চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত কাউসার মাহমুদ দীর্ঘ ৭০ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সোমবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কাউসার মাহমুদ বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গতকাল সোমবার এশার নামাজ শেষে চট্টগ্রাম নগরীর সরকারি কমার্স কলেজের সামনে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর, সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, নগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, ডবলমুরিং থানা আমীর ফারুকে আজম, সদরঘাট থানা আমীর আবদুল গফুর প্রমুখ। জানাজাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহীদ।
শহীদ কাউসার মাহমুদের ইন্তেকালে গভীর শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর, সাবেক এমপি আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন।
শোকবাণীতে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বৈরাচার খুনী হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শহীদ কাউসার মাহমুদ। গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট চত্বরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের গুলিতে আহত হয় কাউসার। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর গতকাল সোমবার দুনিয়ার সফল শেষ করেন তিনি। মহান আল্লাহ তায়ালা দেশের জন্য তার এই আত্মত্যাগকে শহীদ মর্যাদা হিসেবে কবুল করুন। খাটি দেশ প্রেমিদের মাঝে তিনি চিরজীবন বেঁচে থাকবেন। বাংলার মাটিতে খুনীর বিচার হতেই হবে।
আল্লাহ যেন শহীদ কাউসার মাহমুদের সমস্ত নেক আমল কবুল করে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করেন। এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন।