ঢাকা ০২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার দাবি

পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা জনদুর্ভোগ আরও বাড়াবে। তাই অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

সোমবার (২১ নভেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।

এতে তিনি বলেন, সরকার দাম বৃদ্ধির পক্ষে যুক্তি দেবে যে, বিদ্যুতে প্রচুর ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার, এত ভর্তুকি সরকারের পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। তাছাড়া আইএমএফও বলেছে ঋণ পেতে হলে এসব ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতের বড় ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ। যে কেন্দ্রগুলোর দরকারই ছিল না এবং যেগুলোর সময় বাড়ানোরও দরকার ছিল না। রেন্টাল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো কোনো উৎপাদন না করলেও বসিয়ে রেখে ১১ বছরে তাদের প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছে।

আরও বলা হয়, বর্তমানে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো মুনাফা করছে। আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না অথচ তাদের মুনাফা হচ্ছে। কারণ দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কেটে তাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের কাজই হলো জনগণকে বিদ্যুৎ না দিয়ে একটি গোষ্ঠীকে মুনাফা লুটতে দেওয়া। ফলে ভুক্তভোগী শেষ পর্যন্ত জনগণই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিণতিতে আবারও দেশে সব জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বাড়বে। পাইকারিতে দাম বাড়লে গ্রাহক পর্যায়েও সেটার প্রভাব অবশ্যই পড়তে বাধ্য। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন দিশেহারা, তার ওপর বিদ্যুতের এই মূল্য বৃদ্ধি জনদুর্ভোগ আরও বাড়াবে। অবিলম্বে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার দাবি

আপডেট সময় ১০:২৬:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা জনদুর্ভোগ আরও বাড়াবে। তাই অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

সোমবার (২১ নভেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।

এতে তিনি বলেন, সরকার দাম বৃদ্ধির পক্ষে যুক্তি দেবে যে, বিদ্যুতে প্রচুর ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার, এত ভর্তুকি সরকারের পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। তাছাড়া আইএমএফও বলেছে ঋণ পেতে হলে এসব ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতের বড় ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ। যে কেন্দ্রগুলোর দরকারই ছিল না এবং যেগুলোর সময় বাড়ানোরও দরকার ছিল না। রেন্টাল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো কোনো উৎপাদন না করলেও বসিয়ে রেখে ১১ বছরে তাদের প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছে।

আরও বলা হয়, বর্তমানে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো মুনাফা করছে। আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না অথচ তাদের মুনাফা হচ্ছে। কারণ দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কেটে তাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের কাজই হলো জনগণকে বিদ্যুৎ না দিয়ে একটি গোষ্ঠীকে মুনাফা লুটতে দেওয়া। ফলে ভুক্তভোগী শেষ পর্যন্ত জনগণই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিণতিতে আবারও দেশে সব জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বাড়বে। পাইকারিতে দাম বাড়লে গ্রাহক পর্যায়েও সেটার প্রভাব অবশ্যই পড়তে বাধ্য। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন দিশেহারা, তার ওপর বিদ্যুতের এই মূল্য বৃদ্ধি জনদুর্ভোগ আরও বাড়াবে। অবিলম্বে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।