বিশিষ্ট চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী বলেছেন, ডেঙ্গু দিন দিন ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে অনেকের জীবন চলে গেছে।
স্বচ্ছ পানিতেই ডেঙ্গু মশার জন্ম হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। দেরি করলে রোগীর বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এজন্য ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। তাই দীর্ঘদিন ধরে স্বচ্ছ পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। যার যার এলাকা ও বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। তবেই ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ সম্ভব। ডেঙ্গুর দুটি দিক আছে। একটি হচ্ছে প্রতিরোধ, আরেকটি চিকিৎসা। আমরা যদি প্রত্যেকে নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে সচেতন করতে পারি, তাহলে ডেঙ্গুর প্রতিরোধ সম্ভব। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর জিইসি মোড়স্থ পেনিনসুলা হোটেলের হল রুমে চিটাগাং ডক্টর্স একাডেমির উদ্যোগে ডেঙ্গু বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। কেননা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মশা বেশি জন্মায়। কোন এলাকায় কোন ধরনের মশার উপদ্রব বেশি এবং এ মশার জন্য কোন ওষুধ কতটুকু ছিটাতে হবে, তা নির্ণয় করে ওই জায়গায় ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। যেন এসব জায়গায় নতুন করে মশা জন্মাতে না পারে। পাশাপাশি এডিস মশার লার্ভা জন্ম নেয় এমন জায়গাগুলো পরিস্কার রাখতে হবে।
চিটাগাং ডক্টর্স একাডেমির সভাপতি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবু তসলিমের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক ডা. মো. এরশাদুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, ইউএসটিসির নাক কান গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দিন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সার্জারী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবদুর রব। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চিটাগাং ডক্টর্স একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এ এ এম রায়হান উদ্দিন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের সহকারী বিপনন কর্মকর্তা সুরঞ্জিত বৈদ্য।