রাজধানীর কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। যেহেতু গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, তাই মানুষ শান্তিতে আছে। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে। তাই আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন তারা (বিএনপি) নির্বাচন বানচাল করতে চায়, কেন নির্বাচন বানচাল করবে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আজকে উন্নয়ন হয়েছে। ’৭৫-এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা ক্ষমতায় এসেছিল অস্ত্র হাতে নিয়ে ও সংবিধান লঙ্ঘন করে… তারা মানুষের ভাগ্য গড়েনি। তাদের আমলে ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিষিদ্ধ, জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়। এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা বলতেও ভয় পেতেন। সে সময় অনেকে লুকাতেন। এ ছাড়া তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমার একমাত্র শক্তির উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। তাদের জন্য আমি আমার বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করে পথে নেমেছি। গোলা-বারুদ, বোমা-গ্রেনেড হামলা কোনো কিছুই আমাকে বাধা দিতে পারেনি। আমার একটি প্রত্যয় ছিল, এদেশের মানুষের মুখের অন্ন জোগাব। কেউ না খেয়ে কষ্ট পাবে না। আমরা ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা স্বাধীন করে দিয়েছি। কারণ, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। যেহেতু গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, তাই মানুষ শান্তিতে আছে। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে। তাই আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের নৌকার প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-১০ আসনের নৌকার প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস।