ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর গাড়িচালকের ২ কোটি টাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি! প্রতারণার নতুন ফাঁদে মোস্তফা সরদার তপন ও সহযোগী মুনা মুগদা থানা নবগত ওসির সঙ্গে মুগদা স্থানীয় সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে জানতে চাইবে দলগুলো ইয়েমেনের ১৫ নিশানায় মার্কিন হামলা বছিলা সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন শুভ উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্তে তিনটি ককটেল উদ্ধার করেছে বিজিবি বোরহানউদ্দিনে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত- চ্যাম্পিয়ান হাকিমুউদ্দিন বাজার একাদশ লালমনিরহাটে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের বিরুদ্ধে ৫৯ কর্মচারির অনাস্হা পাবনায় বৈসম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাসুল সঃ ও নাত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত

শিশু আয়াত হত্যা: স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন গ্রেফতার আবির

চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড এলাকায় আলিনা ইসলাম আয়াত হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার আবির আলী।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ১৭ পৃষ্ঠার জবানবন্দি দেয় আবির।

গ্রেফতার আবিরকে দ্বিতীয় দফায় সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ রিমান্ডের ষষ্ঠ দিনে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক মনোজ কুমার দে জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম উল্লাহ চৌধুরী জানান, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের পর আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব।

চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা এলাকায় গত ১৫ নভেম্বর নিখোঁজ হয় সাত বছর বয়সী আলিনা ইসলাম আয়াত। ওইদিন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ইপিজেড থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।

এ ঘটনায় থানা পুলিশ কোনো ক্লু উদঘাটন করতে না পারলেও ২৪ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী সড়ক থেকে আবির আলীকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

আটকের পর পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু আয়াতকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণের কথা স্বীকার করেন আবির আলী। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং ধারালো বটি ও অ্যান্টিকাটার দিয়ে মরদেহ ছয় টুকরা করে নালা ও সাগরে ফেলে দেওয়ার তথ্য দেন পিবিআইকে।

প্রথম দফায় দুদিনের রিমান্ডে থাকার সময়ে ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার না হওয়ায় ২৮ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় পিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আরও সাতদিনের রিমান্ড দেয়। এ ঘটনায় আবির আলীর বাবা আজহারুল, মা আলো বেগম এবং বোনকেও গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় পিবিআই।

গ্রেফতার আবির আলীর (১৯) দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে পিবিআইয়ের ২৫ জনের দুটি টিম আয়াতের দেহের খণ্ডাংশগুলো ফেলার স্থান দুটিতে অনুসন্ধান চালায়। একপর্যায়ে ৩০ নভেম্বর খণ্ডিত পা দুটি এবং ১ ডিসেম্বর সকালে খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করে পিবিআই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর গাড়িচালকের ২ কোটি টাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি!

শিশু আয়াত হত্যা: স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন গ্রেফতার আবির

আপডেট সময় ১১:৫০:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড এলাকায় আলিনা ইসলাম আয়াত হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার আবির আলী।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ১৭ পৃষ্ঠার জবানবন্দি দেয় আবির।

গ্রেফতার আবিরকে দ্বিতীয় দফায় সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ রিমান্ডের ষষ্ঠ দিনে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক মনোজ কুমার দে জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম উল্লাহ চৌধুরী জানান, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের পর আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব।

চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা এলাকায় গত ১৫ নভেম্বর নিখোঁজ হয় সাত বছর বয়সী আলিনা ইসলাম আয়াত। ওইদিন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ইপিজেড থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।

এ ঘটনায় থানা পুলিশ কোনো ক্লু উদঘাটন করতে না পারলেও ২৪ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী সড়ক থেকে আবির আলীকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

আটকের পর পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু আয়াতকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণের কথা স্বীকার করেন আবির আলী। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং ধারালো বটি ও অ্যান্টিকাটার দিয়ে মরদেহ ছয় টুকরা করে নালা ও সাগরে ফেলে দেওয়ার তথ্য দেন পিবিআইকে।

প্রথম দফায় দুদিনের রিমান্ডে থাকার সময়ে ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার না হওয়ায় ২৮ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় পিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আরও সাতদিনের রিমান্ড দেয়। এ ঘটনায় আবির আলীর বাবা আজহারুল, মা আলো বেগম এবং বোনকেও গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় পিবিআই।

গ্রেফতার আবির আলীর (১৯) দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে পিবিআইয়ের ২৫ জনের দুটি টিম আয়াতের দেহের খণ্ডাংশগুলো ফেলার স্থান দুটিতে অনুসন্ধান চালায়। একপর্যায়ে ৩০ নভেম্বর খণ্ডিত পা দুটি এবং ১ ডিসেম্বর সকালে খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করে পিবিআই।