রূপায়ণ সিটি উত্তরার ‘রূপায়ণ গ্র্যান্ড প্রিমিয়াম কন্ডো’ শিগগিরই ক্রেতাদের কাছে হস্তান্তর হতে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শনিবার (২৯ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রূপায়ণ সিটি উত্তরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আবাসন আমাদের অন্যতম মৌলিক চাহিদাগুলোর একটি, কিন্তু পরিকল্পিত এবং পরিবেশবান্ধব আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা ঢাকা শহরে এখন স্বপ্নের মতো। বিগত কয়েক দশকে আধুনিক নগরায়ণের নামে আমরা একটি আত্মকেন্দ্রিক নির্বাসিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। যৌথ পরিবারে একত্রে বসবাস, একসাথে বেড়ে ওঠা ও সুখ-দুঃখের ভাগীদার হওয়ার গল্পগুলো অতিসত্বর জাদুঘরে দেখা যাবে বলে প্রতীয়মান হয়। যদিও প্রান্তিক এলাকায় এখনো কিছুটা হলেও একত্রে বসবাস করার প্রয়াস দেখা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা শহরে তা প্রাগৈতিহাসিক ঘটনা। আর সেজন্যই সমাজের চারিদিকে আজ এত অনিয়ম আর এত বিশৃঙ্খলা। এ শহরে নেই পর্যাপ্ত খেলার মাঠ, হাঁটার রাস্তা, সবুজের কাছে থাকা অথবা নীল আকাশ দেখার সুযোগ, অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে বৃদ্ধ বয়সে দুজনে পাশাপাশি হাঁটার পরিসর। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার উপকরণের অভাব এখন চারিদিকে।
আজ থেকে ২০ বছর আগে এই অভাব মোচনের তীব্র এক দায় অনুভব করেন রূপায়ণ গ্রুপের কর্ণধার লিয়াকত আলী খান মুকুল। তারই ফলশ্রুতিতে তৈরি হয় দেশের প্রথম সিটি ব্র্যান্ড রূপায়ণ সিটি এবং আমাদের প্রথম প্রকল্প রূপায়ণ সিটি উত্তরা, দেশের প্রথম প্রিমিয়াম মেগা গেটেড কমিউনিটি।
গতানুগতিক আবাসন ধারার বিপরীত স্রোত বেয়ে উঠে আসা এক অভূতপূর্ব ধারণা ‘ব্রেক দা স্কয়ার ফুট স্টোরি’। নাগরিক জীবনের স্কয়ার ফুট গল্পের শৃঙ্খল চূর্ণ করার সংকল্প থেকে তৈরি হয়েছে ৬৩ ভাগ খোলা জায়গা নিয়ে ১৫০ বিঘার একটি পরিকল্পিত আধুনিক প্রিমিয়াম মেগা গেটেড সিটি। এখানে আছে সব বয়সের মানুষের জন্য পর্যাপ্ত সবুজের সমারোহে খোলা জায়গা, নানা রকম খেলার মাঠ ও শরীরচর্চার জায়গা, নিরাপদ পরিবেশ, সুপ্রশস্ত হাঁটার জায়গা, বসার স্থান ও পারস্পরিক সম্প্রীতিতে বেড়ে ওঠার মেলবন্ধন। এ যেন ঠিক প্রকৃতির সঙ্গেই বেড়ে ওঠার এক বিরল বর্ণাঢ্য আয়োজন, যা কিনা মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পরিপূর্ণ আয়োজন।
আধুনিক জীবনের সব উপকরণ নিয়ে তৈরি এই প্রাইভেট প্রিমিয়াম মেগা গেটেড সিটি নিশ্চিত করে আপনার ও আপনার পরিবারের জীবনে অভূতপূর্ব- প্রেস্টিজ, প্রটেকশন ও প্রিভিলেজ।
মাত্রই কিছু দিন আগে রূপায়ণ সিটি তার প্রিমিয়াম কন্ডো-র একটি অংশ রূপায়ণ মাজেস্টিক’র ৩১৫টি কন্ডো হস্তান্তর করেছে তাদের গর্বিত মালিকদের কাছে। ইতোমধ্যে বসবাসরত মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে এই প্রিমিয়াম সিটি, রূপায়ণ সিটি তার রূপায়ণ মাজেস্টিক অধিবাসীদের বাসস্থানের রেজিস্ট্রেশন বুঝিয়ে দিচ্ছে অবারিতভাবে। এখানেই শেষ নয়, আমাদের পরবর্তী প্রতিশ্রুতি ‘থিঙ্ক গ্র্যান্ড, লিভ গ্র্যান্ড’ স্লোগান নিয়ে হাজির হয়েছি আরও পরিকল্পিত, চমকপ্রদ এবং দেশের সবচেয়ে বড় কন্ডোমনিয়াম প্রজেক্ট রূপায়ণ গ্র্যান্ড-এর ৪৭৭টি নতুন কন্ডো নিয়ে। যাদের আয়তন ২১০০ থেকে ৩১৫০ বর্গ ফুট।
শনিবার রূপায়ণ সিটি উত্তরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রূপায়ণ সিটি উত্তরার কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, তাদের সীমিত সংখ্যক কন্ডো বিক্রির জন্য অবশিষ্ট রয়েছে এবং রূপায়ণ গ্র্যান্ড প্রিমিয়াম কন্ডোর বর্তমান কাজের অগ্রগতি সরজমিনে দেখিয়ে উপস্থিত কর্মকর্তারা নিজ নিজ বক্তব্য তুলে ধরেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— রূপায়ণ গ্রুপের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন পি জে উল্লাহ (অব.), রূপায়ণ সিটির সিইও এম মাহবুবুর রহমান, কনস্ট্রাকশন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব (অব.), ডিরেক্টর অব সেলস রেজাউল হক লিমন, জিএম অ্যান্ড হেড অব কাস্টমার সার্ভিস জায়েদুর রশিদ, জিএম অ্যান্ড হেড অফ মার্কেটিং গোস্বামী অসীম রঞ্জনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা।