ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

সম্মাননা পাচ্ছেন আশরাফুল আলম ও রফিকুল আলম

তিন বছর পর চেনা রূপে ফিরছে ‘জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব’। বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার আয়োজনে আগামী শুক্র ও শনিবার (২৫ ও ২৬ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়নে অনুষ্ঠিত হবে এটি। শুক্রবার সকাল ১০টায় উৎসব উদ্বোধনের পাশাপাশি গুণীজন সম্মাননা প্রদান করবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

‘এই জীবনে ব্যথা যত এইখানে সব হবে গত’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এমন অমিয়বাণী ধারণ করে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনটির ৩৩তম আসর। এ বছর উৎসবের সঙ্গে থাকছে গুণীজন সম্মাননা পর্বও। সম্মাননা পাচ্ছেন বরেণ্য বাচিকশিল্পী আশরাফুল আলম এবং বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম। তারা দুজনেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক।

উৎসবের আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে বুধবার (২৩ নভেম্বর) একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আয়োজক সংস্থা। এতে সংস্থাটির সভাপতি রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী তপন মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের সময়ে শুধু বিটিভি ছিল। বা বেতার। ফলে আমরা সেখানে গাইলে পুরো বাংলাদেশ কাভার হতো। এখন অসংখ্য চ্যানেল, কিন্তু শিল্পীরা আগের সেই এক্সপোজার পান না। অথচ আমরা চাই নতুনরা গাইবার সুযোগ পাক, প্রচার পাক। সেই কাজটির জন্য এমন একটি উৎসবের আসলে খুব দরকার। এমন আয়োজন হলে নতুন শিল্পীরা অনেক সাহস পান। তাই এবারও আমরা নতুন সদস্যদের তুলে ধরবো মঞ্চে। সঙ্গে আমরা তো থাকবোই।’

rabindra sangeet festসংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার নেতৃবৃন্দঅন্যদিকে সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক ও কণ্ঠশিল্পী পীযূষ বড়ুয়া বলেন, ‘শেষবার এই উৎসব করেছি ২০১৯ সালে, মানে সরাসরি মঞ্চে। ২০ সালে পারিনি করোনভাইরাস (কোভিড-১৯)-এর কারণে। ২১ সালে করেছি সীমিত পরিসরে অনলাইনে। ফলে এবারের উৎসবটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সাল থেকে রবীন্দ্রসংগীত ও নবীন শিল্পীদের বিকাশে কাজ করে আসছে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা। তাদের উদ্যোগেই প্রতি বছর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) উদ্বোধনের পর বেলা ১১টায় শুরু হবে সংগীত পরিবেশনা। মাঝে বিরতি নিয়ে বিকাল পাঁচটায় হবে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান। পরদিন বিকাল ৫টা থেকে হবে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান। এবারের উৎসবের সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০ জন শিল্পী একক ও দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেবেন।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

সম্মাননা পাচ্ছেন আশরাফুল আলম ও রফিকুল আলম

আপডেট সময় ০৩:০৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

তিন বছর পর চেনা রূপে ফিরছে ‘জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব’। বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার আয়োজনে আগামী শুক্র ও শনিবার (২৫ ও ২৬ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়নে অনুষ্ঠিত হবে এটি। শুক্রবার সকাল ১০টায় উৎসব উদ্বোধনের পাশাপাশি গুণীজন সম্মাননা প্রদান করবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

‘এই জীবনে ব্যথা যত এইখানে সব হবে গত’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এমন অমিয়বাণী ধারণ করে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনটির ৩৩তম আসর। এ বছর উৎসবের সঙ্গে থাকছে গুণীজন সম্মাননা পর্বও। সম্মাননা পাচ্ছেন বরেণ্য বাচিকশিল্পী আশরাফুল আলম এবং বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম। তারা দুজনেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক।

উৎসবের আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে বুধবার (২৩ নভেম্বর) একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আয়োজক সংস্থা। এতে সংস্থাটির সভাপতি রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী তপন মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের সময়ে শুধু বিটিভি ছিল। বা বেতার। ফলে আমরা সেখানে গাইলে পুরো বাংলাদেশ কাভার হতো। এখন অসংখ্য চ্যানেল, কিন্তু শিল্পীরা আগের সেই এক্সপোজার পান না। অথচ আমরা চাই নতুনরা গাইবার সুযোগ পাক, প্রচার পাক। সেই কাজটির জন্য এমন একটি উৎসবের আসলে খুব দরকার। এমন আয়োজন হলে নতুন শিল্পীরা অনেক সাহস পান। তাই এবারও আমরা নতুন সদস্যদের তুলে ধরবো মঞ্চে। সঙ্গে আমরা তো থাকবোই।’

rabindra sangeet festসংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার নেতৃবৃন্দঅন্যদিকে সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক ও কণ্ঠশিল্পী পীযূষ বড়ুয়া বলেন, ‘শেষবার এই উৎসব করেছি ২০১৯ সালে, মানে সরাসরি মঞ্চে। ২০ সালে পারিনি করোনভাইরাস (কোভিড-১৯)-এর কারণে। ২১ সালে করেছি সীমিত পরিসরে অনলাইনে। ফলে এবারের উৎসবটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সাল থেকে রবীন্দ্রসংগীত ও নবীন শিল্পীদের বিকাশে কাজ করে আসছে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা। তাদের উদ্যোগেই প্রতি বছর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) উদ্বোধনের পর বেলা ১১টায় শুরু হবে সংগীত পরিবেশনা। মাঝে বিরতি নিয়ে বিকাল পাঁচটায় হবে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান। পরদিন বিকাল ৫টা থেকে হবে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান। এবারের উৎসবের সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০ জন শিল্পী একক ও দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেবেন।