ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ৪ শতাধিক গাড়ি লুটের ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা গুলশান-বনানীর অর্ধশতাধিক স্পা সেন্টার থেকে অর্ধ লক্ষ হারে চাঁদা আদায় কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিএনপিতে পুনর্বাসনের অভিযোগ শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন লামায় শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুভ উদ্বোধন ডিআইইউ’তে ‘স্মার্ট ইংলিশ ফর গ্লোবাল কমিউনিকেশন’ ওয়ার্কশপ  দিনে দিনে কমে যাচ্ছে মকতবের শিক্ষা ব্যবস্থা শরীয়তপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি’র সম্মাননা পেলো ওবায়েদুল হক মালুমঘাট সাংগঠনিক ইউনিয়ন বিএনপির প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন কয়রায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে আদালতে মামলা

বদরগঞ্জে মৎস্য চাষের নামে অবৈধ সেচ পাম্প স্থাপনের অভিযোগ

রংপুরের বদরগঞ্জে বাণিজ্যিক সেচ পাম্প এলাকায় মৎস্য চাষের নামে একটি অবৈধভাবে সেচ পাম্প স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বৈধ সেচ পাম্পের যৌথ মালিকগন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ওসমানপুর মুন্সিপাড়া গ্রামের জাবেদ আলী, একই এলাকার মমিনুর রহমান ও নুর ইসলাম দীর্ঘ ৩২বৎসর যাবত বৈধভাবে সেচ পাম্প স্থপন করে এর কার্যক্রম পরিচালনাপুর্বক নিজের জমি সহ গ্রাহকদের জমিতে পানি সেচ দিয়ে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতিকালে ওই গ্রামের আবুল কায়েস ও তার স্ত্রী মোছাঃ সাইয়েদা খাতুন প্রতিহিংসা বশতঃ তাদের ক্ষতি সাধনের নিমিত্তে উঠে পড়ে লাগে এবং রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় বদরগঞ্জ জোনাল অফিসের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী (ডিজিএম) এর পিয়নের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের বানিজ্যিক সেচ কার্যক্রম ব্যহত করার নিমিত্তে তাদের সেচ পাম্প এলাকায় প্রায় ১৬ শত ফুট দুরে একটি অবৈধ সেচ পাম্প স্থপনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদের ওই অবৈধ সংযোগটি স্থাপন করতে দেওয়া হলে আমরা চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশকংঙ্খা করছি।
এবিষয়ে অভিযোগকারী জাবেদ আলী জানান, আবুল কায়েস ও তার স্ত্রী সাইয়েদা খাতুন আমাদের সেচ পাম্প সংলগ্ন এরিয়ার মধ্যে অনুমান ১৬শত ফুট আমাদের অজ্ঞাতসারে একটি সেচ মিটার গ্রহন করে। যার মিটার বহি নং ৬৬২-৪২৪৫, প্রতিপক্ষ আমাদেরকে উপেক্ষা করে উক্ত সেচ পাম্পে সংযোগ স্থাপন করার প্রস্তুতি গ্রহন করলে গত ১৪ জানুয়ারি-২০২৩ ইং তারিখে আমরা ভুক্তভোগী ৩জন জেনারেল ম্যানেজার রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ পাগলাপীর জোনাল অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করলে উক্ত অভিযোগটি প্রাপ্তির পর অফিস কর্তৃপক্ষ কাজটি স্থগিত করে দেয়। তখন হতে বিষয়টি স্থবির অবস্থায় আছে। প্রতিপক্ষরা এতেও ক্ষ্যান্ত হয়নী আমাদের সেচ কার্যক্রম ব্যহত করার লক্ষ্যে তার স্বীয়- স্ত্রী মোছাঃ সাইয়েদা খাতুনের নামে একটি মৎস্য সেচ পাম্প স্থাপনের জন্য অত্রাফিসে আবেদন করে। প্রকৃতপক্ষে প্রতিপক্ষের অত্র এলাকায় নিজস্ব কোন চাষাবাদ যোগ্য জমি জিরাত নাই, এমনকি কোন প্রকার জলাশয় ও খালবিল এবং কোন পুকুরও নাই। তাই সে সেচ পাম্প সংযোগে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন করে আবারো মৎস্য চাষের সেচ স্থাপনের লক্ষ্যে অফিসে দৌড়ঝাপ করে এবং অফিসে মৎস্য চাষের সেচ সংযোগের জন্য একটি আবেদন করে। এমনকি অর্থের বিনিময়ে স্টিকিং সিট তৈরী করে যা অফিস হতে উত্তলোন করে দেখতেপাই প্রতিপক্ষরা আমাদের উক্ত এরিয়ার মধ্যে ৪টি সিমেন্টের খুঁটি স্থাপন করে তাতে বৈদ্যুতিক তার টেনেছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে ড্রেনও খনন করেছে। সেখান থেকে এখনো অনুমান ৮শত ফুট দুরুত্বে সেচ বরিংটি স্থপিত। যা সরেজমিনে তদন্ত করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। এমনকি প্রতিপক্ষদ্বয় আমাদের ভুক্তভোগীদের গ্রহকদের পানি সেচ কার্যক্রমের ক্ষতি সাধন করার নিমিত্তে এহেন ন্যাক্কার জনক ঘটনার সৃষ্টি করেছে। এই বিষটি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে তাদের পূর্ব পরিকল্পিত কাজটি প্রতিহত করতঃ প্রতিপক্ষদ্বয়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। এপ্রসঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বদরগঞ্জ রংপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ভবতোষ রায়, আমরা কাউকে এধরনের কোন প্রকার অনুমতি কিংবা লাইসেন্স প্রদান করি নাই। এছাড়াও কেউ মৎস্য চাষের সেচ পাম্প দিয়ে কৃষি জমিতে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেনা। উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী মোকসেদুল হক বলেন, আমরা মৎস্য চাষের জন্য জনৈক আবুল কায়েস ও তার স্ত্রী মোছাঃ সাইয়েদা খাতুনকে কোন প্রকার লাইসেন্স বা প্রত্যায়নপত্র দেইনি। লাইসেন্স নিতে গেলে নিজস্ব এক থেকে দেড় একর পুকুর থাকতে হবে। রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ বদরগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিপুটি জেনারেল ম্যনেজার (ডিজিএম) মোঃ এহতেশাম বলেন, অভিযোগকারী জাবেদ আলীগনের বৈধ সেচ পাম্প এলাকায় নতুন করে কেউ মৎস্য চাষ অথবা সেচ পাম্পের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমতি পাবেনা। এর পরেও যদি কেউ সেখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ৪ শতাধিক গাড়ি লুটের ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা

বদরগঞ্জে মৎস্য চাষের নামে অবৈধ সেচ পাম্প স্থাপনের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৬:২৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রংপুরের বদরগঞ্জে বাণিজ্যিক সেচ পাম্প এলাকায় মৎস্য চাষের নামে একটি অবৈধভাবে সেচ পাম্প স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বৈধ সেচ পাম্পের যৌথ মালিকগন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ওসমানপুর মুন্সিপাড়া গ্রামের জাবেদ আলী, একই এলাকার মমিনুর রহমান ও নুর ইসলাম দীর্ঘ ৩২বৎসর যাবত বৈধভাবে সেচ পাম্প স্থপন করে এর কার্যক্রম পরিচালনাপুর্বক নিজের জমি সহ গ্রাহকদের জমিতে পানি সেচ দিয়ে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতিকালে ওই গ্রামের আবুল কায়েস ও তার স্ত্রী মোছাঃ সাইয়েদা খাতুন প্রতিহিংসা বশতঃ তাদের ক্ষতি সাধনের নিমিত্তে উঠে পড়ে লাগে এবং রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় বদরগঞ্জ জোনাল অফিসের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী (ডিজিএম) এর পিয়নের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের বানিজ্যিক সেচ কার্যক্রম ব্যহত করার নিমিত্তে তাদের সেচ পাম্প এলাকায় প্রায় ১৬ শত ফুট দুরে একটি অবৈধ সেচ পাম্প স্থপনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদের ওই অবৈধ সংযোগটি স্থাপন করতে দেওয়া হলে আমরা চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশকংঙ্খা করছি।
এবিষয়ে অভিযোগকারী জাবেদ আলী জানান, আবুল কায়েস ও তার স্ত্রী সাইয়েদা খাতুন আমাদের সেচ পাম্প সংলগ্ন এরিয়ার মধ্যে অনুমান ১৬শত ফুট আমাদের অজ্ঞাতসারে একটি সেচ মিটার গ্রহন করে। যার মিটার বহি নং ৬৬২-৪২৪৫, প্রতিপক্ষ আমাদেরকে উপেক্ষা করে উক্ত সেচ পাম্পে সংযোগ স্থাপন করার প্রস্তুতি গ্রহন করলে গত ১৪ জানুয়ারি-২০২৩ ইং তারিখে আমরা ভুক্তভোগী ৩জন জেনারেল ম্যানেজার রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ পাগলাপীর জোনাল অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করলে উক্ত অভিযোগটি প্রাপ্তির পর অফিস কর্তৃপক্ষ কাজটি স্থগিত করে দেয়। তখন হতে বিষয়টি স্থবির অবস্থায় আছে। প্রতিপক্ষরা এতেও ক্ষ্যান্ত হয়নী আমাদের সেচ কার্যক্রম ব্যহত করার লক্ষ্যে তার স্বীয়- স্ত্রী মোছাঃ সাইয়েদা খাতুনের নামে একটি মৎস্য সেচ পাম্প স্থাপনের জন্য অত্রাফিসে আবেদন করে। প্রকৃতপক্ষে প্রতিপক্ষের অত্র এলাকায় নিজস্ব কোন চাষাবাদ যোগ্য জমি জিরাত নাই, এমনকি কোন প্রকার জলাশয় ও খালবিল এবং কোন পুকুরও নাই। তাই সে সেচ পাম্প সংযোগে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন করে আবারো মৎস্য চাষের সেচ স্থাপনের লক্ষ্যে অফিসে দৌড়ঝাপ করে এবং অফিসে মৎস্য চাষের সেচ সংযোগের জন্য একটি আবেদন করে। এমনকি অর্থের বিনিময়ে স্টিকিং সিট তৈরী করে যা অফিস হতে উত্তলোন করে দেখতেপাই প্রতিপক্ষরা আমাদের উক্ত এরিয়ার মধ্যে ৪টি সিমেন্টের খুঁটি স্থাপন করে তাতে বৈদ্যুতিক তার টেনেছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে ড্রেনও খনন করেছে। সেখান থেকে এখনো অনুমান ৮শত ফুট দুরুত্বে সেচ বরিংটি স্থপিত। যা সরেজমিনে তদন্ত করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। এমনকি প্রতিপক্ষদ্বয় আমাদের ভুক্তভোগীদের গ্রহকদের পানি সেচ কার্যক্রমের ক্ষতি সাধন করার নিমিত্তে এহেন ন্যাক্কার জনক ঘটনার সৃষ্টি করেছে। এই বিষটি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে তাদের পূর্ব পরিকল্পিত কাজটি প্রতিহত করতঃ প্রতিপক্ষদ্বয়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। এপ্রসঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বদরগঞ্জ রংপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ভবতোষ রায়, আমরা কাউকে এধরনের কোন প্রকার অনুমতি কিংবা লাইসেন্স প্রদান করি নাই। এছাড়াও কেউ মৎস্য চাষের সেচ পাম্প দিয়ে কৃষি জমিতে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেনা। উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী মোকসেদুল হক বলেন, আমরা মৎস্য চাষের জন্য জনৈক আবুল কায়েস ও তার স্ত্রী মোছাঃ সাইয়েদা খাতুনকে কোন প্রকার লাইসেন্স বা প্রত্যায়নপত্র দেইনি। লাইসেন্স নিতে গেলে নিজস্ব এক থেকে দেড় একর পুকুর থাকতে হবে। রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ বদরগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিপুটি জেনারেল ম্যনেজার (ডিজিএম) মোঃ এহতেশাম বলেন, অভিযোগকারী জাবেদ আলীগনের বৈধ সেচ পাম্প এলাকায় নতুন করে কেউ মৎস্য চাষ অথবা সেচ পাম্পের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমতি পাবেনা। এর পরেও যদি কেউ সেখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।