ঢাকা ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জবি ছাত্রশিবিরের ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের নিমন্ত্রণ চুনারুঘাটে ক্ষিরা চাষে সাফল্য, লাভবান ইউপি উদ্যোক্তা আতাউল হক ইমরান ববি’র দর্শন বিভাগ ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ইফতেখার, সেক্রেটারি পিয়াল যাকাতের ব্যাপারে মনের সংকীর্ণতা, অনীহা করলে বুঝতে হবে তাদের ভেতর শিরকের লক্ষণ আছে:-মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক জয়পুরহাট ক্ষেতলালে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২ অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন লক্ষ্মীপুরে পুলিশ সুপারের সাথে পরিবহন মালিক সমিতির মতবিনিময় সভা পরিবার ছাড়া রমজান, কেমন কাটছে ববির শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন ৯ নাম্বার ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার মোহনগঞ্জে রাব্বী হত্যাকান্ডের আসামীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

মেধাবী শিক্ষার্থী আরিফকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

দিনমজুর পিতার অভাবের সংসারে একটু খানি সহযোগিতা করতে গিয়ে এখন নিজের জীবনই বিপন্ন হয়ে দাড়িয়েছে কলেজ শিক্ষার্থী আরিফ মিয়ার। পেটে টিউমার আক্রান্ত হয়ে তিনি এখন পিতা-মাতার চোঁখের জলে পরিনত হয়েছেন। রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিমদেবু (গুড়াতিপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা আরিফ মিয়া (২০)।

তার পিতা দিনমজুর রাশেদ মিয়া ও মাতা আকতারা বানু ছেলের চিকিৎসার টাকা যোগাড় করতে এখন ছুটছেন বিত্তবানদের দুয়ারে দুয়ারে। দ্রুত অপারেশন করালে বেঁচে যাবেন আরিফ মিয়া। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে ৩ লক্ষ টাকা। জানা গেছে, ওই গ্রামের দিনমজুর রাশেদ মিয়ার বড় ছেলে আরিফ মিয়া স্থানীয় সারা মেমোরিয়াল হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে ভর্তি হন পীরগাছা সরকারি কলেজে।

বর্তমানে তিনি অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত দুই মাস আগে পিতার অভাবে সংসারে সহযোগিতা করতে ঢাকায় গিয়ে একটি গামেন্টের্সে চাকুরী নেন। মাত্র ১৫ দিন চাকুরী করার পর হঠাৎ প্রসাব-পায়খানা বন্ধ হলে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন আরিফ মিয়া। এরপর তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে রংপুরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলেও কোন উন্নতি হয়নি। পরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ডাক্তাররা তাকে অপারেশন করে পেট থেকে মলমূত্র বের করতে গিয়ে টিউমার দেখতে পান। পরে চিকিৎসকরা টিউমারের অবস্থা দেখে ক্যান্সার লক্ষণ সন্দেহে সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় বায়োপসি করার জন্য পাঠিয়েছেন।

বর্তমানে আরিফ মিয়া রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মোঃ শাহীনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, বায়োপসি রিপোর্ট পাওয়ার পর তাকে বাঁচাতে হলে দ্রুত অপারেশন করতে হবে। এতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু অভাবী পিতার পক্ষে এতো টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েন। আদরের সন্তানকে বাঁচাতে ছুটছেন বিত্তবান মানুষের দুয়ারে দুয়ারে।

স্থানীয় তাম্বুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ মুকুল বলেন, আরিফ মিয়ার এ দুদর্শার কথা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। আমরা মেধাবী আরিফ মিয়াকে সুস্থ্য অবস্থায় ফিরে পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
আরিফ মিয়ার পিতা দিনমজুর রাশেদ মিয়া বলেন, আমার আদরের ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও দানবীর মানুষের সহযোগিতা করছি। আপনারা আমার ছেলেকে বাঁচান! আমি ছেলেকে সুস্থ্য ফিরে পেতে চাই! তাকে সাহায্যে পাঠানোর জন্য ০১৮৯০-৯১৮০৩৯ (বিকাশ) অথবা অগ্রণী ব্যাংক, পীরগাছা শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং-০২০০০২৩৩৪১৯৪৭ এ পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জবি ছাত্রশিবিরের ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের নিমন্ত্রণ

মেধাবী শিক্ষার্থী আরিফকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

আপডেট সময় ০৭:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দিনমজুর পিতার অভাবের সংসারে একটু খানি সহযোগিতা করতে গিয়ে এখন নিজের জীবনই বিপন্ন হয়ে দাড়িয়েছে কলেজ শিক্ষার্থী আরিফ মিয়ার। পেটে টিউমার আক্রান্ত হয়ে তিনি এখন পিতা-মাতার চোঁখের জলে পরিনত হয়েছেন। রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিমদেবু (গুড়াতিপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা আরিফ মিয়া (২০)।

তার পিতা দিনমজুর রাশেদ মিয়া ও মাতা আকতারা বানু ছেলের চিকিৎসার টাকা যোগাড় করতে এখন ছুটছেন বিত্তবানদের দুয়ারে দুয়ারে। দ্রুত অপারেশন করালে বেঁচে যাবেন আরিফ মিয়া। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে ৩ লক্ষ টাকা। জানা গেছে, ওই গ্রামের দিনমজুর রাশেদ মিয়ার বড় ছেলে আরিফ মিয়া স্থানীয় সারা মেমোরিয়াল হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে ভর্তি হন পীরগাছা সরকারি কলেজে।

বর্তমানে তিনি অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত দুই মাস আগে পিতার অভাবে সংসারে সহযোগিতা করতে ঢাকায় গিয়ে একটি গামেন্টের্সে চাকুরী নেন। মাত্র ১৫ দিন চাকুরী করার পর হঠাৎ প্রসাব-পায়খানা বন্ধ হলে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন আরিফ মিয়া। এরপর তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে রংপুরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলেও কোন উন্নতি হয়নি। পরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ডাক্তাররা তাকে অপারেশন করে পেট থেকে মলমূত্র বের করতে গিয়ে টিউমার দেখতে পান। পরে চিকিৎসকরা টিউমারের অবস্থা দেখে ক্যান্সার লক্ষণ সন্দেহে সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় বায়োপসি করার জন্য পাঠিয়েছেন।

বর্তমানে আরিফ মিয়া রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মোঃ শাহীনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, বায়োপসি রিপোর্ট পাওয়ার পর তাকে বাঁচাতে হলে দ্রুত অপারেশন করতে হবে। এতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু অভাবী পিতার পক্ষে এতো টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েন। আদরের সন্তানকে বাঁচাতে ছুটছেন বিত্তবান মানুষের দুয়ারে দুয়ারে।

স্থানীয় তাম্বুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ মুকুল বলেন, আরিফ মিয়ার এ দুদর্শার কথা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। আমরা মেধাবী আরিফ মিয়াকে সুস্থ্য অবস্থায় ফিরে পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
আরিফ মিয়ার পিতা দিনমজুর রাশেদ মিয়া বলেন, আমার আদরের ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও দানবীর মানুষের সহযোগিতা করছি। আপনারা আমার ছেলেকে বাঁচান! আমি ছেলেকে সুস্থ্য ফিরে পেতে চাই! তাকে সাহায্যে পাঠানোর জন্য ০১৮৯০-৯১৮০৩৯ (বিকাশ) অথবা অগ্রণী ব্যাংক, পীরগাছা শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং-০২০০০২৩৩৪১৯৪৭ এ পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।