প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবর আসার পরই সোমবার দুপুর থেকে কুমিল্লা নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মিছিল নিয়ে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে লাকসামের পোমগাঁও এলাকায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের বাসভবন এবং নগরীর মোন্সেফবাড়ি এলাকায় সদর আসনের এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিনের বাড়ি, পুলিশ লাইনস ও কয়েকটি থানাসহ বিভিন্ন স্থাপনায়।
সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর ২টার আগেই নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় আনন্দ মিছিল নিয়ে আসতে থাকে হাজার হাজার ছাত্র জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা সদরের এমপি বাহাউদ্দিনের নগরীর বাড়ি এবং লাকসামে ভাঙচুর, আগুন ও লুটপাট করা হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের বাসভবন।
মুরাদনগরের এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকারের মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ ভবন, মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা হয়। এছাড়াও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ, কুমিল্লা ক্লাব, টমছমব্রিজ মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স, কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স, দেবিদ্বার থানা, মুরাদনগর, কোতোয়ালি মডেল থানা, নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন, নাঙ্গলকোট থানা, নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস, নাঙ্গলকোট পৌর মেয়র আবদুল মালেকের বাসভবন, নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন কালুর বাসভবন, লাকসাম পৌর মেয়রের বাসভবন হামলা ভাঙচুর লুটপাট শেষে আগুন দেওয়া হয়। দেবিদ্বারে পুলিশ ও জনতার সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আগুন দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থাপনা ও থানায় হামলা চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।