ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

২১৭০ ভরি সোনা বিক্রি করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

অবৈধভাবে আসা বা চোরাচালানের সময় জব্দ করা সোনা নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক লটে ২৫ হাজার ৩১২ গ্রাম (২৫.৩১ কেজি) বা ২ হাজার ১৭০ ভরি সোনা বিক্রি করা হবে। ১৪ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে আগ্রহীরা নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় গত ৩ নভেম্বর এক নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে। চলতি মাসেই সোনা বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে যে কেউ চাইলেই নিলামের সোনা কিনতে পারবেন না। এ খাতের লাইসেন্স পাওয়া ব্যবসায়ীরাই কেবল নিলামে অংশ নিয়ে সোনা কিনতে পারবেন।

আগামী ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত আগ্রহী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে দুই হাজার টাকা জমা (অফেরতযোগ্য) দিয়ে দরপত্র শিডিউল ক্রয় করতে পারবেন। এ সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। পরে সংস্থাটির কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করে নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য যোগ্যদের একটি তালিকা করবেন। এই পর্যায়ে যেসব সোনার বার, অলঙ্কার, টুকরা বা পাত বিক্রি করা হবে, তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।

নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে সোনা কতটুকু খাঁটি, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবেন নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য যোগ্য প্রতিষ্ঠান। এ জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একজন স্বর্ণকার বা পরীক্ষক যেতে পারবেন। এই প্রদর্শনের তৃতীয় কর্ম দিবসে দরপত্র জমা দিতে হবে। সঙ্গে দরপত্রে উদ্ধৃত মূল্যের আড়াই শতাংশ অর্থ বায়না বা নিরাপত্তা জামানত হিসেবে জমা দিতে হবে। পরবর্তী সময়ে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে সোনা ক্রয়ের কার্যাদেশ দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সব অর্থ জমা দিতে হবে। অর্থ পরিশোধ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সোনা নিতে না পারলে বাংলাদেশ ব্যাংক দরদাতা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জামানত বাজেয়াপ্ত ও প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারবে।

দেশের বাজারে সবশেষ ২৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া সোনার দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভ‌রি সোনার মূল্য ৮০ হাজার ১৩২ টাকা। ২১ ক্যারেটের সোনা ৭৬ হাজার ৫১৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৬৫ হাজার ৫৫২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৫৪ হাজার ৩৫৪ টাকা।

সুনির্দিষ্ট হিসাব না থাকলেও দেশে বছরে প্রায় ২০-৪০ টন সোনার চাহিদা রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। তার মাত্র ১০ শতাংশ চাহিদা পুরোনো অলঙ্কার দিয়ে মেটানো হয়। তাই বৈধভাবে সোনার চাহিদা মেটাতে ও ব্যবসায় স্বচ্ছতা ফেরাতে ২০১৮ সালে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে সোনা আমদানির জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত সাড়ে চার থেকে ৫০০ কেজি সোনা আমদানি হয়েছে। ফলে এখনো চাহিদা পূরণ হচ্ছে অবৈধভাবে আসা সোনা দিয়ে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

২১৭০ ভরি সোনা বিক্রি করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আপডেট সময় ০৩:৩২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

অবৈধভাবে আসা বা চোরাচালানের সময় জব্দ করা সোনা নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক লটে ২৫ হাজার ৩১২ গ্রাম (২৫.৩১ কেজি) বা ২ হাজার ১৭০ ভরি সোনা বিক্রি করা হবে। ১৪ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে আগ্রহীরা নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় গত ৩ নভেম্বর এক নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে। চলতি মাসেই সোনা বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে যে কেউ চাইলেই নিলামের সোনা কিনতে পারবেন না। এ খাতের লাইসেন্স পাওয়া ব্যবসায়ীরাই কেবল নিলামে অংশ নিয়ে সোনা কিনতে পারবেন।

আগামী ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত আগ্রহী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে দুই হাজার টাকা জমা (অফেরতযোগ্য) দিয়ে দরপত্র শিডিউল ক্রয় করতে পারবেন। এ সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। পরে সংস্থাটির কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করে নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য যোগ্যদের একটি তালিকা করবেন। এই পর্যায়ে যেসব সোনার বার, অলঙ্কার, টুকরা বা পাত বিক্রি করা হবে, তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।

নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে সোনা কতটুকু খাঁটি, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবেন নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য যোগ্য প্রতিষ্ঠান। এ জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একজন স্বর্ণকার বা পরীক্ষক যেতে পারবেন। এই প্রদর্শনের তৃতীয় কর্ম দিবসে দরপত্র জমা দিতে হবে। সঙ্গে দরপত্রে উদ্ধৃত মূল্যের আড়াই শতাংশ অর্থ বায়না বা নিরাপত্তা জামানত হিসেবে জমা দিতে হবে। পরবর্তী সময়ে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে সোনা ক্রয়ের কার্যাদেশ দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সব অর্থ জমা দিতে হবে। অর্থ পরিশোধ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সোনা নিতে না পারলে বাংলাদেশ ব্যাংক দরদাতা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জামানত বাজেয়াপ্ত ও প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারবে।

দেশের বাজারে সবশেষ ২৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া সোনার দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভ‌রি সোনার মূল্য ৮০ হাজার ১৩২ টাকা। ২১ ক্যারেটের সোনা ৭৬ হাজার ৫১৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৬৫ হাজার ৫৫২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৫৪ হাজার ৩৫৪ টাকা।

সুনির্দিষ্ট হিসাব না থাকলেও দেশে বছরে প্রায় ২০-৪০ টন সোনার চাহিদা রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। তার মাত্র ১০ শতাংশ চাহিদা পুরোনো অলঙ্কার দিয়ে মেটানো হয়। তাই বৈধভাবে সোনার চাহিদা মেটাতে ও ব্যবসায় স্বচ্ছতা ফেরাতে ২০১৮ সালে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে সোনা আমদানির জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত সাড়ে চার থেকে ৫০০ কেজি সোনা আমদানি হয়েছে। ফলে এখনো চাহিদা পূরণ হচ্ছে অবৈধভাবে আসা সোনা দিয়ে।