ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

সংকটে বৈশ্বিক পোশাক বাজার কমলেও বাংলাদেশের বাড়ছে

পোশাক আমদানি-রপ্তানির জন্য এলসি খুলাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, এমনকি ডলারের কোনো ক্রাইসিস নেই বলে মন্তব্য করেছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। 

তিনি বলেন, আগেও বলেছি, আজকেও বলছি এনার্জিতে ক্রাইসিস আছে। তবে এখন আগের চেয়ে অনেক বেটার অবস্থায় আছে, ভালো পর্যায় আছে। গ্যাসে এখনো সমস্যা আছে। তবে এলসি খুলতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

রোববার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করতে বিজিএমইএ’র নতুন উদ্যোগ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিশ্ববাজারে পোশাকের মার্কেট সাইজ কমে গেছে। তার মধ্যেও বাংলাদেশের মার্কেট সাইজ বাড়াচ্ছি, আমাদের মার্কেট সাইজ বাড়ছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে অর্ডার স্লো আছে, এখনো আছে। এ কারণ এটা না যে অন্য দেশের বায়ারা চলে যাচ্ছে। পুরো মার্কেটের সাইজ কমেছে। ছোট হয়ে গেছে। আমরা আমাদের শেয়ার বাড়াচ্ছি। ২০২১ সালের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিও টিও)র মার্কেটের ডাটার জন্য অপেক্ষা করছি। ২০২০ ডাটা অনুসারে বিশ্ববাজারে আমাদের মার্কেট সাইজ ছিল ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ। আশা করছি, ২০২১ সালের রিপোর্টে এটা বেড়ে ৮ শতাংশের কাছাকাছি হবে। এটা বড় জাম্প হবে। ২০২২ সালে এটা আরও বাড়াতে পারবো।

টুরিজম যতই ভালো হবে। আমাদের ব্যবসাও ভালো হবে উল্লেখ্য করেন বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গ্লোবাল যুদ্ধ ও এনার্জি ক্রাইসিসের জন্য দেশে যে ফরেন কারেন্সি রিজার্ভের ওপর যেভাবে চাপ পড়েছে। আমরা যদি টুরিজমটা বাড়াতে পারি, তাহলে আমাদের ব্যবসাও বড় হবে, ফরেন কারেন্সিও আসবে। অর্থনীতিতে সেই চাপও কমে আসতো।

অর্থনীতির ক্ষতি না করে রাজনৈতিক দলগুলোকে সভা-সমাবেশ করার আহ্বান জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, যারাই আন্দোলন করবে তারা এগুলোর বাহিরে রাখবে। কারণ অর্থনীতিতে আঘাত আসলে রাজনীতি করা আরও কঠিন হয়ে যায়। দেশের জন্য সমস্যা হয়ে যায়। আমরা আশা করি রাজনীতিবিদরা সেই জিনিসটা চিন্তা করবেন। কারণ তারা দেশের মানুষের জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করেন তারা। সুতরাং দেশের মানুষকে কষ্ট সরকার ও বিরোধী দল কোন প্রোগ্রাম দেবেনা বলে প্রত্যাশা করছি।

দেশের অর্থনীতির স্বার্থে প্রয়োজনে সরকারি এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসবো। তাদের অর্থনীতিকে ঠিক রেখে সব কিছু করতে অনুরোধ করব বলে জানান বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

সংকটে বৈশ্বিক পোশাক বাজার কমলেও বাংলাদেশের বাড়ছে

আপডেট সময় ১০:৫৬:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

পোশাক আমদানি-রপ্তানির জন্য এলসি খুলাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, এমনকি ডলারের কোনো ক্রাইসিস নেই বলে মন্তব্য করেছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। 

তিনি বলেন, আগেও বলেছি, আজকেও বলছি এনার্জিতে ক্রাইসিস আছে। তবে এখন আগের চেয়ে অনেক বেটার অবস্থায় আছে, ভালো পর্যায় আছে। গ্যাসে এখনো সমস্যা আছে। তবে এলসি খুলতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

রোববার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করতে বিজিএমইএ’র নতুন উদ্যোগ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিশ্ববাজারে পোশাকের মার্কেট সাইজ কমে গেছে। তার মধ্যেও বাংলাদেশের মার্কেট সাইজ বাড়াচ্ছি, আমাদের মার্কেট সাইজ বাড়ছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে অর্ডার স্লো আছে, এখনো আছে। এ কারণ এটা না যে অন্য দেশের বায়ারা চলে যাচ্ছে। পুরো মার্কেটের সাইজ কমেছে। ছোট হয়ে গেছে। আমরা আমাদের শেয়ার বাড়াচ্ছি। ২০২১ সালের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিও টিও)র মার্কেটের ডাটার জন্য অপেক্ষা করছি। ২০২০ ডাটা অনুসারে বিশ্ববাজারে আমাদের মার্কেট সাইজ ছিল ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ। আশা করছি, ২০২১ সালের রিপোর্টে এটা বেড়ে ৮ শতাংশের কাছাকাছি হবে। এটা বড় জাম্প হবে। ২০২২ সালে এটা আরও বাড়াতে পারবো।

টুরিজম যতই ভালো হবে। আমাদের ব্যবসাও ভালো হবে উল্লেখ্য করেন বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গ্লোবাল যুদ্ধ ও এনার্জি ক্রাইসিসের জন্য দেশে যে ফরেন কারেন্সি রিজার্ভের ওপর যেভাবে চাপ পড়েছে। আমরা যদি টুরিজমটা বাড়াতে পারি, তাহলে আমাদের ব্যবসাও বড় হবে, ফরেন কারেন্সিও আসবে। অর্থনীতিতে সেই চাপও কমে আসতো।

অর্থনীতির ক্ষতি না করে রাজনৈতিক দলগুলোকে সভা-সমাবেশ করার আহ্বান জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, যারাই আন্দোলন করবে তারা এগুলোর বাহিরে রাখবে। কারণ অর্থনীতিতে আঘাত আসলে রাজনীতি করা আরও কঠিন হয়ে যায়। দেশের জন্য সমস্যা হয়ে যায়। আমরা আশা করি রাজনীতিবিদরা সেই জিনিসটা চিন্তা করবেন। কারণ তারা দেশের মানুষের জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করেন তারা। সুতরাং দেশের মানুষকে কষ্ট সরকার ও বিরোধী দল কোন প্রোগ্রাম দেবেনা বলে প্রত্যাশা করছি।

দেশের অর্থনীতির স্বার্থে প্রয়োজনে সরকারি এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসবো। তাদের অর্থনীতিকে ঠিক রেখে সব কিছু করতে অনুরোধ করব বলে জানান বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।