ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ীতে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতি র‌্যাব-১৩ এর পৃথক অভিযানে ১৩১১ বোতল ফেনসিডিলসহ শীর্ষ ০৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কলেজ শিক্ষক জসিমের সিন্ডিকেটের অবৈধ ঔষধ ও চোরাই মোবাইলের রমরমা বাণিজ্য !! বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য : নাহিদ ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বরিস জনসনের টয়লেটে গিয়ে যে কাণ্ড ঘটালেন নেতানিয়াহু পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলা হাটে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ধামরাইয়ে ১৯৬ মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব

নতুন করে ১,২৫০ কোটি টাকা ধার নিল শরিয়াহ দুই ব্যাংক

প্রথম দিনেই টাকা ধার নিল ৫ ইসলামি ব্যাংক

গত সোমবার নতুন সুবিধা চালুর ঘোষণা দেওয়ার পর গত মঙ্গলবার ইসলামি ধারার পাঁচটি ব্যাংককে চার হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক পাঁচটি হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংক পাঁচটিরই মালিকানায় রয়েছে একই গ্রুপ। গতকাল বুধবার ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য–সুবিধা ব্যবস্থা থেকে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ধার করে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, সুকুকের বিপরীতে প্রয়োজনমতো টাকা নিতে পারবে ইসলামি ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার নতুন যে তারল্য–সুবিধা চালু করেছে, তার আওতায় ইসলামি ব্যাংকগুলো সুকুক (শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ বন্ড) জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিতে শুরু করেছে। ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো এখন ইসলামিক বিনিয়োগ বন্ড ও সুকুক বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে।

ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে ইসলামি ব্যাংকগুলোর হাতে বিধিবদ্ধ জমার বাইরে খুব বেশি বন্ড হাতে নেই। এ জন্য খুব বেশি টাকা ধারও করতে পারবে না তারা। তাই ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তিত এসব ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

টাকার জন্য দৌড়ঝাঁপ শরিয়াহ ব্যাংকগুলোর

ইসলামী ব্যাংক চেষ্টা করছে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছে, তা আদায় করার। তবে এসব অর্থ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হওয়ায় তা শিগগিরই ফেরত আসছে না। আবার অন্য ইসলামি ব্যাংকগুলোও তারল্য–সংকটে পড়ায় এসব ব্যাংক থেকেও অর্থ পাচ্ছে না।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুরত বলেন, ‘ইসলামি ধারার ছয় ব্যাংকের মালিক একজন। ইসলামী ব্যাংকের মতো অন্য ব্যাংকেও নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এভাবে অর্থসহায়তা দিয়ে ব্যাংকগুলোকে ঠিক করা যাবে না। জরুরি ভিত্তিতে এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সরিয়ে দায়িত্ব নিতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আমানতকারীদের আস্থা ফিরবে। ব্যবস্থা না নিয়ে এভাবে সহায়তা দিলে অন্য ব্যাংকের মালিকেরাও অনিয়মে উৎসাহিত হবে।

ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’

দেশের ৬১ ব্যাংকের মধ্যে এখন ১০টি ইসলামি ধারার ব্যাংক। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির আমানত প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। ইসলামি ধারার অন্য ব্যাংকগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, আল-আরাফাহ্, এক্সিম, শাহজালাল, স্ট্যান্ডার্ড ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। আর প্রচলিত ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৯টি ব্যাংকের শাখায় ইসলামি ধারার ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হয়। আর ১৩টি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ইসলামি ব্যাংকিং সেবা রয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজবাড়ীতে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতি

নতুন করে ১,২৫০ কোটি টাকা ধার নিল শরিয়াহ দুই ব্যাংক

আপডেট সময় ০১:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

প্রথম দিনেই টাকা ধার নিল ৫ ইসলামি ব্যাংক

গত সোমবার নতুন সুবিধা চালুর ঘোষণা দেওয়ার পর গত মঙ্গলবার ইসলামি ধারার পাঁচটি ব্যাংককে চার হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক পাঁচটি হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংক পাঁচটিরই মালিকানায় রয়েছে একই গ্রুপ। গতকাল বুধবার ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য–সুবিধা ব্যবস্থা থেকে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ধার করে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, সুকুকের বিপরীতে প্রয়োজনমতো টাকা নিতে পারবে ইসলামি ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার নতুন যে তারল্য–সুবিধা চালু করেছে, তার আওতায় ইসলামি ব্যাংকগুলো সুকুক (শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ বন্ড) জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিতে শুরু করেছে। ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো এখন ইসলামিক বিনিয়োগ বন্ড ও সুকুক বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে।

ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে ইসলামি ব্যাংকগুলোর হাতে বিধিবদ্ধ জমার বাইরে খুব বেশি বন্ড হাতে নেই। এ জন্য খুব বেশি টাকা ধারও করতে পারবে না তারা। তাই ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তিত এসব ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

টাকার জন্য দৌড়ঝাঁপ শরিয়াহ ব্যাংকগুলোর

ইসলামী ব্যাংক চেষ্টা করছে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছে, তা আদায় করার। তবে এসব অর্থ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হওয়ায় তা শিগগিরই ফেরত আসছে না। আবার অন্য ইসলামি ব্যাংকগুলোও তারল্য–সংকটে পড়ায় এসব ব্যাংক থেকেও অর্থ পাচ্ছে না।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুরত বলেন, ‘ইসলামি ধারার ছয় ব্যাংকের মালিক একজন। ইসলামী ব্যাংকের মতো অন্য ব্যাংকেও নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এভাবে অর্থসহায়তা দিয়ে ব্যাংকগুলোকে ঠিক করা যাবে না। জরুরি ভিত্তিতে এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সরিয়ে দায়িত্ব নিতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আমানতকারীদের আস্থা ফিরবে। ব্যবস্থা না নিয়ে এভাবে সহায়তা দিলে অন্য ব্যাংকের মালিকেরাও অনিয়মে উৎসাহিত হবে।

ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’

দেশের ৬১ ব্যাংকের মধ্যে এখন ১০টি ইসলামি ধারার ব্যাংক। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির আমানত প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। ইসলামি ধারার অন্য ব্যাংকগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, আল-আরাফাহ্, এক্সিম, শাহজালাল, স্ট্যান্ডার্ড ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। আর প্রচলিত ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৯টি ব্যাংকের শাখায় ইসলামি ধারার ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হয়। আর ১৩টি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ইসলামি ব্যাংকিং সেবা রয়েছে।