ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নাগেশ্বরীতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল রংপুরে ব্রাকেট বিহীন জাসদ গড়তে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মঠবাড়িয়ায় বিয়ের পর স্ত্রী কে নির্যাতন যৌতুক মামলায় স্বামী কারাগারে মিরপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত আলীকদমে অপ্রাপ্তবয়স্ক টমটম চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা লক্ষ্মীপুরে বিএনপি যুবদলের নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত টিম গঠন মাগুরায় শিশু আছিয়ার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত হুরে জান্নাত মহিলা মাদ্রাসার ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত দোয়ারাবাজারে ঝড়ের তান্ডবে লন্ডবন্ড নুরে মদিনা মাদ্রাসা পাঠদান নিয়ে শংষ্কায় শিক্ষার্থীরা বেরোবি মসজিদের খতিব ড. রকিব উদ্দিন আহাম্মেদের পিএইচডি অর্জন

খুলনায় ধর্ষণের বিচার চাইলেন ভুক্তভোগী ছোট ভাইয়ের বউ ও বাচ্চা

ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও নির্যাতনের শাস্তির দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। ১৬ই মার্চ রবিবার দুপুর ২টায়, সারাদেশ যখন ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ মামলার আসামিদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে জনগণ, তখন স্বামীর বড় ভাই হয়ে কিভাবে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করতে পারে এবং এ ঘটনায় আদালতে মামলা করা হলেও একমাস অতিবাহিত হওয়ার পরও তার কোন তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আপরাদের লেখনীর মাধ্যমে অপরাধীর শাস্তির দাবিতে আপরাদের দারস্থ হয়েছি।

সংবাদ সম্মেলন বিথী আক্তার বলেন, আমি বিথী আক্তার স্বামী- মো. মফিজুর রহমান, সাং- হাজী ইসমাইল নিংক রোড, সিদ্দিকীয়া মহল্লা, সোনাডাঙ্গা, খুলনা। স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল আমার। কিন্তু আমার স্বামীর সৎ বড় ভাই সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. হাফিজুর রহমান মনি স্ত্রী মারা যাওয়ার পর কেমন যেন হায়না হয়ে উঠে। আমার সঙ্গে খারাপ আচারন করতে থাকে এবং কুপ্রস্তাব দেয়।

এ ঘটনা আমি আমার স্বামীকে জানাই। মনি যেহেতু আমার স্বামীর বড় ভাই তিনিও বিষয়টি কৌশলে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। পরে মনি বলে “আমি যা চাই, আজ হোক আর কাল হোক তাহা আমি আদায় করে ছাড়ব। আমি বাধার সৃষ্টি করিলে সে রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখানোর হুমকি দেয় এমনকি আমি বাধার সৃষ্টি করলে জীবন নাশের হুমকি দেয়। এরপরেও আমি তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুর ১টা থেকে দেড়টার দিকে আমি গোসল করার প্রস্তুতি নেওয়ার পূর্ব মুহুর্তে আমাকে বাড়ীতে একা পেয়ে আমার শোয়ার কক্ষে ঘাপটি মেরে থাকা হাফিজুর রহমান মনি রাগান্বিত অবস্থায় আচমকা আমাকে ঝাপটে ধরে খাটের উপর চিৎ করে ফেলে টান মেরে পরনের কামিজ-স্যালোয়ার ও ব্রা ছিড়ে বিবস্ত্র করে মুখের মধ্যে কাপড় দিয়ে আমার শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয় এবং আমার বুকের উপর উঠে ধর্ষনের চেষ্টা করে।

এসময় আমি তার বুকে লাথি মেরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সে প্রচন্ড ক্ষীপ্ত হয়ে আমার নাকে, মুখে চোখে কিল, ঘুষি, লাথি, মেরে চুলের মুঠা ধরে টানা হেচড়া করে এবং কনুই দিয়া আমার মাজা-পিটসহ বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে আঘাত করিলে কালশিরা ফুলা ও থেতলানো জখম হয়। এ সময় ছোট ছেলে চলে এসে তার পা ধরে বলে আমার মাকে ছেড়ে দেন। তখন সে আমার স্বামী ও ২ সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়া দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আমি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করি। ওই দিন রাতে তার ছেলে ইমুল আমাদের চাপাতি দিয়ে কোপাতে আসে। আমরা পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে থানায় যাই। তারপরও তারা কোন মামলা নেয়নি।

