অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, তারেক রহমানকে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করেছেন শেখ হাসিনা। শুধু তাকে নয়, প্রধানমন্ত্রী কত নিষ্ঠুর তার উদাহরণ হলো- তার (তারেকের) সহধর্মিণীর নামেও মিথ্যা ও চক্রান্তমূলক মামলা দিয়েছেন। যার কিনা রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
‘জনদৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার মামলা এটি। মসনদকে উল্টে পড়া থেকে শেষবারের মতো ধরে রাখার চক্রান্ত। কিন্তু এবার জনগণ চূড়ান্ত আঘাত হানবে। তারা আপনার (শেখ হাসিনা) সিংহাসন ধরে টান দেবে।’বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহিলা দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা দলের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে ফুটপাতের ওপরে দাড়িয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে শেষ করা হয়।
‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চলছে’- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, আমি বলব- ঘোলা পানিতে না। আপনাকে প্রকাশ্যে রাজপথে মানুষ মোকাবিলা করবে। তারা এখন ঐক্যবদ্ধ ও সংঘবদ্ধ। তাদের অভিযাত্রার মিছিলে মিছিলে আপনার পদত্যাগের ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে।
‘মানুষের হাতে টাকা নেই’- পরিকল্পনামন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তো টাকা গেল কোথায়? রিজার্ভ তলানিতে কেন? চাল-ডাল, আটা, তেল কিনতে ডলার নেই কেন? ডলার গেল কোথায়। আপনাদের লোকের পকেট ও ভ্যানিটি ব্যাগ তল্লাশি করলেই ডলার মিলবে।
প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, দেশকে এই সংকটের দিকে কে ঠেলে দিয়েছে? আপনারা দিয়েছেন। কারণ দেশের প্রতি আপনাদের দরদ নেই। দরদ ছাত্রলীগ-যুবলীগ আর স্বজনদের প্রতি। গণভবনের পুকুরে চিতল মাছ ধরে নিজের বোনকে দেখাচ্ছেন যে, দেশে কোনো সঙ্কট নেই। সেই মাছ খেয়ে কাটা ফেলে দেবেন রিকশাওয়ালার দিকে। এই হচ্ছে আপনার মানসিকতা।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঠেকাতে ছাত্রলীগ, যুবলীগকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে দাবি করে সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, সমাবেশে যাতে লোকজন না হয়। বিএনপি ও লোকজনকে আঘাত করার জন্য। তারপরও মানুষ পায়ে হেঁটে, নদী সাঁতরে, সাইকেল নিয়ে চিড়া-মুড়ি নিয়ে, নছিমন-করিমন-ভটভটিতে করে সমাবেশে যাচ্ছে। বাস বন্ধ করে দিলেন, অন্য যানবাহন বন্ধ করেও বিএনপির জনসভায় এতো লোক হচ্ছে কেনো? ৬৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বাগেরহাটের একজন। মোস্তাফিজুর রহমান অসুস্থ অবস্থায় রংপুরের সমাবেশে স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এসব দেখে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন, তিনি তো নড়বড়ে সিংহাসনে বসে আছেন। বিদেশি প্রভু ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সেই চেয়ারের চারটি খুঁটি ধরে রেখেছেন।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহম্মেদ, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, নায়াবা ইউসুফ, শাহিনুর নার্গিস প্রমুখ।