ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত বায়োটেকের ন্যাসাল ভ্যাকসিনের অনুমোদন, ব্যবহার যেভাবে

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ন্যাসাল ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ভারত। দেশটির সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এ অনুমোদন দিয়েছে। ফলে প্রথমবার নিজেদের তৈরি সুঁই ছাড়া ভ্যাকসিন বাজারে আনতে যাচ্ছে ভারত বায়োটেক। ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের হেটেরোলগাস বুস্টার ডোজ হিসেবে এই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।

কোনো ব্যক্তি ভাইরাস মোকাবিলায় প্রাথমিকভাবে যেকোনো একটি ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারেন। পরে ভাইরাস মোকাবিলায় অন্য ভ্যাকসিনের ব্যবহারকে হেটেরোলগাস বুস্টার ডোজ বলা হয়। ভারতের বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের তৈরি কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করেছেন। অনুমতি সাপেক্ষে তারা বুস্টার ডোজ হিসেবে ভারত বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, আগে সফলভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়। ইতোমধ্যে এই ভ্যাকসিন প্রায় ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও দাবি ভারত বায়োটেকের।

এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে ভারত বায়োটেক শিম্পাঞ্জির কোল্ড ভাইরাস ব্যবহার করেছে। এই গবেষণায় সাহায্য করেছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি সেন্ট লুইস। নাকের ভেতরে কিংবা শ্লেষ্মায় করোনাভাইরাস থাকলে তার ওপরে গিয়ে কাজ করে এই ন্যাসাল ভ্যাকসিন, হাতে দেওয়া ভ্যাকসিন যে কাজ করতে পারে না। এটি ইমিউনোগ্লোবিউলিন নামে অ্যান্টিবডি তৈরি করে, যা সংক্রমণকে বাধা দেয় এবং মানুষের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত বায়োটেকের ন্যাসাল ভ্যাকসিনের অনুমোদন, ব্যবহার যেভাবে

আপডেট সময় ১২:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ন্যাসাল ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ভারত। দেশটির সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এ অনুমোদন দিয়েছে। ফলে প্রথমবার নিজেদের তৈরি সুঁই ছাড়া ভ্যাকসিন বাজারে আনতে যাচ্ছে ভারত বায়োটেক। ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের হেটেরোলগাস বুস্টার ডোজ হিসেবে এই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।

কোনো ব্যক্তি ভাইরাস মোকাবিলায় প্রাথমিকভাবে যেকোনো একটি ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারেন। পরে ভাইরাস মোকাবিলায় অন্য ভ্যাকসিনের ব্যবহারকে হেটেরোলগাস বুস্টার ডোজ বলা হয়। ভারতের বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের তৈরি কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করেছেন। অনুমতি সাপেক্ষে তারা বুস্টার ডোজ হিসেবে ভারত বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, আগে সফলভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়। ইতোমধ্যে এই ভ্যাকসিন প্রায় ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও দাবি ভারত বায়োটেকের।

এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে ভারত বায়োটেক শিম্পাঞ্জির কোল্ড ভাইরাস ব্যবহার করেছে। এই গবেষণায় সাহায্য করেছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি সেন্ট লুইস। নাকের ভেতরে কিংবা শ্লেষ্মায় করোনাভাইরাস থাকলে তার ওপরে গিয়ে কাজ করে এই ন্যাসাল ভ্যাকসিন, হাতে দেওয়া ভ্যাকসিন যে কাজ করতে পারে না। এটি ইমিউনোগ্লোবিউলিন নামে অ্যান্টিবডি তৈরি করে, যা সংক্রমণকে বাধা দেয় এবং মানুষের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়।