ঢাকা ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা কুমিল্লায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকের বিদায় সংবর্ধনা যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা

কিস্তিতে হ্যান্ডসেট বিক্রির অনুমতি, মানতে হবে যেসব শর্ত

ঢাকা: গ্রাহক পর্যায়ে কিস্তিতে স্মার্ট হ্যান্ডসেট সরবরাহ করার ক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটরদের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এক বছর বা ১২ মাসের কিস্তিতে অপারেটররা হ্যান্ডসেট বিক্রি করতে পারবে।

গত ৪ জুলাই বিটিআরসি থেকে মোবাইল অপারেটর কর্তৃক গ্রাহক পর্যায়ে কিস্তিতে দেওয়া হ্যান্ডসেটসমূহে সিম লকিং বা নেটওয়ার্ক লকিং চালুকরণ সংক্রান্ত নির্দেশনা ও অনুমতি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তাতে বলা হয়, মোবাইল অপারেটরদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সারাদেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি স্মার্ট হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্রাহক পর্যায়ে কিস্তিতে স্মার্ট হ্যান্ডসেট সরবরাহ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটরদের কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে, যা আবশ্যিকভাবে পালন করতে হবে।

১) প্রথম শর্তে বলা হয়, এই ধরনের সেবার ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক সিমের দুটি স্লট সম্বলিত স্মার্টফোন হতে হবে। যেখানে একটি স্লটে এই সেবা প্রদানকারী অপারেটরের সিম থাকবে এবং অন্য স্লটসমূহে গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী অন্য অপারেটরের সিম ব্যবহারের সুযোগ থাকতে হবে।

২) কোনো অবস্থাতেই অন্য প্লটসমূহের সিমের ওপর কোনো শর্ত আরোপ করা যাবে না।

৩) মোবাইল অপারেটররা নিজে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট আমদানি/উৎপাদন/সংযোজন করতে পারবে না এবং শুধু স্থানীয়ভাবে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হতে স্মার্ট হ্যান্ডসেট কিনতে হবে।

৪) গ্রাহক কর্তৃক মোবাইল অপারেটরকে সর্বনিম্ন ২০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ মূল্য ডাউন পেমেন্ট হিসাবে ন্যূনতম ৩ মাস হতে সর্বোচ্চ ১২ মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ থাকতে হবে। তবে গ্রাহক যদি সব কিস্তি নির্ধারিত সময়ের আগে সব বকেয়া পরিশোধ করে তবে নির্ধারিত স্লটটি গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো অপারেটরের সিম ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

৫) হ্যান্ডসেটের মূল্য পরিশোধ না করে কোনো গ্রাহক এই সেবা প্রদানকারী অপারেটরের এমএনপি করাতে পারবে না।

প্যাকেজ চালু নিয়ে শর্ত 

৬) মোবাইল অপারেটর কর্তৃক এ ধরনের সার্ভিস দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্যাকেজ চালু করণের আগে কমিশনের সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের অনুমতি নিতে হবে।

৭) কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী কিস্তিতে সরবরাহ করা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রতিবেদন কমিশনে নিয়মিত দাখিল করতে হবে।

৮) এছাড়া কমিশন হতে এ সংক্রান্ত পরবর্তীতে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হলে অপারেটর তা মেনে চলবে। নির্দেশনাটি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে কার্যকর হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সব সেলুলার মোবাইল অপারেটরের অবগতি ও কার্যার্থে পাঠানো হয়েছে।

তবে কিস্তির সময়সীমা এক বছর করায় গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, অন্যান্য দেশে ৩ বছর বা ৩৬ মাসের কিস্তির সুযোগ থাকলেও বিটিআরসি তা ১২ মাসে নির্ধারণ করে দিয়েছে, যা গ্রাহককে বেশি টাকার কিস্তিতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা

কিস্তিতে হ্যান্ডসেট বিক্রির অনুমতি, মানতে হবে যেসব শর্ত

আপডেট সময় ১২:৪২:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

ঢাকা: গ্রাহক পর্যায়ে কিস্তিতে স্মার্ট হ্যান্ডসেট সরবরাহ করার ক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটরদের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এক বছর বা ১২ মাসের কিস্তিতে অপারেটররা হ্যান্ডসেট বিক্রি করতে পারবে।

গত ৪ জুলাই বিটিআরসি থেকে মোবাইল অপারেটর কর্তৃক গ্রাহক পর্যায়ে কিস্তিতে দেওয়া হ্যান্ডসেটসমূহে সিম লকিং বা নেটওয়ার্ক লকিং চালুকরণ সংক্রান্ত নির্দেশনা ও অনুমতি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তাতে বলা হয়, মোবাইল অপারেটরদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সারাদেশে ফোর-জি নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি স্মার্ট হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্রাহক পর্যায়ে কিস্তিতে স্মার্ট হ্যান্ডসেট সরবরাহ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটরদের কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে, যা আবশ্যিকভাবে পালন করতে হবে।

১) প্রথম শর্তে বলা হয়, এই ধরনের সেবার ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক সিমের দুটি স্লট সম্বলিত স্মার্টফোন হতে হবে। যেখানে একটি স্লটে এই সেবা প্রদানকারী অপারেটরের সিম থাকবে এবং অন্য স্লটসমূহে গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী অন্য অপারেটরের সিম ব্যবহারের সুযোগ থাকতে হবে।

২) কোনো অবস্থাতেই অন্য প্লটসমূহের সিমের ওপর কোনো শর্ত আরোপ করা যাবে না।

৩) মোবাইল অপারেটররা নিজে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট আমদানি/উৎপাদন/সংযোজন করতে পারবে না এবং শুধু স্থানীয়ভাবে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হতে স্মার্ট হ্যান্ডসেট কিনতে হবে।

৪) গ্রাহক কর্তৃক মোবাইল অপারেটরকে সর্বনিম্ন ২০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ মূল্য ডাউন পেমেন্ট হিসাবে ন্যূনতম ৩ মাস হতে সর্বোচ্চ ১২ মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ থাকতে হবে। তবে গ্রাহক যদি সব কিস্তি নির্ধারিত সময়ের আগে সব বকেয়া পরিশোধ করে তবে নির্ধারিত স্লটটি গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো অপারেটরের সিম ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

৫) হ্যান্ডসেটের মূল্য পরিশোধ না করে কোনো গ্রাহক এই সেবা প্রদানকারী অপারেটরের এমএনপি করাতে পারবে না।

প্যাকেজ চালু নিয়ে শর্ত 

৬) মোবাইল অপারেটর কর্তৃক এ ধরনের সার্ভিস দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্যাকেজ চালু করণের আগে কমিশনের সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের অনুমতি নিতে হবে।

৭) কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী কিস্তিতে সরবরাহ করা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রতিবেদন কমিশনে নিয়মিত দাখিল করতে হবে।

৮) এছাড়া কমিশন হতে এ সংক্রান্ত পরবর্তীতে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হলে অপারেটর তা মেনে চলবে। নির্দেশনাটি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে কার্যকর হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সব সেলুলার মোবাইল অপারেটরের অবগতি ও কার্যার্থে পাঠানো হয়েছে।

তবে কিস্তির সময়সীমা এক বছর করায় গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, অন্যান্য দেশে ৩ বছর বা ৩৬ মাসের কিস্তির সুযোগ থাকলেও বিটিআরসি তা ১২ মাসে নির্ধারণ করে দিয়েছে, যা গ্রাহককে বেশি টাকার কিস্তিতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।