গণভবনকে ছাত্রজনতার জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর বানানোর কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এই জন্য আগামীকালের (৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হবে।
আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান গণভবন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তারা এসব তথ্য জানান।
এর আগে আজ সকালে জাদুঘর বানানোর কাজ শুরুর জন্য প্রাথমিকভাবে গণভবন পরিদর্শনে আসেন তারা। এ সময় উপদেষ্টারা বলেন, গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে। এ জন্যই প্রাথমিকভাবে আজ আমরা গণভবনের ভেতরের বিভিন্ন বিষয় দেখতে এসেছি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) গণভবনকে জুলাই অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। জাদুঘরে রূপান্তরের পর সেটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সেদিন উপদেষ্টা পরিষদের পঞ্চম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বৈঠক শেষে সেদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আসিফ মাহমুদ বলেন, গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ স্মৃতি জাদুঘরে পরিণত করা হবে। সে সময় যেমন ছিল, গণভবনকে সেভাবে রেখেই জাদুঘরটি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়াসহ আরও অনেক দেশে এমন মেমোরিয়াল আছে। তাদের থেকে জেনে এ জাদুঘর করা হবে, যেখানে ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্মকাণ্ড প্রদর্শন হবে।