৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ (১১ নভেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ করবে যুবলীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর আড়াইটায় এ সমাবেশ শুরু হবে।
এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে মাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সংগঠনটির নেতারা। দেশের ৬৪ জেলা থেকে এতে ১০ লাখ নেতাকর্মীর সমাগম ঘটবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।
আজকের এ সমাবেশকে যুবসমাবেশ বলা হলেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে সমাবেশ ঘিরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণ করা হয়েছে সুবিশাল প্যান্ডেল। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের পাশে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি যুবলীগের পতাকা শোভা পাচ্ছে।
এ সমাবেশের মধ্যে দিয়ে সরকারবিরোধী দলগুলোকেও একটা সতর্কবার্তা দিতে চায় যুবলীগ। এজন্য তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজকের সমাবেশে জনউপস্থিতির বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
৯ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছিলেন, আওয়ামী যুবলীগের দীর্ঘ ৫০ বছরের পথ-পরিক্রমায় যেকোনো সংকট-সংগ্রামে সংগঠনটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। যে মুহূর্তে আমরা যুবলীগের নেতাকর্মীরা আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা নিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি; তখনই বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করছে। চারদিকে নাগিনীরা বিষাক্ত নিঃশ্বাস ফেলছে। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও ১১ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য যুব মহাসমাবেশ। এই মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে রচিত হবে স্বাধীনতাবিরোধীদের জন্য ইস্পাত-কঠিন ভিত্তি। যা বিএনপি-জামায়াতের কাছে অজেয়, দুর্লঙ্ঘনীয়।
যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি আশা করি, যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর মধ্য দিয়ে যুব সমাজের সংগ্রামী চেতনার ধারা আরও শাণিত ও বেগবান হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এ দেশের যুবদের বুকে অদম্য শক্তির যে বহ্নিশিখা প্রজ্বলিত করে গেছেন, যে প্রেরণা তিনি যুগিয়ে গিয়েছেন, সেই প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে যুবলীগ এদেশের যুবসমাজকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে- এ প্রত্যাশা করি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার বলিষ্ঠ, গতিশীল, সাহসী, ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি নিজস্ব জাতি রাষ্ট্র ও গর্বিত আত্মপরিচয়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে যুবশক্তির উন্মেষ ঘটেছিল, সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত স্বদেশ পুনর্গঠনে সেই যুবশক্তিকে সম্পৃক্ত করার অভীষ্ট লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সৃষ্টি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি’র নেতৃত্বে এই সংগঠনের জন্ম। জন্মলগ্ন থেকেই যুবলীগ আত্মনিয়োগ করে দেশ গঠনে।
যেসব সড়ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ
যুবলীগের মহাসমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে যান চলাচলে কয়েকটি নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর কয়েকটি এলাকার রাস্তা বন্ধ-রোড ডাইভারশন হবে। এলাকাগুলো হলো—কাটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, পুলিশ ভবন ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য ক্রসিং ও উপাচার্য ভবন ক্রসিং।
ঢাকাবাসীকে আজ এসব এলাকার সড়কগুলো পরিহার করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে অনুরোধ করেছে ডিএমপি।