বিথী আক্তার আরও বলেন, আমার স্বামী ঢাকা শহরে একটি চাইনিজ হোটেলে চাকুরীর সুবাদে ঢাকায় থাকে। আমি ২ সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে থাকি। আর এ সুযোগে আমার ভাসুর হাফিজুর রহমান মনি আমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় আমি ওই দিনই পরপর দুবার সোনাডাঙ্গা থানায় যাই। কিন্তু আমার মামলা নেইনি। পরে আমি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৩ একটি নালিশী পিটিশন দাখিল করি। ওই দিন মহামান্য বিচারক পিটিশনটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু অতি দুঃখের ব্যাপার একমাস অতিবাহিত হওয়ার পরও তার কোন তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। এমনকি কোন তদন্ত কর্মকর্তাও এখনও আমার কাছে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। আমার ভয় হচ্ছে হাফিজুর রহমান মনি তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মামলাকে প্রভাবিত করছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা মনি বাদীকে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বাদী তাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানা থেকে ফেলে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে মারধর করেন। এতে বাদীর শরীরে থেঁতলে যাওয়া দাগ ও গুরুতর আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
যা আমরা শুনেছি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে এলে অভিযুক্ত মনি বাদীর স্বামী ও দুই সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। এরপর বাদীকে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়

বৃহস্পতিবার ওই ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাফিজুর রহমান মনির সম্পর্কে আমার ভাসুর হন। ওই দিন ঘটনার পর আমি সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অভিযোগ দিতে গেলে ওসি মামলা না নিয়ে উল্টো আসামি মনিকে ফোন দিয়ে বলে, আপনারা ঝামেলা মিটিয়ে ফেলেন। বিষয়টি আমি সেনাবাহিনী ক্যাম্পেও অবহিত করি। প্রতিকার না পেয়ে আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করে।

বিথী আক্তারের বড় ছেলে সাংবাদ সম্মেলনবলেন, চোখের সামনে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আমার মাকে নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার আসামিরা। ভুক্তভোগী গৃহবধূ বিথীর ছেলের বন্ধুরা আমাকে আর পরিবারের সদস্যদের রাস্তায় দেখলে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে হাসাহাসি করছে এলাকাবাসী। তাই দেখে সংবাদ সম্মেলন করে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবি জানিয়েছেন এই ভুক্তভোগী নারীও তার দুই ছেলে। বিথীর ছেলে আরো বলে সাংবাদিক ভাইয়েরা, আমি আপনাদের মাধ্যমে বলছি রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বিএনপি নেতা মনি আসামি যাতে মামলা থেকে অব্যাহতি না পেতে পারে এবং সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দোষী ব্যাক্তির দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নাগেশ্বরীতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

খুলনায় ধর্ষণের বিচার চাইলেন ভুক্তভোগী ছোট ভাইয়ের বউ ও বাচ্চা

আপডেট সময় ০৬:৫৩:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও নির্যাতনের শাস্তির দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। ১৬ই মার্চ রবিবার দুপুর ২টায়, সারাদেশ যখন ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ মামলার আসামিদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে জনগণ, তখন স্বামীর বড় ভাই হয়ে কিভাবে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করতে পারে এবং এ ঘটনায় আদালতে মামলা করা হলেও একমাস অতিবাহিত হওয়ার পরও তার কোন তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আপরাদের লেখনীর মাধ্যমে অপরাধীর শাস্তির দাবিতে আপরাদের দারস্থ হয়েছি।

সংবাদ সম্মেলন বিথী আক্তার বলেন, আমি বিথী আক্তার স্বামী- মো. মফিজুর রহমান, সাং- হাজী ইসমাইল নিংক রোড, সিদ্দিকীয়া মহল্লা, সোনাডাঙ্গা, খুলনা। স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল আমার। কিন্তু আমার স্বামীর সৎ বড় ভাই সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. হাফিজুর রহমান মনি স্ত্রী মারা যাওয়ার পর কেমন যেন হায়না হয়ে উঠে। আমার সঙ্গে খারাপ আচারন করতে থাকে এবং কুপ্রস্তাব দেয়।

