। যদিও গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে একমাস সময় বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
করদাতাদের প্রত্যাশা পূরণে এবারও এক ছাদের নিচে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে দেশের ৩১টি কর অফিসে পুরো ১ নভেম্বরে মেলার পরিবেশে করদাতাদের সেবা দেওয়া হয়। আয়কর নির্দেশিকা ২০২২-২৩ অনুযায়ী ৪০ ধরনের সেবায় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যে কারণে রিটার্ন দাখিলের বিকল্প নেই ই-টিআইএনধারীদের। তা না হলে পড়তে হবে নানা জটিলতায়।
সাধারণত কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী করদাতার আয় সাড়ে চার লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
এ ছাড়া আরও অনেক কারণে ব্যক্তিকে আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হয়। চলতি অর্থবছর থেকে শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই হবে না, বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রও দেখাতে হবে।