ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাবের নবীন বরণ ও বিতর্ক আলাপন অনুষ্ঠিত জামালপুর বিজয়ের উল্লাসে, তারুণ্যের উচ্ছাসে শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঢাবি ও সাত কলেজের সংঘর্ষের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বললেন আসিফ নজরুল ময়নামতিতে জমি দখলের চেষ্টা ও ভূমি মালিকের উপর হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন আওয়ামী লীগ কখনো স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ছিল না: যুবদল সাধারণ সম্পাদক নয়ন শিবচরে সাংবাদিকের বসত বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর শীতকালীন জাতীয় ত্রুীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয় কুমিল্লার তিন উপজেলায় একদিনে ৩ জনের লাশ উদ্ধার বোরহানউদ্দিনে মাটি কেটে ইট ভাটায় পরিবহনের দায়ে জরিমানা মিঠাপুকুরে এমপিএইচডিও সংস্থার উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ

কুমারখালীতে ৪ বছরের শিশু কন্যাকে ৫৫ বছরের বৃদ্ধ কতৃক যৌনহয়রানি

কুষ্টিয়া কুমারখালীতে ৪ বছরের শিশু কন্যাকে কটা (৫৫) নামের এক বৃদ্ধ যৌনহয়রানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীর শিশু কন্যার পিতা বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। অন্যদিকে এসব ঘটনা সাংবাদিকদের কাছে জানাতে ও শিশুর বক্তব্য নিতে নিষেধ করেছেন কুমারখালী থানার কয়া বিটের দায়িত্বে থাকা এসআই আশরাফুল ইসলাম।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর)  দুপুর আনুমানিক ২ টার সময় কুমারখালী উপজেলার কয়া ইয়নিয়নের বানিয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত কটা  বানিয়াপাড়া এলাকার মৃত হামেদ আলীর পুত্র। সে পেশায় একজন মুদি দোকানদার।

ভুক্তভোগী কন্যা শিশুর পিতা বলেন, আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার দোকানের ভিতর নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমার শিশুকন্যার যোনীর মধ্যে আঙ্গুল ঢুকায়ে দেয় এবং যৌন নির্যাতন করতে থাকে। আমার স্ত্রী আমার শিশুকন্যাকে ডাক দিলে ওই দোকানদার তার হাত দিয়ে আমার শিশুকন্যার মুখ বন্ধ করে রাখে ও হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী আমার শিশু কণ্যাকে খুজতে বাড়ীর বাইরে রাস্তার উপর যাওয়া মাত্র ওই দোকানদার আমার শিশুকণ্যার হাতে চকলেট ধরিয়ে দেয় এবং আমার স্ত্রী যেয়ে আমার শিশুকণ্যাকে সাথে করে বাড়ীতে নিয়ে আসে।

পরবর্তীতে আমার শিশুকণ্যা কাঁদতে কাঁদতে আমার স্ত্রীর নিকট ঘটনাগুলো বলে এবং  তার গোপনাঙ্গে আঙ্গুল ঢুকিয়ে যৌন নির্যাতন করেছে বলে জানায়। আমি বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে খবর দিলে কুমারখালী থানার কয়ার বিটে দায়িত্বে থাকা এসআই আশরাফুল আমার বাড়িতে আসে। আমার মেয়ের কাছ থেকে সব ঘটনা শুনে যায়। তারপরেও পুলিশ কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করলে আমি কুমারখালী থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করি।

থানার ওসিকে বিষয়গুলো সব জানালে ওসি এজাহার দিতে বলে। এজাহার করার পরদিন থানা থেকে ভোটার আইডি কার্ড নেওয়ার জন্য আমাকে ডাকলে থানায় গেলে এসআই আশরাফুলের সাথে দেখা হলে তিনি আমাকে বলেন আপনার মেয়ের এই ঘটনা কোন সাংবাদিককে জানাবেন না। সাংবাদিকরা আপনার মেয়ের কোন বক্তব্য নিতে গেলে ও ছবি নিতে গেলেও দিবেন না। কারন ভবিষ্যতে আপনার মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। এসব কথা লোকজন জানাজানি হলে আপনার মেয়ের বিয়ে দিতে অনেক সমস্যা হবে।

পুলিশের মুখে এসব কথাবার্তা শুনে খুবই অসহায়ত্ব মনোভাব পার করছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। তারা ধারনা করছেন পুলিশের এসআই আশরাফুল ইসলাম আসামীদের নিকট থেকে কোন অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

এবিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকিবুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, থানায় এই ব্যাপারে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আবার শোনা যাচ্ছে সেখানে নাকি দুইজন বাচ্চা ছিলো এই বৃদ্ধর নাতি ছেলে আর ওই শিশু কন্যাটি।

এসব ঘটনা সেই বাচ্চা দুইজন করছিলো সেই বৃদ্ধ ব্যাক্তি গিয়ে দুজনকে বকা দিয়ে তারিয়ে দিয়েছে। তারপরেও ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যবিপ্রবি ডিবেট ক্লাবের নবীন বরণ ও বিতর্ক আলাপন অনুষ্ঠিত

কুমারখালীতে ৪ বছরের শিশু কন্যাকে ৫৫ বছরের বৃদ্ধ কতৃক যৌনহয়রানি

আপডেট সময় ০১:৪২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কুষ্টিয়া কুমারখালীতে ৪ বছরের শিশু কন্যাকে কটা (৫৫) নামের এক বৃদ্ধ যৌনহয়রানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীর শিশু কন্যার পিতা বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। অন্যদিকে এসব ঘটনা সাংবাদিকদের কাছে জানাতে ও শিশুর বক্তব্য নিতে নিষেধ করেছেন কুমারখালী থানার কয়া বিটের দায়িত্বে থাকা এসআই আশরাফুল ইসলাম।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর)  দুপুর আনুমানিক ২ টার সময় কুমারখালী উপজেলার কয়া ইয়নিয়নের বানিয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত কটা  বানিয়াপাড়া এলাকার মৃত হামেদ আলীর পুত্র। সে পেশায় একজন মুদি দোকানদার।

ভুক্তভোগী কন্যা শিশুর পিতা বলেন, আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার দোকানের ভিতর নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমার শিশুকন্যার যোনীর মধ্যে আঙ্গুল ঢুকায়ে দেয় এবং যৌন নির্যাতন করতে থাকে। আমার স্ত্রী আমার শিশুকন্যাকে ডাক দিলে ওই দোকানদার তার হাত দিয়ে আমার শিশুকন্যার মুখ বন্ধ করে রাখে ও হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী আমার শিশু কণ্যাকে খুজতে বাড়ীর বাইরে রাস্তার উপর যাওয়া মাত্র ওই দোকানদার আমার শিশুকণ্যার হাতে চকলেট ধরিয়ে দেয় এবং আমার স্ত্রী যেয়ে আমার শিশুকণ্যাকে সাথে করে বাড়ীতে নিয়ে আসে।

পরবর্তীতে আমার শিশুকণ্যা কাঁদতে কাঁদতে আমার স্ত্রীর নিকট ঘটনাগুলো বলে এবং  তার গোপনাঙ্গে আঙ্গুল ঢুকিয়ে যৌন নির্যাতন করেছে বলে জানায়। আমি বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে খবর দিলে কুমারখালী থানার কয়ার বিটে দায়িত্বে থাকা এসআই আশরাফুল আমার বাড়িতে আসে। আমার মেয়ের কাছ থেকে সব ঘটনা শুনে যায়। তারপরেও পুলিশ কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করলে আমি কুমারখালী থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করি।

থানার ওসিকে বিষয়গুলো সব জানালে ওসি এজাহার দিতে বলে। এজাহার করার পরদিন থানা থেকে ভোটার আইডি কার্ড নেওয়ার জন্য আমাকে ডাকলে থানায় গেলে এসআই আশরাফুলের সাথে দেখা হলে তিনি আমাকে বলেন আপনার মেয়ের এই ঘটনা কোন সাংবাদিককে জানাবেন না। সাংবাদিকরা আপনার মেয়ের কোন বক্তব্য নিতে গেলে ও ছবি নিতে গেলেও দিবেন না। কারন ভবিষ্যতে আপনার মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। এসব কথা লোকজন জানাজানি হলে আপনার মেয়ের বিয়ে দিতে অনেক সমস্যা হবে।

পুলিশের মুখে এসব কথাবার্তা শুনে খুবই অসহায়ত্ব মনোভাব পার করছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। তারা ধারনা করছেন পুলিশের এসআই আশরাফুল ইসলাম আসামীদের নিকট থেকে কোন অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

এবিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকিবুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, থানায় এই ব্যাপারে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আবার শোনা যাচ্ছে সেখানে নাকি দুইজন বাচ্চা ছিলো এই বৃদ্ধর নাতি ছেলে আর ওই শিশু কন্যাটি।

এসব ঘটনা সেই বাচ্চা দুইজন করছিলো সেই বৃদ্ধ ব্যাক্তি গিয়ে দুজনকে বকা দিয়ে তারিয়ে দিয়েছে। তারপরেও ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।