এ ঘটনা আমি আমার স্বামীকে জানাই। মনি যেহেতু আমার স্বামীর বড় ভাই তিনিও বিষয়টি কৌশলে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। পরে মনি বলে “আমি যা চাই, আজ হোক আর কাল হোক তাহা আমি আদায় করে ছাড়ব। আমি বাধার সৃষ্টি করিলে সে রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখানোর হুমকি দেয় এমনকি আমি বাধার সৃষ্টি করলে জীবন নাশের হুমকি দেয়। এরপরেও আমি তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুর ১টা থেকে দেড়টার দিকে আমি গোসল করার প্রস্তুতি নেওয়ার পূর্ব মুহুর্তে আমাকে বাড়ীতে একা পেয়ে আমার শোয়ার কক্ষে ঘাপটি মেরে থাকা হাফিজুর রহমান মনি রাগান্বিত অবস্থায় আচমকা আমাকে ঝাপটে ধরে খাটের উপর চিৎ করে ফেলে টান মেরে পরনের কামিজ-স্যালোয়ার ও ব্রা ছিড়ে বিবস্ত্র করে মুখের মধ্যে কাপড় দিয়ে আমার শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয় এবং আমার বুকের উপর উঠে ধর্ষনের চেষ্টা করে।

এসময় আমি তার বুকে লাথি মেরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সে প্রচন্ড ক্ষীপ্ত হয়ে আমার নাকে, মুখে চোখে কিল, ঘুষি, লাথি, মেরে চুলের মুঠা ধরে টানা হেচড়া করে এবং কনুই দিয়া আমার মাজা-পিটসহ বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে আঘাত করিলে কালশিরা ফুলা ও থেতলানো জখম হয়। এ সময় ছোট ছেলে চলে এসে তার পা ধরে বলে আমার মাকে ছেড়ে দেন। তখন সে আমার স্বামী ও ২ সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়া দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আমি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করি। ওই দিন রাতে তার ছেলে ইমুল আমাদের চাপাতি দিয়ে কোপাতে আসে। আমরা পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে থানায় যাই। তারপরও তারা কোন মামলা নেয়নি।

বিথী আক্তার আরও বলেন, আমার স্বামী ঢাকা শহরে একটি চাইনিজ হোটেলে চাকুরীর সুবাদে ঢাকায় থাকে। আমি ২ সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে থাকি। আর এ সুযোগে আমার ভাসুর হাফিজুর রহমান মনি আমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় আমি ওই দিনই পরপর দুবার সোনাডাঙ্গা থানায় যাই। কিন্তু আমার মামলা নেইনি। পরে আমি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৩ একটি নালিশী পিটিশন দাখিল করি। ওই দিন মহামান্য বিচারক পিটিশনটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু অতি দুঃখের ব্যাপার একমাস অতিবাহিত হওয়ার পরও তার কোন তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। এমনকি কোন তদন্ত কর্মকর্তাও এখনও আমার কাছে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। আমার ভয় হচ্ছে হাফিজুর রহমান মনি তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মামলাকে প্রভাবিত করছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা মনি বাদীকে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বাদী তাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানা থেকে ফেলে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে মারধর করেন। এতে বাদীর শরীরে থেঁতলে যাওয়া দাগ ও গুরুতর আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
যা আমরা শুনেছি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে এলে অভিযুক্ত মনি বাদীর স্বামী ও দুই সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। এরপর বাদীকে গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়

বৃহস্পতিবার ওই ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাফিজুর রহমান মনির সম্পর্কে আমার ভাসুর হন। ওই দিন ঘটনার পর আমি সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অভিযোগ দিতে গেলে ওসি মামলা না নিয়ে উল্টো আসামি মনিকে ফোন দিয়ে বলে, আপনারা ঝামেলা মিটিয়ে ফেলেন। বিষয়টি আমি সেনাবাহিনী ক্যাম্পেও অবহিত করি। প্রতিকার না পেয়ে আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করে।

বিথী আক্তারের বড় ছেলে সাংবাদ সম্মেলনবলেন, চোখের সামনে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আমার মাকে নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার আসামিরা। ভুক্তভোগী গৃহবধূ বিথীর ছেলের বন্ধুরা আমাকে আর পরিবারের সদস্যদের রাস্তায় দেখলে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে হাসাহাসি করছে এলাকাবাসী। তাই দেখে সংবাদ সম্মেলন করে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবি জানিয়েছেন এই ভুক্তভোগী নারীও তার দুই ছেলে। বিথীর ছেলে আরো বলে সাংবাদিক ভাইয়েরা, আমি আপনাদের মাধ্যমে বলছি রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বিএনপি নেতা মনি আসামি যাতে মামলা থেকে অব্যাহতি না পেতে পারে এবং সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দোষী ব্যাক্তির দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।