প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন ঘরে বসেই হজের কাজ করা যাচ্ছে। এরপর থেকে আর কোনো ক্যাম্পে না থেকে মডেল মসজিদেই হজের ট্রেনিং নেওয়া যাবে। সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে যাবেন বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা পাচ্ছে জনগণ। তারা ঘরে বসেই সহজে হজ করতে যেতে পারছেন, কোনো রকম হয়রানি ছাড়াই। তাছাড়া ডিজিটাল সেন্টারে বসেই নিবন্ধন করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে সম্মান জানিয়ে সবাই যাতে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে, সেসব ব্যবস্থা করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন।
হাজিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা মুসলিম বিশ্বের জন্য দোয়া করবেন। ফিলিস্তিনে মুসলিমদের অধিকার রয়েছে। এই অধিকার তাদের দিতে হবে। এটা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। মুসলিম বিশ্ব এক হলে, ফিলিস্তিনিসহ বিশ্ব মুসলিমদের দাবি আদায় সহজ হতো। আমি সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে যাবো।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। নারী, পুরুষ ও শিশুদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। সবখানেই আমার কণ্ঠ সোচ্চার। সব জায়গাতেই আমি এর প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। আরব ভূখণ্ডে ফিলিস্তিন তাদের জায়গা তারা পাবে। এটা তাদের অধিকার। মুসলিম বিশ্ব এক হলে ফিলিস্তিনির অধিকার আদায়ে আরও এগিয়ে যেতে পারতাম। ওআইসি ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আমি একমাত্র বোন। একমাত্র বোন হিসেবে আমি সব মুসলিম দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছি আপনারা এক হন।
তিনি আরও বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। যেখানে সব ধর্মের মানুষের অধিকারের কথা বলা আছে। অথচ ধর্মের নামে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি বাদশার অতিথি হয়ে ওমরাহ করতে গিয়ে হজ ক্যাম্প ঘুরে দেখেছি। হাজিদের কষ্ট দেখেছি ধীরে ধীরে হজ ব্যবস্থাপনা সুন্দর হচ্ছে।