ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিশ্বকাপ শেষ, কোটি কোটি টাকার স্টেডিয়াম-হোটেলের ভবিষ্যৎ কী

ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাতারে ৭টি নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছিল। এমনকি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ফুটবলারদের অনুশীলনের জন্যও আলাদা মাঠের ব্যবস্থা ছিল কাতারে। সঙ্গে তৈরি হয়েছিল অনেক ব্যয়বহুল হোটেলও। কিন্তু বিশ্বকাপ তো শেষ, এখন কী হবে সেই স্টেডিয়ামগুলোর?

কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনে সব মিলিয়ে রেকর্ড ২১ লাখ কোটি টাকারও বেশি।  হিসাব বলছে, ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৭টি ফুটবল বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে যা খরচ হয়েছে তার চার গুণেরও বেশি টাকা খরচ হয়েছে শুধু কাতার বিশ্বকাপের আয়োজনে।

কিন্তু বিশ্বকাপ শেষ হওয়ায় তো প্রয়োজন ফুরলো এই স্টেডিয়ামগুলোর। কাতার বিশ্বকাপের জন্য যে ৭টি স্টেডিয়াম তৈরি করেছে, তার মধ্যে ১টি স্টেডিয়াম টুর্নামেন্টের পর পরই কাতার থেকে চিরতরে বিদায় নেবে। অস্থায়ী ভাবে তৈরি স্টেডিয়াম নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছিল ৯৭৪টি শিপিং কন্টেনার। কাতারের আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোডও +৯৭৪। তাই স্টেডিয়ামটির নাম দেওয়া হয় ৯৭৪। বিশ্বকাপের মাঝেই স্টেডিয়াম ৯৭৪ স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।

ইতিমধ্যেই খুলে ফেলা হয়েছে মডিউলার স্টেডিয়ামের একাংশ। ২০২১ সালে ৩০ নভেম্বর স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করা হয়। গত ৫ ডিসেম্বর ব্যবহারের জন্য বন্ধও করে দেওয়া হয় স্টেডিয়ামটি।

কিন্তু বাকি স্টেডিয়ামগুলির কী হবে? কাতারের প্রশাসন বলছে, লুসাইল স্টেডিয়ামে একটি স্কুল এবং অনেকগুলি দোকান-ক্যাফে তৈরি করা হবে। খেলাধুলার করারও প্রচুর জায়গা ওই স্টেডিয়ামে থাকবে। পাশাপাশি একটি হাসপাতাল এবং একটি কমিউনিটি হল-ও স্টেডিয়ামের জায়গায় তৈরি করা হবে। ফুটবল বিশ্বকাপের স্মৃতিতে একটি মিউজিয়াম তৈরিরও পরিকল্পনা চলছে ওই জায়গায়।

আল বায়ত স্টেডিয়ামে খোলা হবে একটি বিলাসবহুল হোটেল, একটি শপিং মল এবং একটি ওষুধের দোকান। মূলত খেলাধুলোর সময় যে ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীগুলির প্রয়োজন, সেগুলিই ওই ওষুধের দোকানে পাওয়া যাবে। বাকি ২টি স্টেডিয়াম ব্যবহার করবে স্থানীয় ২টি ফুটবল ক্লাব। আল রাইয়ান খেলবে আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে এবং আল ওয়াকরাহ খেলবে আল জানুবে।

আগামী যুক্তরাষ্ট বিশ্বকাপ ২০২৬ সালে জায়গা করে নিতে এখন থেকেই প্রশিক্ষণ শুরু করবে কাতারের জাতীয় ফুটবল দল। আর সেই প্রশিক্ষণের জন্য কাজে লাগানো হবে খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামকে। বাকি স্টেডিয়ামগুলিকে আবার নতুন করে তৈরি করা হবে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া এশিয়ান কাপের জন্য এই স্টেডিয়ামগুলো ব্যবহার করা হতে পারে।

বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করা হোটেলগুলিকে বদলে ফেলা হতে পারে ছোট ছোট আবাসনে। কয়েকটি হোটেল আরও উঁচু করে বহুতলে পরিণত করা হতে পারে। কিন্তু এত মানুষ কি কাতারে রয়েছে। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, ছোট্ট এই দেশের মোট জনসংখ্যা ২৯.৩ লাখ। তা হলে নতুন করে ওই আবাসনে কারা থাকবেন?

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

বিশ্বকাপ শেষ, কোটি কোটি টাকার স্টেডিয়াম-হোটেলের ভবিষ্যৎ কী

আপডেট সময় ১১:৪৩:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাতারে ৭টি নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছিল। এমনকি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ফুটবলারদের অনুশীলনের জন্যও আলাদা মাঠের ব্যবস্থা ছিল কাতারে। সঙ্গে তৈরি হয়েছিল অনেক ব্যয়বহুল হোটেলও। কিন্তু বিশ্বকাপ তো শেষ, এখন কী হবে সেই স্টেডিয়ামগুলোর?

কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনে সব মিলিয়ে রেকর্ড ২১ লাখ কোটি টাকারও বেশি।  হিসাব বলছে, ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৭টি ফুটবল বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে যা খরচ হয়েছে তার চার গুণেরও বেশি টাকা খরচ হয়েছে শুধু কাতার বিশ্বকাপের আয়োজনে।

কিন্তু বিশ্বকাপ শেষ হওয়ায় তো প্রয়োজন ফুরলো এই স্টেডিয়ামগুলোর। কাতার বিশ্বকাপের জন্য যে ৭টি স্টেডিয়াম তৈরি করেছে, তার মধ্যে ১টি স্টেডিয়াম টুর্নামেন্টের পর পরই কাতার থেকে চিরতরে বিদায় নেবে। অস্থায়ী ভাবে তৈরি স্টেডিয়াম নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছিল ৯৭৪টি শিপিং কন্টেনার। কাতারের আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোডও +৯৭৪। তাই স্টেডিয়ামটির নাম দেওয়া হয় ৯৭৪। বিশ্বকাপের মাঝেই স্টেডিয়াম ৯৭৪ স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।

ইতিমধ্যেই খুলে ফেলা হয়েছে মডিউলার স্টেডিয়ামের একাংশ। ২০২১ সালে ৩০ নভেম্বর স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করা হয়। গত ৫ ডিসেম্বর ব্যবহারের জন্য বন্ধও করে দেওয়া হয় স্টেডিয়ামটি।

কিন্তু বাকি স্টেডিয়ামগুলির কী হবে? কাতারের প্রশাসন বলছে, লুসাইল স্টেডিয়ামে একটি স্কুল এবং অনেকগুলি দোকান-ক্যাফে তৈরি করা হবে। খেলাধুলার করারও প্রচুর জায়গা ওই স্টেডিয়ামে থাকবে। পাশাপাশি একটি হাসপাতাল এবং একটি কমিউনিটি হল-ও স্টেডিয়ামের জায়গায় তৈরি করা হবে। ফুটবল বিশ্বকাপের স্মৃতিতে একটি মিউজিয়াম তৈরিরও পরিকল্পনা চলছে ওই জায়গায়।

আল বায়ত স্টেডিয়ামে খোলা হবে একটি বিলাসবহুল হোটেল, একটি শপিং মল এবং একটি ওষুধের দোকান। মূলত খেলাধুলোর সময় যে ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীগুলির প্রয়োজন, সেগুলিই ওই ওষুধের দোকানে পাওয়া যাবে। বাকি ২টি স্টেডিয়াম ব্যবহার করবে স্থানীয় ২টি ফুটবল ক্লাব। আল রাইয়ান খেলবে আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে এবং আল ওয়াকরাহ খেলবে আল জানুবে।

আগামী যুক্তরাষ্ট বিশ্বকাপ ২০২৬ সালে জায়গা করে নিতে এখন থেকেই প্রশিক্ষণ শুরু করবে কাতারের জাতীয় ফুটবল দল। আর সেই প্রশিক্ষণের জন্য কাজে লাগানো হবে খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামকে। বাকি স্টেডিয়ামগুলিকে আবার নতুন করে তৈরি করা হবে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া এশিয়ান কাপের জন্য এই স্টেডিয়ামগুলো ব্যবহার করা হতে পারে।

বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করা হোটেলগুলিকে বদলে ফেলা হতে পারে ছোট ছোট আবাসনে। কয়েকটি হোটেল আরও উঁচু করে বহুতলে পরিণত করা হতে পারে। কিন্তু এত মানুষ কি কাতারে রয়েছে। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, ছোট্ট এই দেশের মোট জনসংখ্যা ২৯.৩ লাখ। তা হলে নতুন করে ওই আবাসনে কারা থাকবেন?