ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা কুমিল্লায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকের বিদায় সংবর্ধনা যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা

বাংলাদেশের রিজার্ভ আবার ১৮ বিলিয়ন ডলারে নামল

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আবার ১৮ বিলিয়ন (১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার মার্চ ও এপ্রিল মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বকেয়া দেনা বাবদ ১৬০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এরপরই রিজার্ভ আবার কমে গেছে।

তবে আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ যেখানে নামছে, ওই অঙ্কে সহসা ফিরছে না। ফলে গড়ে রিজার্ভের পরিমাণ ক্রমেই নিুম্নখী। তবে চলতি মাসের শেষদিকে বা আগামী মাসের শুরুতে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। তখন রিজার্ভ আবার কিছুটা বাড়বে।

সূত্র জানায়, আকুর সঙ্গে এর সদস্য নয়টি দেশ দুই মাসের বাকিতে পণ্য আমদানি রপ্তানি করতে পারে। দুই মাস পর পরবর্তী মাসের প্রথম ৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেনা পাওনা সমন্বয় করতে হয়। সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, ইরান, মিয়ানমার ও মালদ্বীপ। এর মধ্যে বাংলাদেশ আকুর সদস্য দেশগুলো থেকে বেশি আমদানি করে, রপ্তানি করে কম। যে কারণে প্রতি কিস্তিতেই বাংলাদেশ মোটা অঙ্কের আমদানির দেনা পরিশোধ করে। একসঙ্গে বড় অঙ্কের দেনা পরিশোধ করা হয় বলে রিজার্ভও কমে যায়।

গত মার্চ ও এপ্রিলের দেনা বাবদ গত বৃহস্পতিবার ১৬০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। ওই অর্থ পরিশোধের পর নিট রিজার্ভ ১ হাজার ৮২৩ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। দেনা পরিশোধের আগে নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৮৩ কোটি ডলার। এর আগেও আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ ১৮ বিলিয়নের ডলারে নেমেছিল। তবে ওই সময়ে রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি ছিল। এবার তার চেয়ে বেশি নেমেছে।

গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে আকুর দেনা বাবদ ১২৯ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল।

এদিকে চলতি মাসের শেষদিকে বা আগামী মাসের প্রথমদিকে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। এটি পেলে রিজার্ভ আবার কিছুটা বাড়বে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা

বাংলাদেশের রিজার্ভ আবার ১৮ বিলিয়ন ডলারে নামল

আপডেট সময় ০৯:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আবার ১৮ বিলিয়ন (১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার মার্চ ও এপ্রিল মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বকেয়া দেনা বাবদ ১৬০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এরপরই রিজার্ভ আবার কমে গেছে।

তবে আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ যেখানে নামছে, ওই অঙ্কে সহসা ফিরছে না। ফলে গড়ে রিজার্ভের পরিমাণ ক্রমেই নিুম্নখী। তবে চলতি মাসের শেষদিকে বা আগামী মাসের শুরুতে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। তখন রিজার্ভ আবার কিছুটা বাড়বে।

সূত্র জানায়, আকুর সঙ্গে এর সদস্য নয়টি দেশ দুই মাসের বাকিতে পণ্য আমদানি রপ্তানি করতে পারে। দুই মাস পর পরবর্তী মাসের প্রথম ৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেনা পাওনা সমন্বয় করতে হয়। সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, ইরান, মিয়ানমার ও মালদ্বীপ। এর মধ্যে বাংলাদেশ আকুর সদস্য দেশগুলো থেকে বেশি আমদানি করে, রপ্তানি করে কম। যে কারণে প্রতি কিস্তিতেই বাংলাদেশ মোটা অঙ্কের আমদানির দেনা পরিশোধ করে। একসঙ্গে বড় অঙ্কের দেনা পরিশোধ করা হয় বলে রিজার্ভও কমে যায়।

গত মার্চ ও এপ্রিলের দেনা বাবদ গত বৃহস্পতিবার ১৬০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। ওই অর্থ পরিশোধের পর নিট রিজার্ভ ১ হাজার ৮২৩ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। দেনা পরিশোধের আগে নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৮৩ কোটি ডলার। এর আগেও আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ ১৮ বিলিয়নের ডলারে নেমেছিল। তবে ওই সময়ে রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি ছিল। এবার তার চেয়ে বেশি নেমেছে।

গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে আকুর দেনা বাবদ ১২৯ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল।

এদিকে চলতি মাসের শেষদিকে বা আগামী মাসের প্রথমদিকে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। এটি পেলে রিজার্ভ আবার কিছুটা বাড়বে।