ঢাকা ১২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট পায়রাবন্দরের পরিচালক, তিনি কে? টঙ্গীতে চাঁদা দাবীর প্রতিবাদে শিল্প উদ্যোক্তার সংবাদ সম্মেলন ট্রাম্পের প্রস্তাবে নমনীয় জেলেনস্কি, বলছেন যুদ্ধবিরতির কথা মীরসরাইয়ে জামায়াত-যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২০ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে ‘মহিলা’র পরিবর্তে যুক্ত হচ্ছে ‘নারী’ খুতবার শেষে খতিবের মৃত্যু পাগলা মসজিদে এবার মিলল রেকর্ড ৩০ বস্তা টাকা পেঁয়াজ আলু তেলের মূল্য বৃদ্ধির নেপথ্যে আমদানিকারক ও আড়তদার সিন্ডিকেট গাইবান্ধা থেকে ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৩

নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কী করছে জামায়াত?

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এতোদিন সরকার বিরোধী আন্দোলন করে আসা দলগুলো এখন নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি। নেতা-কর্মীরা একে বর্ণনা করছেন ‘সুসময়’ হিসেবে। বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে সক্রিয় থাকলেও আরেকটি বড় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী পুরোপুরি নজর দিয়েছে জনসংযোগের উপর। রাজপথে বিক্ষোভ বা সমাবেশের মতো কোন কর্মসূচি আপাতত নেই জামায়াতের।

দলটির কার্যক্রমে এখন তিন ধরনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।

এক. ছাত্র আন্দোলনে আহত-নিহতদের আর্থিক সহায়তা। প্রতিদিনই দলটির নেতারা কোন না কোন হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ-খবর এবং আর্থিক সহায়তা করছেন। এছাড়া নিহতদের পরিবারের কাছে গিয়ে সমবেদনা জানাচ্ছেন।

দুই. সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন্দির পরিদর্শন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হচ্ছে।

তিন. এর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে সক্রিয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়।

দলটির জন্য অবশ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বৈঠক থেকে শুরু করে প্রকাশ্যে এ ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম গত ১৬ বছরের প্রেক্ষাপটে নতুন অভিজ্ঞতা।

যদিও কাগজে-কলমে দলটি এখনও রাজনীতিতে নিষিদ্ধ।

জামায়াত এখন চেষ্টা করছে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের। কিন্তু সেটা কীভাবে হবে?

জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তারা বিচলিত নন। বরং নির্বাহী আদেশেই নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার চান তারা। এর জন্য তারা আদালতে যাবেন না।

শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ছিল অবৈধ সরকার। সুতরাং অবৈধ সরকারের কোন ডিক্লারেশন আমরা মানি না। তারপরও তারা তো নিষিদ্ধ করে গেছে। এখন সেই অবৈধ সরকার যেটা করে গেছে সেটা নির্বাহী আদেশের ব্যাপার। তাদের সকল ‘অবৈধ নির্বাহী আদেশ’ বাতিল করে দেয়া উচিত বলে মনে করি আমরা। আমাদেরকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুতরাং এটার প্রত্যাহারও নির্বাহী আদেশেই হতে হবে। আমরা এর জন্য আদালতে যাবো কেন? আদালতের মাধ্যমে তো আমাদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়নি।

কিন্তু জামায়াত যে নির্বাহী আদেশ বাতিল চায় সেটা কি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জানানো হয়েছে? এমন প্রশ্নে জামায়াত আমির জানান, সেটা সরকারকে বলা হয়েছে।

কিন্তু জবাবে সরকারের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে এমন প্রশ্নে আমিরে জামায়াত বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। তবে তিনি বলেন- আমরা এখন তাদের অ্যাকশন দেখতে চাচ্ছি। তারা যেটাই বলুন, আমরা অ্যাকশন (কাজ) দেখতে চাচ্ছি।

জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, সরকার পতন আন্দোলনে জামায়াত ‘পূর্ণশক্তি’ নিয়েই অংশ নিয়েছিলো। সুতরাং ‘ন্যায্যতার ভিত্তিতে’ সরকার জামায়াতের ‘পাওনা’ সরকার খুব তাড়াতাড়ি মিটিয়ে দেবে বলে আশা তার।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি

নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কী করছে জামায়াত?

আপডেট সময় ১০:৪৭:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এতোদিন সরকার বিরোধী আন্দোলন করে আসা দলগুলো এখন নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি। নেতা-কর্মীরা একে বর্ণনা করছেন ‘সুসময়’ হিসেবে। বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে সক্রিয় থাকলেও আরেকটি বড় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী পুরোপুরি নজর দিয়েছে জনসংযোগের উপর। রাজপথে বিক্ষোভ বা সমাবেশের মতো কোন কর্মসূচি আপাতত নেই জামায়াতের।

দলটির কার্যক্রমে এখন তিন ধরনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।

এক. ছাত্র আন্দোলনে আহত-নিহতদের আর্থিক সহায়তা। প্রতিদিনই দলটির নেতারা কোন না কোন হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ-খবর এবং আর্থিক সহায়তা করছেন। এছাড়া নিহতদের পরিবারের কাছে গিয়ে সমবেদনা জানাচ্ছেন।

দুই. সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন্দির পরিদর্শন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হচ্ছে।

তিন. এর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে সক্রিয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়।

দলটির জন্য অবশ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বৈঠক থেকে শুরু করে প্রকাশ্যে এ ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম গত ১৬ বছরের প্রেক্ষাপটে নতুন অভিজ্ঞতা।

যদিও কাগজে-কলমে দলটি এখনও রাজনীতিতে নিষিদ্ধ।

জামায়াত এখন চেষ্টা করছে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের। কিন্তু সেটা কীভাবে হবে?

জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তারা বিচলিত নন। বরং নির্বাহী আদেশেই নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার চান তারা। এর জন্য তারা আদালতে যাবেন না।

শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ছিল অবৈধ সরকার। সুতরাং অবৈধ সরকারের কোন ডিক্লারেশন আমরা মানি না। তারপরও তারা তো নিষিদ্ধ করে গেছে। এখন সেই অবৈধ সরকার যেটা করে গেছে সেটা নির্বাহী আদেশের ব্যাপার। তাদের সকল ‘অবৈধ নির্বাহী আদেশ’ বাতিল করে দেয়া উচিত বলে মনে করি আমরা। আমাদেরকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুতরাং এটার প্রত্যাহারও নির্বাহী আদেশেই হতে হবে। আমরা এর জন্য আদালতে যাবো কেন? আদালতের মাধ্যমে তো আমাদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়নি।

কিন্তু জামায়াত যে নির্বাহী আদেশ বাতিল চায় সেটা কি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জানানো হয়েছে? এমন প্রশ্নে জামায়াত আমির জানান, সেটা সরকারকে বলা হয়েছে।

কিন্তু জবাবে সরকারের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে এমন প্রশ্নে আমিরে জামায়াত বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। তবে তিনি বলেন- আমরা এখন তাদের অ্যাকশন দেখতে চাচ্ছি। তারা যেটাই বলুন, আমরা অ্যাকশন (কাজ) দেখতে চাচ্ছি।

জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, সরকার পতন আন্দোলনে জামায়াত ‘পূর্ণশক্তি’ নিয়েই অংশ নিয়েছিলো। সুতরাং ‘ন্যায্যতার ভিত্তিতে’ সরকার জামায়াতের ‘পাওনা’ সরকার খুব তাড়াতাড়ি মিটিয়ে দেবে বলে আশা তার।