ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ীতে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতি র‌্যাব-১৩ এর পৃথক অভিযানে ১৩১১ বোতল ফেনসিডিলসহ শীর্ষ ০৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কলেজ শিক্ষক জসিমের সিন্ডিকেটের অবৈধ ঔষধ ও চোরাই মোবাইলের রমরমা বাণিজ্য !! বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য : নাহিদ ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বরিস জনসনের টয়লেটে গিয়ে যে কাণ্ড ঘটালেন নেতানিয়াহু পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলা হাটে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ধামরাইয়ে ১৯৬ মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব

বিশ্বকাপ ফুটবলের এত দামি স্টেডিয়ামের কী হবে

মূল বিষয় হলো কাতার বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়াম ৯৭৪ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। মোট ৯৭৪টি কনটেইনার দিয়ে তৈরির কারণেই এই স্টেডিয়ামের নাম দেওয়া হয়েছে স্টেডিয়াম ৯৭৪। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই প্রথম অস্থায়ী স্টেডিয়াম। মডিউলার স্টিল ও শিপিং কনটেইনার দিয়ে তৈরির কারণেই বিশ্বকাপের শেষে সহজেই ভেঙে ফেলা যাবে এই স্টেডিয়াম। স্টেডিয়াম ভাঙার সময় যাতে দূষণ না হয়, সেটা নিয়ে আলাদা ভাবনাও আছে কাতার প্রশাসনের। এমনকি প্রয়োজনে ওই কনটেইনার পুনরায় ব্যবহারও করা যাবে। এমনকি দরকার পড়লে অন্য দেশেও স্থানান্তর করা যাবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা এই স্টেডিয়ামের নির্মাণশৈলীর প্রশংসা করলেও এর সম্পর্কে আরও অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে বলে মনে করেন তাঁরা। তাঁদের মতে, বিশ্বকাপের পর ঠিক কী করা হবে স্টেডিয়ামটির ধ্বংসাবশেষ নিয়ে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা। কোনো কিছুই পরিষ্কার নয়।

২০১১ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায় কাতার। এরপর ২০১৮ সালে শুরু হয় এই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ। ৪৪ হাজার ৮৯ আসনবিশিষ্ট এই স্টেডিয়াম তৈরি করতে লেগেছিল প্রায় তিন বছর। বিশ্বকাপ–যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ফিফা আরব কাপের ছয়টি ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে সৌদি আরব, কাতার, জর্দান, সুদান এই স্টেডিয়ামে খেলেছে।

কাতারে আরও আয়োজন
ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতার যেসব স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছে, সেগুলো অব্যবহৃত পড়ে থাকবে, তা নয়। ২০২৪ সালে এশিয়ান কাপ ফুটবলের স্বাগতিক দেশ তারা। হতে পারে, সেই সময় এই স্টেডিয়াম আবার ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া ২০৩০ সালে এশিয়ান গেমসেরও স্বাগতিক দেশ কাতার। ফলে তখনো এই স্টেডিয়াম ব্যবহার করা হতে পারে। মোদ্দাকথা হলো, এই স্টেডিয়ামের ভূতভবিষ্যৎ এখনো পরিষ্কার নয়। তবে নান্দনিক এই স্টেডিয়াম আবারও ব্যবহারের সুযোগ আছে।

কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো নির্মাণ করতে প্রায় ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করেছে, যা মোট ব্যয়ের (৩০ হাজার কোটি ডলার) খুবই সামান্য। তবে এই স্টেডিয়াম তার নির্মাণশৈলীর জন্যই খ্যাত হয়ে থাকবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজবাড়ীতে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতি

বিশ্বকাপ ফুটবলের এত দামি স্টেডিয়ামের কী হবে

আপডেট সময় ১২:২১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

মূল বিষয় হলো কাতার বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়াম ৯৭৪ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। মোট ৯৭৪টি কনটেইনার দিয়ে তৈরির কারণেই এই স্টেডিয়ামের নাম দেওয়া হয়েছে স্টেডিয়াম ৯৭৪। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই প্রথম অস্থায়ী স্টেডিয়াম। মডিউলার স্টিল ও শিপিং কনটেইনার দিয়ে তৈরির কারণেই বিশ্বকাপের শেষে সহজেই ভেঙে ফেলা যাবে এই স্টেডিয়াম। স্টেডিয়াম ভাঙার সময় যাতে দূষণ না হয়, সেটা নিয়ে আলাদা ভাবনাও আছে কাতার প্রশাসনের। এমনকি প্রয়োজনে ওই কনটেইনার পুনরায় ব্যবহারও করা যাবে। এমনকি দরকার পড়লে অন্য দেশেও স্থানান্তর করা যাবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা এই স্টেডিয়ামের নির্মাণশৈলীর প্রশংসা করলেও এর সম্পর্কে আরও অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে বলে মনে করেন তাঁরা। তাঁদের মতে, বিশ্বকাপের পর ঠিক কী করা হবে স্টেডিয়ামটির ধ্বংসাবশেষ নিয়ে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা। কোনো কিছুই পরিষ্কার নয়।

২০১১ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায় কাতার। এরপর ২০১৮ সালে শুরু হয় এই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ। ৪৪ হাজার ৮৯ আসনবিশিষ্ট এই স্টেডিয়াম তৈরি করতে লেগেছিল প্রায় তিন বছর। বিশ্বকাপ–যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ফিফা আরব কাপের ছয়টি ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে সৌদি আরব, কাতার, জর্দান, সুদান এই স্টেডিয়ামে খেলেছে।

কাতারে আরও আয়োজন
ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতার যেসব স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছে, সেগুলো অব্যবহৃত পড়ে থাকবে, তা নয়। ২০২৪ সালে এশিয়ান কাপ ফুটবলের স্বাগতিক দেশ তারা। হতে পারে, সেই সময় এই স্টেডিয়াম আবার ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া ২০৩০ সালে এশিয়ান গেমসেরও স্বাগতিক দেশ কাতার। ফলে তখনো এই স্টেডিয়াম ব্যবহার করা হতে পারে। মোদ্দাকথা হলো, এই স্টেডিয়ামের ভূতভবিষ্যৎ এখনো পরিষ্কার নয়। তবে নান্দনিক এই স্টেডিয়াম আবারও ব্যবহারের সুযোগ আছে।

কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো নির্মাণ করতে প্রায় ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করেছে, যা মোট ব্যয়ের (৩০ হাজার কোটি ডলার) খুবই সামান্য। তবে এই স্টেডিয়াম তার নির্মাণশৈলীর জন্যই খ্যাত হয়ে থাকবে।