ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা কুমিল্লায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকের বিদায় সংবর্ধনা যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা

অর্থ আত্মসাৎ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের ৩ কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

ঢাকা: অর্থ আত্মসাৎ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম ও হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (০৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিক থেকে দুদক কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সংস্থাটির উপ পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অসৎ গ্রামীণ টেলিকমের ৩ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করে দুদক। দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধানের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়, ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শোনা ও নেওয়া প্রয়োজন। বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কাজে সহযোগিতার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।

গত ৩০ মে অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্তাদি লঙ্ঘনপূর্বক জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর বা রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকম চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক মো. শাহজাহান, পরিচালক নূরজাহান বেগম, পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

জানা গেছে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে গ্রামীণ টেলিকমের ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখায় ৮ মে ২০২২ সালে একটি হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি ২৭ এপ্রিল, ২০২২ সালে সই হয়। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও তার একদিন আগেই ব্যাংক হিসাব খোলা হয় এবং সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল হলেও এই অ্যাগ্রিমেন্টে ব্যাংক হিসাব খোলার সময় দেখানো হয়েছে ৮ মে, যা বাস্তবে অসম্ভব।

রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র এক কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্তাদি লঙ্ঘনপূর্বক জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে আত্মসাৎ করেছেন। এই অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর বা রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করেছেন, যা দণ্ডবিধি এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় ২০২৩ সালের ৩০ মে দুদক উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের মাধ্যমে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা

অর্থ আত্মসাৎ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের ৩ কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

আপডেট সময় ০৩:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা: অর্থ আত্মসাৎ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম ও হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (০৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিক থেকে দুদক কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সংস্থাটির উপ পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অসৎ গ্রামীণ টেলিকমের ৩ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করে দুদক। দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধানের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়, ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শোনা ও নেওয়া প্রয়োজন। বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কাজে সহযোগিতার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।

গত ৩০ মে অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্তাদি লঙ্ঘনপূর্বক জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর বা রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকম চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক মো. শাহজাহান, পরিচালক নূরজাহান বেগম, পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

জানা গেছে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে গ্রামীণ টেলিকমের ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখায় ৮ মে ২০২২ সালে একটি হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি ২৭ এপ্রিল, ২০২২ সালে সই হয়। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও তার একদিন আগেই ব্যাংক হিসাব খোলা হয় এবং সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল হলেও এই অ্যাগ্রিমেন্টে ব্যাংক হিসাব খোলার সময় দেখানো হয়েছে ৮ মে, যা বাস্তবে অসম্ভব।

রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র এক কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্তাদি লঙ্ঘনপূর্বক জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে আত্মসাৎ করেছেন। এই অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর বা রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করেছেন, যা দণ্ডবিধি এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় ২০২৩ সালের ৩০ মে দুদক উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের মাধ্যমে একটি মামলা দায়ের করা হয়।