নরসিংদীতে এক পাওয়ারলুম মালিককে হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া একজনকে তিন বছর কারাদণ্ড, তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ডের পাশাপাশি দুই আসামি খালাস দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সদর উপজেলার নজরপুরের ছগরিয়াপাড়ার পাওয়ারলুম মালিক মনসুর আলীর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয় একই এলাকার আলামিনের সঙ্গে। এরপর থেকেই মনসুর আলীকে হত্যা চেষ্টা করে আলামিনসহ একটি চক্র।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ৭ এপ্রিল নরসিংদী পৌরসভার সামনে থেকে অপহরণ করা হয় মনসুর আলীকে। পরবর্তীতে তাকে ছগরিয়াপাড়ার উদিংদিয়া এলাকায় নদীর পাশে হত্যা করে ফেলে যায় অভিযুক্তরা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান জানান, নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগমের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে পুলিশ ১২ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এর মধ্যে ৯ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তাছাড়া ১ জনকে তিন বছর কারাদণ্ড, তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ডের পাশাপাশি খালাস দেওয়া হয় দুজনকে।
এজহারভুক্তদের মধ্যে চারজনের উপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে তিনজনের যাবজ্জীবন এবং একজনের তিন বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। বাকিদের মধ্যে তিনজন ইতোমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা সবাই সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের ছগরিয়াপাড়ার বাসিন্দা।