ঢাকা ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ধরিত্রী প্রোপার্টিজের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ অঢেল অবৈধ সম্পদের মালিক বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক নাসিম হায়দার চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নেতাসহ ৫ শিক্ষার্থীকে শাস্তি কুয়েটের প্রো-ভিসি শেখ শরীফুল আলমের দায়িত্ব গ্রহণ বোরহানউদ্দিনে স্বপ্নকুড়িঁ আধুনিক শিশু শিক্ষালয় স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নাটোর রানী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীরা মাদকাসক্ত কোন ছেলেকে বিবাহ করবে না ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬২৯ নতুন রোগী রংপুরে দলিল লেখক এর উপর হামলা বাবা ছেলে হাসপাতালে ভর্তি ভোলায় জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারীর বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের সংবাদ সম্মেলন রাহুল–প্রিয়াঙ্কাকে সহিংসতাগ্রস্ত সাম্ভালে যেতে দিল না পুলিশ

এখনও শনাক্তের বাইরে ১৫ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী

উন্নত ও বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও জনসচেতনতার অভাব ও সামাজিক কুসংস্কারের কারণে বিপুল সংখ্যক রোগী শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক এক জরিপে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। অথচ দেশে যক্ষ্মা চিকিৎসায় সাফল্যের হার ৯৭ শতাংশ।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘যক্ষ্মা এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কিত অ্যাডভোকেসি এবং নেটওয়ার্কিং’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রী আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. খুরশীদ আলম।

এতে ব্র্যাক, আইসিডিডিআর’বি, পার্টনারস ইন হেলথ ইন ডেভেলপমেন্ট (পিএইচডি), এআরকে ফাউন্ডেশন, খুলনা মুক্তিসেবা সংস্থা (কেএমএসএস), নাটাব, বিজিএমইএ, পায়াকট বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কর্মকর্তাসহ মোট ৫০ জনের ও বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

এতে ‘যক্ষ্মা বিষয়ক’ উপস্থাপনা তুলে ধরেন নারী মৈত্রীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিভাগের পরিচালক মাসুদা বেগম। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, যক্ষ্মা বিশ্বের ১০টি প্রধান মরণব্যাধির একটি। বাংলাদেশের জন্য এটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। যক্ষ্মা নির্মূলের মাধ্যমে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষের জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এই লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান-স্টপ টিবি পার্টনারশিপ এবং অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ধরিত্রী প্রোপার্টিজের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ

এখনও শনাক্তের বাইরে ১৫ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী

আপডেট সময় ১১:২৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

উন্নত ও বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও জনসচেতনতার অভাব ও সামাজিক কুসংস্কারের কারণে বিপুল সংখ্যক রোগী শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক এক জরিপে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। অথচ দেশে যক্ষ্মা চিকিৎসায় সাফল্যের হার ৯৭ শতাংশ।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘যক্ষ্মা এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কিত অ্যাডভোকেসি এবং নেটওয়ার্কিং’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রী আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. খুরশীদ আলম।

এতে ব্র্যাক, আইসিডিডিআর’বি, পার্টনারস ইন হেলথ ইন ডেভেলপমেন্ট (পিএইচডি), এআরকে ফাউন্ডেশন, খুলনা মুক্তিসেবা সংস্থা (কেএমএসএস), নাটাব, বিজিএমইএ, পায়াকট বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কর্মকর্তাসহ মোট ৫০ জনের ও বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

এতে ‘যক্ষ্মা বিষয়ক’ উপস্থাপনা তুলে ধরেন নারী মৈত্রীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিভাগের পরিচালক মাসুদা বেগম। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, যক্ষ্মা বিশ্বের ১০টি প্রধান মরণব্যাধির একটি। বাংলাদেশের জন্য এটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। যক্ষ্মা নির্মূলের মাধ্যমে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষের জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এই লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান-স্টপ টিবি পার্টনারশিপ এবং অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করছে।